পরিচ্ছেদঃ ৫১

সামর্থ্যানুসারে কুরবানী করা

মুয়াত্তা ইমাম মালিকহাদিস নম্বর ৮৫৪

و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عَبَّاسٍ كَانَ يَقُولُ مَا اسْتَيْسَرَ مِنْ الْهَدْيِ شَاةٌ قَالَ مَالِك وَذَلِكَ أَحَبُّ مَا سَمِعْتُ إِلَيَّ فِي ذَلِكَ لِأَنَّ اللهَ تَبَارَكَ وَتَعَالَى يَقُولُ فِي كِتَابِهِ { يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَقْتُلُوا الصَّيْدَ وَأَنْتُمْ حُرُمٌ وَمَنْ قَتَلَهُ مِنْكُمْ مُتَعَمِّدًا فَجَزَاءٌ مِثْلُ مَا قَتَلَ مِنْ النَّعَمِ يَحْكُمُ بِهِ ذَوَا عَدْلٍ مِنْكُمْ هَدْيًا بَالِغَ الْكَعْبَةِ أَوْ كَفَّارَةٌ طَعَامُ مَسَاكِينَ أَوْ عَدْلُ ذَلِكَ صِيَامًا } فَمِمَّا يُحْكَمُ بِهِ فِي الْهَدْيِ شَاةٌ وَقَدْ سَمَّاهَا اللهُ هَدْيًا وَذَلِكَ الَّذِي لَا اخْتِلَافَ فِيهِ عِنْدَنَا وَكَيْفَ يَشُكُّ أَحَدٌ فِي ذَلِكَ وَكُلُّ شَيْءٍ لَا يَبْلُغُ أَنْ يُحْكَمَ فِيهِ بِبَعِيرٍ أَوْ بَقَرَةٍ فَالْحُكْمُ فِيهِ شَاةٌ وَمَا لَا يَبْلُغُ أَنْ يُحْكَمَ فِيهِ بِشَاةٍ فَهُوَ كَفَّارَةٌ مِنْ صِيَامٍ أَوْ إِطْعَامِ مَسَاكِيْنَ.

মালিক (র) হতে বর্ণিতঃ

তাঁর নিকট রেওয়ায়ত পৌঁছেছে যে, আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রা) বলেছেন, مَا اسْتَيْسَرَ مِنْ الْهَدْيِ এর অর্থ হল, অন্তত একটি বকরী কুরবানী করা। (হাদীসটি ইমাম মালিক (র) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)মালিক (র) বলেন, এই বর্ণনাটি আমার নিকট খুবই প্রিয়। কেননা কুরআনুল করীমে আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেন, হে মু’মিনগণ, তোমরা যখন ইহরাম অবস্থায় থাক তখন তোমরা কোন প্রাণী বধ করো না। কেউ যদি কোনকিছু ইচ্ছাকৃতভাবে বধ করে তবে যে ধরনের পশু সে বধ করেছে সেই ধরনের কোন পশু তাকে প্রতিদান (জরিমানা) দিতে হবে। তোমাদের দুইজন ন্যায়নিষ্ঠ লোক এর ফয়সালা করে দেবে। এই প্রতিদান বায়তুল্লাহতে প্রেরিত হাদ্‌য়ী হবে অথবা কাফ্‌ফারা হিসেবে হবে যা মিসকীনদেরকে আহার করানো হবে অথবা তাকে তৎপরিমাণ রোযা রাখতে হবে যাতে সে তার কৃতকর্মের শাস্তি ভোগ করে নেয়। যা হোক, শিকারকৃত পশুর পরিবর্তে কোন সময়ে বকরীও ওয়াজিব হতে পারে। উক্ত আয়াতে উহাকেও হাদ্‌য়ী বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এই কথায় একজন কি করে সন্দেহ করতে পারে? কারণ যে পশু উট বা গরুর সমতুল্য নয় উহার প্রতিদানে (জরিমানা) একটি বকরীই ওয়াজিব হতে পারে। একটি বকরীর সমতুল্যও যেখানে হবে না সেখানে কাফফারা ওয়াজিব হবে। সে রোযার মাধ্যমে উহা আদায় করুক বা মিসকীনদেরকে আহার করিয়ে তা আদায় করুক, উভয় অবস্থায় ইহা কাফফারা হিসেবেই গণ্য হবে।

সেটিংস

ফন্ট সেটিংস

আরবি ফন্ট ফেস

আরবি ফন্ট সাইজ

২৪

অনুবাদ ফন্ট সাইজ

১৮

আল হাদিস অ্যাপ ডাউনলোড করুন

App Banner

ইসলামের জ্ঞান প্রচারে সহায়ক হোন

আপনার নিয়মিত সহায়তা আমাদের দ্বীনি ভাই-বোনের কাছে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছাতে সাহয্য করবে। আমাদের মিশনে আপনিও অংশ নিন এবং বড় পরিবর্তনের অংশীদার হোন।

সাপোর্ট করুন