পরিচ্ছেদ ১
যবেহ করার সময় বিসমিল্লাহ বলা
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ أَنَّهُ قَالَ: سُئِلَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقِيلَ لَهُ يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ نَاسًا مِنْ أَهْلِ الْبَادِيَةِ يَأْتُونَنَا بِلُحْمَانٍ وَلَا نَدْرِي هَلْ سَمَّوْا اللهَ عَلَيْهَا أَمْ لَا فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَمُّوا اللهَ عَلَيْهَا ثُمَّ كُلُوهَا قَالَ مَالِك وَذَلِكَ فِي أَوَّلِ الْإِسْلَامِ.
হিশাম ইবনু উরওয়াহ (র) হতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল : গ্রাম হতে লোকেরা আমাদের জন্য গোশত নিয়ে আসে, জানি না এতে যবেহ করার সময় বিসমিল্লাহ বলা হয়েছিল কিনা। (উহা আমরা খেতে পারি কি?) রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন : নিজেরা বিসমিল্লাহ বলে খেয়ে নিও। (সহীহ, ইমাম বুখারী আয়িশা (রা) থেকে বর্ণনা করেন [বুখারী ৭৩৯৮] তবে ইমাম মালিক কর্তৃক বর্ণিত হাদীসটি মুরসাল)মালিক (র) বলেন : এই জবাবটি ইসলামের প্রথম যুগের। [১]
[১] হাদীসটির মর্ম হল, কোন মুসলমান যদি গোশত নিয়ে আসে তবে অনর্থক সন্দেহ করো না। বরং মনের দ্বিধা দূর করার জন্য নিজেই বিসমিল্লাহ বলে খেয়ে নাও।
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عَيَّاشِ بْنِ أَبِي رَبِيعَةَ الْمَخْزُومِيَّ أَمَرَ غُلَامًا لَهُ أَنْ يَذْبَحَ ذَبِيحَةً فَلَمَّا أَرَادَ أَنْ يَذْبَحَهَا قَالَ لَهُ سَمِّ اللهَ فَقَالَ لَهُ الْغُلَامُ قَدْ سَمَّيْتُ فَقَالَ لَهُ سَمِّ اللهَ وَيْحَكَ قَالَ لَهُ قَدْ سَمَّيْتُ اللهَ فَقَالَ لَهُ عَبْدُ اللهِ بْنُ عَيَّاشٍ وَاللهِ لَا أَطْعَمُهَا أَبَدًا.
ইয়াহ্ইয়া ইবনু সা’ঈদ (র) হতে বর্ণিতঃ
আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস ইবনু আবী রবীয়া মাখযুমী (রা) স্বীয় গোলামকে একটি পশু যবেহ করতে নির্দেশ দেন। যবেহ করার সময় ‘আবদুল্লাহ তাকে বললেন : বিসমিল্লাহ বলে নাও। সে বলল : হ্যাঁ, বলেছি। ‘আবদুল্লাহ পুনরায় বলিলেন : কম বখত বিসমিল্লাহ বলে নাও। সে বলল : বলেছি। ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস ইবনু আবী রবীয়া (রা) তখন বললেন : আল্লাহর কসম, এই গোশত আমি খাব না। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)