গোলাম আযাদ করা এবং স্বত্বাধিকার
পরিচ্ছেদঃ ১
যে ব্যক্তি গোলাম বা বাঁদীর মধ্যে তার নির্ধারিত অংশকে আযাদ করে তার মাসআলা
মুয়াত্তা ইমাম মালিক : ১৪৬০
মুয়াত্তা ইমাম মালিকহাদিস নম্বর ১৪৬০
حَدَّثَنِي مَالِك عَنْ نَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ أَعْتَقَ شِرْكًا لَهُ فِي عَبْدٍ فَكَانَ لَهُ مَالٌ يَبْلُغُ ثَمَنَ الْعَبْدِ قُوِّمَ عَلَيْهِ قِيمَةَ الْعَدْلِ فَأَعْطَى شُرَكَاءَهُ حِصَصَهُمْ وَعَتَقَ عَلَيْهِ الْعَبْدُ وَإِلَّا فَقَدْ عَتَقَ مِنْهُ مَا عَتَقَ قَالَ مَالِك وَالْأَمْرُ الْمُجْتَمَعُ عَلَيْهِ عِنْدَنَا فِي الْعَبْدِ يُعْتِقُ سَيِّدُهُ مِنْهُ شِقْصًا ثُلُثَهُ أَوْ رُبُعَهُ أَوْ نِصْفَهُ أَوْ سَهْمًا مِنْ الْأَسْهُمِ بَعْدَ مَوْتِهِ أَنَّهُ لَا يَعْتِقُ مِنْهُ إِلَّا مَا أَعْتَقَ سَيِّدُهُ وَسَمَّى مِنْ ذَلِكَ الشِّقْصِ وَذَلِكَ أَنَّ عَتَاقَةَ ذَلِكَ الشِّقْصِ إِنَّمَا وَجَبَتْ وَكَانَتْ بَعْدَ وَفَاةِ الْمَيِّتِ وَأَنَّ سَيِّدَهُ كَانَ مُخَيَّرًا فِي ذَلِكَ مَا عَاشَ فَلَمَّا وَقَعَ الْعِتْقُ لِلْعَبْدِ عَلَى سَيِّدِهِ الْمُوصِي لَمْ يَكُنْ لِلْمُوصِي إِلَّا مَا أَخَذَ مِنْ مَالِهِ وَلَمْ يَعْتِقْ مَا بَقِيَ مِنْ الْعَبْدِ لِأَنَّ مَالَهُ قَدْ صَارَ لِغَيْرِهِ فَكَيْفَ يَعْتِقُ مَا بَقِيَ مِنْ الْعَبْدِ عَلَى قَوْمٍ آخَرِينَ لَيْسُوا هُمْ ابْتَدَءُوا الْعَتَاقَةَ وَلَا أَثْبَتُوهَا وَلَا لَهُمْ الْوَلَاءُ وَلَا يَثْبُتُ لَهُمْ وَإِنَّمَا صَنَعَ ذَلِكَ الْمَيِّتُ هُوَ الَّذِي أَعْتَقَ وَأُثْبِتَ لَهُ الْوَلَاءُ فَلَا يُحْمَلُ ذَلِكَ فِي مَالِ غَيْرِهِ إِلَّا أَنْ يُوصِيَ بِأَنْ يَعْتِقَ مَا بَقِيَ مِنْهُ فِي مَالِهِ فَإِنَّ ذَلِكَ لَازِمٌ لِشُرَكَائِهِ وَوَرَثَتِهِ وَلَيْسَ لِشُرَكَائِهِ أَنْ يَأْبَوْا ذَلِكَ عَلَيْهِ وَهُوَ فِي ثُلُثِ مَالِ الْمَيِّتِ لِأَنَّهُ لَيْسَ عَلَى وَرَثَتِهِ فِي ذَلِكَ ضَرَرٌ.قَالَ مَالِك وَلَوْ أَعْتَقَ رَجُلٌ ثُلُثَ عَبْدِهِ وَهُوَ مَرِيضٌ فَبَتَّ عِتْقَهُ عَتَقَ عَلَيْهِ كُلُّهُ فِي ثُلُثِهِ وَذَلِكَ أَنَّهُ لَيْسَ بِمَنْزِلَةِ الرَّجُلِ يُعْتِقُ ثُلُثَ عَبْدِهِ بَعْدَ مَوْتِهِ لِأَنَّ الَّذِي يُعْتِقُ ثُلُثَ عَبْدِهِ بَعْدَ مَوْتِهِ لَوْ عَاشَ رَجَعَ فِيهِ وَلَمْ يَنْفُذْ عِتْقُهُ وَأَنَّ الْعَبْدَ الَّذِي يَبِتُّ سَيِّدُهُ عِتْقَ ثُلُثِهِ فِي مَرَضِهِ يَعْتِقُ عَلَيْهِ كُلُّهُ إِنْ عَاشَ وَإِنْ مَاتَ عَتَقَ عَلَيْهِ فِي ثُلُثِهِ وَذَلِكَ أَنَّ أَمْرَ الْمَيِّتِ جَائِزٌ فِي ثُلُثِهِ كَمَا أَنَّ أَمْرَ الصَّحِيحِ جَائِزٌ فِي مَالِهِ كُلِّهِ.
আবদুল্লাহ্ ইব্নু উমার (রা) হতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি গোলামের মধ্যে তার নির্ধারিত অংশকে আযাদ করে দেয় এবং তার রয়েছে মাল (সঙ্গতি) যা গোলামের মূল্য পরিমাণ হবে, তবে তার উদ্দেশ্যে ন্যায়সঙ্গতভাবে মূল্য নিরুপণ করা হবে, অতঃপর শরীকদেরকে তাদের স্ব-স্ব অংশ দেয়া হবে এবং তার পক্ষ হতে গোলাম আযাদ হয়ে যাবে। নতুবা [অর্থাৎ গোলামের মূল্য পরিমাণ অর্থ আযাদকারীর নিকট না থাকলে] যতটুকুর সে স্বত্বাধিকারী তার সেই অংশ আযাদ হয়েছে। (বুখারী ২৫২২, মুসলিম ১০৫১)মালিক (র) বলেন গোলামের ব্যাপারে আমাদের নিকট যা সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত মত তা হচ্ছে এই যে, গোলামের কর্তা তার গোলামের এক-তৃতীয়াংশ অথবা এক-চতুর্থাংশ অথবা অর্ধেক অংশ হতে যে কোন অংশ আযাদ করেছে তার মৃত্যুর পর [অর্থাৎ জীবিতাবস্থায় বলেছে যে তার মৃত্যুর পর গোলামের সেই অংশ আযাদ হবে] তবে কর্তা যতটুকু আযাদ করেছে এবং যেই পরিমাণ অংশ নির্দিষ্ট করেছে গোলাম-এর সেই পরিমাণ অংশই আযাদ হবে। কারণ এই নির্ধারিত পরিমাণ বা অংশের আযাদী ওয়াজিব হয়েছে কর্তার মৃত্যুর পর। পক্ষান্তরে তার কর্তা জীবিত থাকতে এই ব্যাপারে তার ইখতিয়ার ছিল। [অর্থ দ্বারা ক্রয় করে অবশিষ্ট অংশ আযাদ করার ইখতিয়ারও তার ছিল।] যখন ওসীয়্যতকারী কর্তার ওসীয়্যত অনুসারে গোলাম মুক্তিপ্রাপ্ত হয়েছে, তবে ওসীয়্যতকারীর অধিকার শুধু সেই অংশে, যেই অংশ তিনি আযাদ করার জন্য নির্দিষ্ট করেছেন, কারণ এ নির্ধারিত অংশ তাঁর নিজস্ব সম্পদ। কাজেই গোলামের অবশিষ্ট অংশ আযাদ হয়নি। কারণ তার মালে এখন অন্যের মালিকানা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তবে অবশিষ্ট অংশ অন্যান্য লোকের পক্ষ হতে কিরূপে আযাদ করা হবে? যারা প্রথম আযাদ করেনি, যারা তাকে স্বীকৃতি প্রদান করেনি, আর যারা স্বত্বেরও অধিকারী নয় ও স্বত্ব তাদের জন্য প্রমাণিতও হয়নি। এটা করেছেন মৃত ব্যক্তি- সেই আযাদ করেছে এবং স্বত্বাধিকার ও তার জন্য নির্ধারিত হয়েছে। কাজেই অন্য কারো মালের উপর এই (গোলামের বাকী অংশ আযাদ করার) বোঝা চাপিয়ে দেয়া হবে না। অবশ্য সে যদি গোলামের অবশিষ্ট অংশ তার মাল হতে আযাদ করার জন্য ওসীয়্যত করে থাকে, তবে তার শরীক ও ওয়ারীসানদের উপর উহা জরুরী হবে। শরীকগণ এটা অস্বীকার করতে পারবে না। ইহা প্রযোজ্য হবে মৃত ব্যক্তির এক-তৃতীয়াংশ মাল হতে। কারণ এতে ওয়ারিসানদের কোন ক্ষতি নেই।মালিক (র) বলেন যদি কোন ব্যক্তি পীড়িত অবস্থায় তার গোলামের এক-তৃতীয়াংশ আযাদ করে এবং সে আযাদ করেছে পরিষ্কারভাবে। তবে সে ক্রীতদাসের সম্পূর্ণ আযাদ হবে তার সম্পদের এক-তৃতীয়াংশ হতে। কারণ এই ব্যক্তি সেই ব্যক্তির মতো নয়, যে তার মৃত্যুর পর ক্রীতদাসের এক-তৃতীয়াংশ আযাদ করেছে, কারণ সে ব্যক্তি মৃত্যুর পর ক্রীতদাসের এক-তৃতীয়াংশ আযাদ করিতেছে, সে জীবিত থাকলে উহা হতে ফিরে যেতে পারে, আযাদী কার্যকর নাও করতে পারে। [এটা হচ্ছে ওসীয়্যত, ওসীয়্যতে রুজু করার ইখতিয়ার থাকে অর্থাৎ ওসীয়্যত হতে প্রত্যাবর্তনের স্বাধীনতা থাকে।]আর যে ক্রীতদাসের কর্তা পীড়িতাবস্থায় উহার এক-তৃতীয়াংশ আযাদ করেছে পরিষ্কাররূপে, সে জীবিত থাকলে গোলাম পূর্ণ আযাদী লাভ করবে, আর মৃত্যু হলে তার সম্পদের এক-তৃতীয়াংশ হতে তাকে আযাদ করা হবে। এর কারণ এই যে, মৃত ব্যক্তির নির্দেশ কার্যকর হয় তার সম্পদের এক-তৃতীয়াংশে, যেমন সুস্থ ব্যক্তির নির্দেশ কার্যকর হবে তার সম্পূর্ণ সম্পদের মধ্যে।
পরিচ্ছেদঃ ২