পরিচ্ছেদঃ ১
সালাতুল-খাওফ বা ভয়কালীন নামায
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ يَزِيدَ بْنِ رُومَانَ عَنْ صَالِحِ بْنِ خَوَّاتٍ عَمَّنْ صَلَّى مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ ذَاتِ الرِّقَاعِ صَلَاةَ الْخَوْفِ أَنَّ طَائِفَةً صَفَّتْ مَعَهُ وَصَفَّتْ طَائِفَةٌ وِجَاهَ الْعَدُوِّ فَصَلَّى بِالَّتِي مَعَهُ رَكْعَةً ثُمَّ ثَبَتَ قَائِمًا وَأَتَمُّوا لِأَنْفُسِهِمْ ثُمَّ انْصَرَفُوا فَصَفُّوا وِجَاهَ الْعَدُوِّ وَجَاءَتْ الطَّائِفَةُ الْأُخْرَى فَصَلَّى بِهِمْ الرَّكْعَةَ الَّتِي بَقِيَتْ مِنْ صَلَاتِهِ ثُمَّ ثَبَتَ جَالِسًا وَأَتَمُّوا لِأَنْفُسِهِمْ ثُمَّ سَلَّمَ بِهِمْ.
সালিহ ইবনু খাওয়াত (র) হতে বর্ণিতঃ
এমন এক ব্যক্তি হতে বর্ণনা করেন, যিনি জাতুররিকা’ যুদ্ধের দিন রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে সালাতুল-খাওফ আদায় করেন। একদল তাঁর সাথে কাতারে দাঁড়িয়েছিল, আর একদল শত্রুর মুকাবেলায় সারিবদ্ধ ছিল। যে দল তাঁর সাথে ছিল, তিনি সে দলকে নিয়ে এক রাক’আত সালাতুল-খাওফ আদায় করলেন। অতঃপর তিনি দণ্ডায়মান রইলেন, (দলে যাঁরা ছিলেন) তাঁরা নিজের নামায আদায় করে নিলেন।অতঃপর তাঁরা প্রত্যাবর্তন করে শত্র“র মুকাবেলায় সারিবদ্ধ হয়ে গেলেন। তারপর দ্বিতীয় দল উপস্থিত হল। নাবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁদের সাথে বাকি নামায আদায় করলেন। অতঃপর তিনি বসা অবস্থায় রইলেন। সঙ্গিগণ তাদের নামায পূর্ণ করলে তাঁদের সাথে সালাম ফিরালেন। (বুখারী ৪১২৯, ৪১৩০, মুসলিম ৮৪২)
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ عَنْ صَالِحِ بْنِ خَوَّاتٍ أَنَّ سَهْلَ بْنَ أَبِي حَثْمَةَ حَدَّثَهُ أَنَّ صَلَاةَ الْخَوْفِ أَنْ يَقُومَ الْإِمَامُ وَمَعَهُ طَائِفَةٌ مِنْ أَصْحَابِهِ وَطَائِفَةٌ مُوَاجِهَةٌ الْعَدُوَّ فَيَرْكَعُ الْإِمَامُ رَكْعَةً وَيَسْجُدُ بِالَّذِينَ مَعَهُ ثُمَّ يَقُومُ فَإِذَا اسْتَوَى قَائِمًا ثَبَتَ وَأَتَمُّوا لِأَنْفُسِهِمْ الرَّكْعَةَ الْبَاقِيَةَ ثُمَّ يُسَلِّمُونَ وَيَنْصَرِفُونَ وَالْإِمَامُ قَائِمٌ فَيَكُونُونَ وِجَاهَ الْعَدُوِّ ثُمَّ يُقْبِلُ الْآخَرُونَ الَّذِينَ لَمْ يُصَلُّوا فَيُكَبِّرُونَ وَرَاءَ الْإِمَامِ فَيَرْكَعُ بِهِمْ الرَّكْعَةَ وَيَسْجُدُ ثُمَّ يُسَلِّمُ فَيَقُومُونَ فَيَرْكَعُونَ لِأَنْفُسِهِمْ الرَّكْعَةَ الْبَاقِيَةَ ثُمَّ يُسَلِّمُونَ.
সালিহ ইবনু খাওওয়াত আনসারী (র) হতে বর্ণিতঃ
সাহল ইবনু আবি হাসমা (র) তাঁর কাছে বর্ণনা করেছিলেন যে, সালাতুল-খাওফ হল এই ইমাম নামাযে দাঁড়াবেন। তাঁর সঙ্গীদের একদল (তখন) তাঁর সাথে থাকবে। আর একদল শত্রুর মুকাবেলায় থাকবে। অতঃপর ইমাম এক রাক’আত নামায আদায় করে সিজদা করবেন। তারপর দাঁড়িয়ে যাবেন। যখন পূর্ণ দাঁড়িয়ে যাবেন, তখন ইমাম দণ্ডায়মান থাকবেন। তাঁর সঙ্গীরা অবশিষ্ট এক রাক’আত পূর্ণ করে সালাম ফিরিয়ে চালে যাবে ইমাম তখনও দণ্ডায়মান থাকবেন। নামায শেষ করে দলটি শত্রুর মুকাবেলায় নিয়োজিত হবে। অতঃপর তাঁদেরকে এক রাক’আত পড়াবেন, অতঃপর তাঁরা দাঁড়িয়ে নিজ নিজ পরবর্তী আক’আত পড়িবে এবং সালাম ফিরাবে। (বুখারী ৪১৩১, মুসলিম ৮৪১)