পরিচ্ছেদঃ ৬
মুদাব্বারের (অন্যকে) জখম করা প্রসঙ্গে
মুয়াত্তা ইমাম মালিক : ১৫০৬
মুয়াত্তা ইমাম মালিকহাদিস নম্বর ১৫০৬
حَدَّثَنِي مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ قَضَى فِي الْمُدَبَّرِ إِذَا جَرَحَ أَنَّ لِسَيِّدِهِ أَنْ يُسَلِّمَ مَا يَمْلِكُ مِنْهُ إِلَى الْمَجْرُوحِ فَيَخْتَدِمُهُ الْمَجْرُوحُ وَيُقَاصُّهُ بِجِرَاحِهِ مِنْ دِيَةِ جَرْحِهِ فَإِنْ أَدَّى قَبْلَ أَنْ يَهْلِكَ سَيِّدُهُ رَجَعَ إِلَى سَيِّدِهِقَالَ مَالِك وَالْأَمْرُ عِنْدَنَا فِي الْمُدَبَّرِ إِذَا جَرَحَ ثُمَّ هَلَكَ سَيِّدُهُ وَلَيْسَ لَهُ مَالٌ غَيْرُهُ أَنَّهُ يُعْتَقُ ثُلُثُهُ ثُمَّ يُقْسَمُ عَقْلُ الْجَرْحِ أَثْلَاثًا فَيَكُونُ ثُلُثُ الْعَقْلِ عَلَى الثُّلُثِ الَّذِي عَتَقَ مِنْهُ وَيَكُونُ ثُلُثَاهُ عَلَى الثُّلُثَيْنِ اللَّذَيْنِ بِأَيْدِي الْوَرَثَةِ إِنْ شَاءُوا أَسْلَمُوا الَّذِي لَهُمْ مِنْهُ إِلَى صَاحِبِ الْجَرْحِ وَإِنْ شَاءُوا أَعْطَوْهُ ثُلُثَيْ الْعَقْلِ وَأَمْسَكُوا نَصِيبَهُمْ مِنْ الْعَبْدِ وَذَلِكَ أَنَّ عَقْلَ ذَلِكَ الْجَرْحِ إِنَّمَا كَانَتْ جِنَايَتُهُ مِنْ الْعَبْدِ وَلَمْ تَكُنْ دَيْنًا عَلَى السَّيِّدِ فَلَمْ يَكُنْ ذَلِكَ الَّذِي أَحْدَثَ الْعَبْدُ بِالَّذِي يُبْطِلُ مَا صَنَعَ السَّيِّدُ مِنْ عِتْقِهِ وَتَدْبِيرِهِ فَإِنْ كَانَ عَلَى سَيِّدِ الْعَبْدِ دَيْنٌ لِلنَّاسِ مَعَ جِنَايَةِ الْعَبْدِ بِيعَ مِنْ الْمُدَبَّرِ بِقَدْرِ عَقْلِ الْجَرْحِ وَقَدْرِ الدَّيْنِ ثُمَّ يُبَدَّأُ بِالْعَقْلِ الَّذِي كَانَ فِي جِنَايَةِ الْعَبْدِفَيُقْضَى مِنْ ثَمَنِ الْعَبْدِ ثُمَّ يُقْضَى دَيْنُ سَيِّدِهِ ثُمَّ يُنْظَرُ إِلَى مَا بَقِيَ بَعْدَ ذَلِكَ مِنْ الْعَبْدِ فَيَعْتِقُ ثُلُثُهُ وَيَبْقَى ثُلُثَاهُ لِلْوَرَثَةِ وَذَلِكَ أَنَّ جِنَايَةَ الْعَبْدِ هِيَ أَوْلَى مِنْ دَيْنِ سَيِّدِهِ وَذَلِكَ أَنَّ الرَّجُلَ إِذَا هَلَكَ وَتَرَكَ عَبْدًا مُدَبَّرًا قِيمَتُهُ خَمْسُونَ وَمِائَةُ دِينَارٍ وَكَانَ الْعَبْدُ قَدْ شَجَّ رَجُلًا حُرًّا مُوضِحَةً عَقْلُهَا خَمْسُونَ دِينَارًا وَكَانَ عَلَى سَيِّدِ الْعَبْدِ مِنْ الدَّيْنِ خَمْسُونَ دِينَارًا قَالَ مَالِك فَإِنَّهُ يُبْدَأُ بِالْخَمْسِينَ دِينَارًا الَّتِي فِي عَقْلِ الشَّجَّةِ فَتُقْضَى مِنْ ثَمَنِ الْعَبْدِ ثُمَّ يُقْضَى دَيْنُ سَيِّدِهِ ثُمَّ يُنْظَرُ إِلَى مَا بَقِيَ مِنْ الْعَبْدِ فَيَعْتِقُ ثُلُثُهُ وَيَبْقَى ثُلُثَاهُ لِلْوَرَثَةِ فَالْعَقْلُ أَوْجَبُ فِي رَقَبَتِهِ مِنْ دَيْنِ سَيِّدِهِ وَدَيْنُ سَيِّدِهِ أَوْجَبُ مِنْ التَّدْبِيرِ الَّذِي إِنَّمَا هُوَ وَصِيَّةٌ فِي ثُلُثِ مَالِ الْمَيِّتِ فَلَا يَنْبَغِي أَنْ يَجُوزَ شَيْءٌ مِنْ التَّدْبِيرِ وَعَلَى سَيِّدِ الْمُدَبَّرِ دَيْنٌ لَمْ يُقْضَ وَإِنَّمَا هُوَ وَصِيَّةٌ وَذَلِكَ أَنَّ اللهَ تَبَارَكَ وَتَعَالَى قَالَ{ مِنْ بَعْدِ وَصِيَّةٍ يُوصَى بِهَا أَوْ دَيْنٍ }قَالَ مَالِك فَإِنْ كَانَ فِي ثُلُثِ الْمَيِّتِ مَا يَعْتِقُ فِيهِ الْمُدَبَّرُ كُلُّهُ عَتَقَ وَكَانَ عَقْلُ جِنَايَتِهِ دَيْنًا عَلَيْهِ يُتَّبَعُ بِهِ بَعْدَ عِتْقِهِ وَإِنْ كَانَ ذَلِكَ الْعَقْلُ الدِّيَةَ كَامِلَةً وَذَلِكَ إِذَا لَمْ يَكُنْ عَلَى سَيِّدِهِ دَيْنٌو قَالَ مَالِك فِي الْمُدَبَّرِ إِذَا جَرَحَ رَجُلًا فَأَسْلَمَهُ سَيِّدُهُ إِلَى الْمَجْرُوحِ ثُمَّ هَلَكَ سَيِّدُهُ وَعَلَيْهِ دَيْنٌ وَلَمْ يَتْرُكْ مَالًا غَيْرَهُ فَقَالَ الْوَرَثَةُ نَحْنُ نُسَلِّمُهُ إِلَى صَاحِبِ الْجُرْحِ وَقَالَ صَاحِبُ الدَّيْنِ أَنَا أَزِيدُ عَلَى ذَلِكَ إِنَّهُ إِذَا زَادَ الْغَرِيمُ شَيْئًا فَهُوَ أَوْلَى بِهِ وَيُحَطُّ عَنْ الَّذِي عَلَيْهِ الدَّيْنُ قَدْرُ مَا زَادَ الْغَرِيمُ عَلَى دِيَةِ الْجَرْحِ فَإِنْ لَمْ يَزِدْ شَيْئًا لَمْ يَأْخُذْ الْعَبْدَو قَالَ مَالِك فِي الْمُدَبَّرِ إِذَا جَرَحَ وَلَهُ مَالٌ فَأَبَى سَيِّدُهُ أَنْ يَفْتَدِيَهُ فَإِنَّ الْمَجْرُوحَ يَأْخُذُ مَالَ الْمُدَبَّرِ فِي دِيَةِ جُرْحِهِ فَإِنْ كَانَ فِيهِ وَفَاءٌ اسْتَوْفَى الْمَجْرُوحُ دِيَةَ جُرْحِهِ وَرَدَّ الْمُدَبَّرَ إِلَى سَيِّدِهِ وَإِنْ لَمْ يَكُنْ فِيهِ وَفَاءٌ اقْتَضَاهُ مِنْ دِيَةِ جُرْحِهِ وَاسْتَعْمَلَ الْمُدَبَّرَ بِمَا بَقِيَ لَهُ مِنْ دِيَةِ جُرْحِهِ
মালিক (র)- হতে বর্ণিতঃ
উমার ইব্নু আবদুল আযীয (র) মুদাব্বারের ব্যাপারে ফয়সালা করেছেন যে, সে জখম করলে তার কর্তার জন্য ওয়াজিব হবে উহা হতে, সে যে বস্তুর মালিক [অর্থাৎ ক্রীতদাসের খেদমত] তা জখমী ব্যক্তির নিকট সোপর্দ করে দেয়া। জখমী ব্যক্তি উহা (মুদাব্বার ক্রীতদাস) হতে আদায় করবে এবং উহাকে জখমের কিসাস গণ্য করবে জখমের দীয়্যত [খেসারত] বাবদ। অতঃপর খেদমত দ্বারা তার কর্তার মৃত্যুর পূর্বে যদি দীয়্যত পরিশোধ হয়ে যায় তবে (পরিশোধের পর) তার কর্তার দিকে প্রত্যাবর্তন করবে। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)মালিক (র) বলেন মুদাব্বারের ব্যাপারে আমাদের নিকট মাসআলা এই, মুদাব্বার যদি (কাউকেও) জখম করে তারপর তার কর্তা পরলোকগমন করে এবং তার কর্তার নিকট সে ব্যতীত অন্য কোন মাল নেই, তবে মুদাব্বারের এক-তৃতীয়াংশ আযাদ হবে। অতঃপর জখমের দীয়্যতকে তিন অংশে ভাগ করা হবে। তারপর দীয়্যতের এক-তৃতীয়াংশ হবে মুদাব্বারের যে এক-তৃতীয়াংশ আযাদ হয়েছে সেই অংশের ভাগে [অর্থাৎ এক-তৃতীয়াংশ মুদাব্বার আদায় করবে] অবশিষ্ট দুই-তৃতীয়াংশ হবে ওয়ারিসদের হস্তে যে দুই-তৃতীয়াংশ (মুদাব্বারের) রয়েছে সেই দুই-তৃতীয়াংশের ভাগে। তাদের ইচ্ছা হলে তারা তাদের অংশ জখমী ব্যক্তির নিকট সোপর্দ করবে [সে দুই-তৃতীয়াংশ হতে দীয়্যত পরিমাণ খেদমত আদায় করবে] কিংবা ইচ্ছা করলে তারা দীয়্যতের দুই-তৃতীয়াংশ জখমী ব্যক্তিকে প্রদান করবে এবং ক্রীতদাস হতে নিজেদের অংশ ২/৩ নিজেদের দখলে রাখবে।ইহার কারণ এই, জখম করাটা অপরাধ ছিল ক্রীতদাসের, এই জখমের দীয়্যত গোলামের কর্তার উপর ঋণ হবে না (এই দীয়্যত গোলামকেই আদায় করতে হবে)। তাই তার কর্তা যে কার্য সম্পাদন করেছে তাকে মুদাব্বার করে ও তার আযাদীর ব্যবস্থা করে উহা মুদাব্বারের সদ্য অপরাধের ফলে বাতিল হয়ে যাবে না। যদি ক্রীতদাসের কর্তার জিম্মায় লোকের ঋণ থাকে- ক্রীতদাসের অপরাধের খেসারতসহ, তবে জখমের দীয়্যত ও (কর্তার) ঋণ পরিমাণ অংশ দাস হতে বিক্রয় করা হবে তারপর সর্বপ্রথম গোলামের অপরাধের খেসারত আদায় করা হবে গোলামের মূল্য হতে; তারপর তার কর্তার ঋণ পরিশোধ করা হবে। তারপর গোলাম হতে অবশিষ্ট যা রইল উহার ব্যবস্থা হবে এরূপ- উহা হতে এক-তৃতীয়াংশ আযাদ হয়ে যাবে এবং অবশিষ্ট দুই-তৃতীয়াংশ হবে কর্তার ওয়ারিসদের জন্য। মোটকথা, গোলামের অপরাধের খেসারত কর্তার ঋণের আগে পরিশোধ করতে হবে, যেমন কোন এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে, সে একজন মুদাব্বার দাস রেখে গিয়েছে যার মূল্য দেড়শত দীনার। সে একজন আযাদ ব্যক্তিকে এইরূপ জখম করেছে যাতে হাড় দৃষ্ট হয়, উহার দীয়্যত হচ্ছে পঞ্চাশ দীনার, আর দাসের কর্তার ঋণ ছিল পঞ্চাশ দীনার। মালিক (র) বলেন, এই অবস্থায় সর্বপ্রথম জখমের দীয়্যত পঞ্চাশ দীনার পরিশোধ করা হবে গোলামের মূল্য হতে, অতঃপর তার কর্তার ঋণ শোধ করা হবে, তারপর গোলাম হতে (৫০ দীনার) যা অবশিষ্ট রইল উহার ব্যবস্থা করা হবে এইভাবে যে, উহা হতে গোলামের এক-তৃতীয়াংশ আযাদ করা হবে, অবশিষ্ট দুই-তৃতীয়াংশ থাকবে কর্তার ওয়ারিসদের জন্য। দীয়্যত মুদাব্বারের জিম্বায় কর্তার ঋণের তুলনায় বেশি দরকারী, আর মুদাব্বারের কর্তার ঋণ মুদাব্বারের তদবীর (অর্থাৎ আযাদী) হতে বেশি জরুরী; যা মৃত ব্যক্তির এক-তৃতীয়াংশ মাল হতে ওসীয়্যত বটে, তাই মুদাব্বারের কর্তার জিম্মায় ঋণ অপরিশোধিত রেখে মুদাব্বারের তদবীর (আযাদী) কার্যকর করা জায়েয হবে না। কারণ আযাদী প্রদানের চুক্তি হচ্ছে ওসীয়্যত। এই সম্পর্কে আল্লাহ্ তা‘আলা বলেছেন مِنْ بَعْدِ وَصِيَّةٍ يُوصَى بِهَا أَوْ دَيْنٍ ওসীয়্যত অথবা ঋণ পরিশোধের পর (ঋণ সর্বসম্মতভাবে ওসীয়্যতের উপর অগ্রাধিকার লাভ করে)।মালিক (র) বলেন যদি মৃত ব্যক্তির এক-তৃতীয়াংশে মুদাব্বারের সম্পূর্ণ আযাদ হওয়ার সংকুলান হয় তবে (মুদাব্বার সম্পূর্ণ) আযাদ হয়ে যাবে, তার অপরাধের খেসারত তার উপর ঋণ থাকবে। জখমী ব্যক্তি আযাদী লাভের পর (খেসারত আদায়ের জন্য) তাকে বাধ্য করবে, যদিওবা সেই খেসারত পূর্ণ দীয়্যত হয়ে থাকে। কিন্তু কর্তার জিম্মায় ঋণ না থাকলে তখন এই ব্যবস্থা (অন্যথায় ঋণ পরিশোধের বিষয়টি অগ্রাধিকার পাবে)।মালিক (র) বলেন যে মুদাব্বার কোন ব্যক্তিকে জখম করেছে, অতঃপর তার কর্তা তাকে জখমী ব্যক্তির নিকট সোপর্দ করেছে, তারপর তার কর্তার মৃত্যু হয়েছে। কর্তার উপর রয়েছে ঋণ আর সে এই দাস ব্যতীত অন্য কোন মাল রেখে যায়নি। অতঃপর ওয়ারিসগণ বলল- আমরা একে জখমী ব্যক্তির নিকট সোপর্দ করব। ঋণদাতা বলল, আমি এর মূল্য বাড়িয়ে দিব। মালিক (র) বলেন, ঋণদাতা যখন মূল্য বাড়িয়ে দিল, তখন মুদাব্বারকে পাওয়ার অধিক উপযুক্ত পাত্র সেই। জখমের দীয়্যতের উপর ঋণদাতা যা বৃদ্ধি করল উহা যার উপর ঋণ রয়েছে [ঋণগ্রহীতা কর্তা] তার ঋণ হতে কমানো হবে। আর যদি মূল্য বৃদ্ধি না করে তবে সে দাস গ্রহণ করবে না।মালিক (র) বলেন মুদাব্বার যদি কাউকেও জখম করে এবং তার নিকট মাল থাকে, অতঃপর তার কর্তা তার খেসারত বহন করতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করে তবে জখমী ব্যক্তি জখমের দীয়্যত বাবদ মুদাব্বারের মাল কব্জা করবে। যদি সেই মালে খেসারত পূর্ণভাবে আদায় হয়ে যায় তবে জখমী ব্যক্তি (তথা হতে) জখমের দীয়্যত পূর্ণ গ্রহণ করবে এবং মুদাব্বারের মাল কব্জা করবে। এবং মুদাব্বারকে তার কর্তার নিকট ফিরিয়ে দিবে।আর যদি উহা খেসারত পূর্ণ আদায় হওয়ার মতো সম্পদ না হয় তবে যা উশুল হয় সেই পরিমাণ খেসারত বাবদ গ্রহণ করে অবশিষ্টের জন্য ক্রীতদাস হতে খেদমত নিবে।