পরিচ্ছেদ ১:
সাদাকাহ্ প্রদানের উৎসাহ প্রসঙ্গে
حَدَّثَنِي مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ أَبِي الْحُبَابِ سَعِيدِ بْنِ يَسَارٍ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ تَصَدَّقَ بِصَدَقَةٍ مِنْ كَسْبٍ طَيِّبٍ وَلَا يَقْبَلُ اللهُ إِلَّا طَيِّبًا كَانَ إِنَّمَا يَضَعُهَا فِي كَفِّ الرَّحْمَنِ يُرَبِّيهَا كَمَا يُرَبِّي أَحَدُكُمْ فَلُوَّهُ أَوْ فَصِيلَهُ حَتَّى تَكُونَ مِثْلَ الْجَبَلِ
সাঈদ ইব্নু ইয়াসার (রহঃ) হতে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি হালাল উপায়ে অর্জিত মাল থেকে সাদাকাহ্ করে, আল্লাহ্ তা‘আলা শুধুমাত্র হালাল অর্থাৎ পবিত্রকেই কবূল করেন-- তা হলে উক্ত সাদাকাহ্ সে আল্লাহ্র হাতে দিল। আল্লাহ্ তা‘আলা তাকে এভাবে লালন-পালন করেন, যেভাবে তোমরা ঘোড়ার বাচ্চা কিংবা উটের বাচ্চা লালন-পালন কর। শেষ পর্যন্ত সেই সাদাকাহ্ (বর্ধিত হয়ে) পর্বতসমান হয়ে যায়। (বুখারী ৭৪৩০, ইমাম মুসলিম ইবনু আব্বাস থেকে মুত্তাসিল সনদে বর্ণনা করেন ১০১৪)
و حَدَّثَنِي مَالِك عَنْ إِسْحَقَ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ أَنَّهُ سَمِعَ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ يَقُولُكَانَ أَبُو طَلْحَةَ أَكْثَرَ أَنْصَارِيٍّ بِالْمَدِينَةِ مَالًا مِنْ نَخْلٍ وَكَانَ أَحَبَّ أَمْوَالِهِ إِلَيْهِ بَيْرُحَاءَ وَكَانَتْ مُسْتَقْبِلَةَ الْمَسْجِدِ وَكَانَرَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدْخُلُهَا وَيَشْرَبُ مِنْ مَاءٍ فِيهَا طَيِّبٍ قَالَ أَنَسٌ فَلَمَّا أُنْزِلَتْ هَذِهِ الْآيَةُ{ لَنْ تَنَالُوا الْبِرَّ حَتَّى تُنْفِقُوا مِمَّا تُحِبُّونَ }قَامَ أَبُو طَلْحَةَ إِلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ اللهَ تَبَارَكَ وَتَعَالَى يَقُولُ{ لَنْ تَنَالُوا الْبِرَّ حَتَّى تُنْفِقُوا مِمَّا تُحِبُّونَ }وَإِنَّ أَحَبَّ أَمْوَالِي إِلَيَّ بَيْرُحَاءَ وَإِنَّهَا صَدَقَةٌ لِلَّهِ أَرْجُو بِرَّهَا وَذُخْرَهَا عِنْدَ اللهِ فَضَعْهَا يَا رَسُولَ اللهِ حَيْثُ شِئْتَ قَالَ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَخْ ذَلِكَ مَالٌ رَابِحٌ ذَلِكَ مَالٌ رَابِحٌ وَقَدْ سَمِعْتُ مَا قُلْتَ فِيهِ وَإِنِّي أَرَى أَنْ تَجْعَلَهَا فِي الْأَقْرَبِينَفَقَالَ أَبُو طَلْحَةَ أَفْعَلُ يَا رَسُولَ اللهِ فَقَسَمَهَا أَبُو طَلْحَةَ فِي أَقَارِبِهِ وَبَنِي عَمِّهِ
আনাস ইব্নু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
মদীনার আনসারগণের মধ্যে আবূ তালহা (রাঃ) ছিলেন সর্বাধিক ধনী ব্যক্তি। তাঁর সবচাইতে অধিক খেজুর বৃক্ষ ছিল। সমুদয় বাগানের মধ্যে “বাইরুহা” নামক বাগানটি ছিল তাঁর (আবূ তালহার) অধিক পছন্দনীয়। বাগানটি মসজিদে নববীর সামনেই অবস্থিত ছিল। রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সেই বাগানে প্রায়ই আসা-যাওয়া করতেন। সেখানকার পানি খুবই উত্তম ছিল, তিনি তা পান করতেন। আনাস (রাঃ) বলেন, যখন এই আয়াত নাযিল হলঃ لَنْ تَنَالُوا الْبِرَّ حَتَّى تُنْفِقُوا مِمَّا تُحِبُّونَ অর্থাৎ যতক্ষণ তোমরা তোমাদের প্রিয় বস্তু (আল্লাহ্র রাহে) খরচ না করবে, ততক্ষণ তোমরা সওয়াব পাবে না। তখন আবূ তালহা (রাঃ) রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এসে বললেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ্! আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন, যতক্ষণ তোমরা তোমাদের প্রিয় বস্তু (আল্লাহ্র রাহে) খরচ না করবে, ততক্ষণ তোমরা সওয়াব পাবে না। আর আমার প্রিয় বস্তু হল এই ‘বাইরুহা’। আমি একে আল্লাহর রাস্তায় সাদাকাহ্ করলাম। এর বিনিময়ে আমি নেকীর আশা রাখি এবং ইহা আল্লাহ্র নিকট জমা রাখছি। সুতরাং ইয়া রাসূলুল্লাহ্! আপনি একে যেভাবে ইচ্ছা ব্যায় করুন। অতঃপর রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, বাহ্বা! এটা অত্যন্ত লাভজনক মাল, এটা অত্যন্ত লাভজনক মাল। তুমি এই বাগান সম্বন্ধে যা কিছু বলেছ আমি উহা শ্রবণ করেছি। আমার মনে হয়, তুমি একে তোমার আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে বিতরণ করে দাও। আবূ তালহা বললেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ্! আমি উহা বিতরণ করে দিব। অতএব আবূ তালহা (রাঃ) তাঁর আত্মীয়-স্বজন ও চাচাত ভাইগণের মধ্যে উহা বণ্টন করে দিলেন। (বুখারী ১৪৬১, মুসলিম ৯৯৮)