পরিচ্ছেদঃ ৫
মুদাব্বারকে বিক্রয় করা
মুয়াত্তা ইমাম মালিক : ১৫০৫
মুয়াত্তা ইমাম মালিকহাদিস নম্বর ১৫০৫
قَالَ مَالِك الْأَمْرُ الْمُجْتَمَعُ عَلَيْهِ عِنْدَنَا فِي الْمُدَبَّرِ أَنَّ صَاحِبَهُ لَا يَبِيعُهُ وَلَا يُحَوِّلُهُ عَنْ مَوْضِعِهِ الَّذِي وَضَعَهُ فِيهِ وَأَنَّهُ إِنْ رَهِقَ سَيِّدَهُ دَيْنٌ فَإِنَّ غُرَمَاءَهُ لَا يَقْدِرُونَ عَلَى بَيْعِهِ مَا عَاشَ سَيِّدُهُ فَإِنْ مَاتَ سَيِّدُهُ وَلَا دَيْنَ عَلَيْهِ فَهُوَ فِي ثُلُثِهِ لِأَنَّهُ اسْتَثْنَى عَلَيْهِ عَمَلَهُ مَا عَاشَ فَلَيْسَ لَهُ أَنْ يَخْدُمَهُ حَيَاتَهُ ثُمَّ يُعْتِقَهُ عَلَى وَرَثَتِهِ إِذَا مَاتَ مِنْ رَأْسِ مَالِهِ وَإِنْ مَاتَ سَيِّدُ الْمُدَبَّرِ وَلَا مَالَ لَهُ غَيْرُهُ عَتَقَ ثُلُثُهُ وَكَانَ ثُلُثَاهُ لِوَرَثَتِهِ فَإِنْ مَاتَ سَيِّدُ الْمُدَبَّرِ وَعَلَيْهِ دَيْنٌ مُحِيطٌ بِالْمُدَبَّرِ بِيعَ فِي دَيْنِهِ لِأَنَّهُ إِنَّمَا يَعْتِقُ فِي الثُّلُثِ قَالَ فَإِنْ كَانَ الدَّيْنُ لَا يُحِيطُ إِلَّا بِنِصْفِ الْعَبْدِ بِيعَ نِصْفُهُ لِلدَّيْنِ ثُمَّ عَتَقَ ثُلُثُ مَا بَقِيَ بَعْدَ الدَّيْنِقَالَ مَالِك لَا يَجُوزُ بَيْعُ الْمُدَبَّرِ وَلَا يَجُوزُ لِأَحَدٍ أَنْ يَشْتَرِيَهُ إِلَّا أَنْ يَشْتَرِيَ الْمُدَبَّرُ نَفْسَهُ مِنْ سَيِّدِهِ فَيَكُونُ ذَلِكَ جَائِزًا لَهُ أَوْ يُعْطِيَ أَحَدٌ سَيِّدَ الْمُدَبَّرِ مَالًا وَيُعْتِقُهُ سَيِّدُهُ الَّذِي دَبَّرَهُ فَذَلِكَ يَجُوزُ لَهُ أَيْضًا قَالَ مَالِك وَوَلَاؤُهُ لِسَيِّدِهِ الَّذِي دَبَّرَهُقَالَ مَالِك لَا يَجُوزُ بَيْعُ خِدْمَةِ الْمُدَبَّرِ لِأَنَّهُ غَرَرٌ إِذْ لَا يُدْرَى كَمْ يَعِيشُ سَيِّدُهُ فَذَلِكَ غَرَرٌ لَا يَصْلُحُو قَالَ مَالِك فِي الْعَبْدِ يَكُونُ بَيْنَ الرَّجُلَيْنِ فَيُدَبِّرُ أَحَدُهُمَا حِصَّتَهُ إِنَّهُمَا يَتَقَاوَمَانِهِ فَإِنْ اشْتَرَاهُ الَّذِي دَبَّرَهُ كَانَ مُدَبَّرًا كُلَّهُ وَإِنْ لَمْ يَشْتَرِهِ انْتَقَضَ تَدْبِيرُهُ إِلَّا أَنْ يَشَاءَ الَّذِي بَقِيَ لَهُ فِيهِ الرِّقُّ أَنْ يُعْطِيَهُ شَرِيكَهُ الَّذِي دَبَّرَهُ بِقِيمَتِهِ فَإِنْ أَعْطَاهُ إِيَّاهُ بِقِيمَتِهِ لَزِمَهُ ذَلِكَ وَكَانَ مُدَبَّرًا كُلَّهُو قَالَ مَالِك فِي رَجُلٍ نَصْرَانِيٍّ دَبَّرَ عَبْدًا لَهُ نَصْرَانِيًّا فَأَسْلَمَ الْعَبْدُ قَالَ مَالِك يُحَالُ بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْعَبْدِ وَيُخَارَجُ عَلَى سَيِّدِهِ النَّصْرَانِيِّ وَلَا يُبَاعُ عَلَيْهِ حَتَّى يَتَبَيَّنَ أَمْرُهُ فَإِنْ هَلَكَ النَّصْرَانِيُّ وَعَلَيْهِ دَيْنٌ قُضِيَ دَيْنُهُ مِنْ ثَمَنِ الْمُدَبَّرِ إِلَّا أَنْ يَكُونَ فِي مَالِهِ مَا يَحْمِلُ الدَّيْنَ فَيَعْتِقُ الْمُدَبَّرُ
মালিক (র) হতে বর্ণিতঃ
মুদাব্বারের ব্যাপারে আমাদের নিকট সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত এই- তার কর্তা তাকে বিক্রয় করবে না। উহাকে যেই স্থানে মুদাব্বার করেছে সেই স্থান হতে অন্যত্র নিয়ে যাবে না; এবং তার কর্তার উপর যদি ঋণের চাপ থাকে তবে তার কর্তা যতদিন জীবিত থাকবে ততদিন কর্তার ঋণদাতাগণ তাকে বিক্রয় করবে না। কর্তার যদি মৃত্যু হয় এবং তার জিম্মায় ঋণ না থাকে তবে মুদাব্বার কর্তার সম্পদের এক-তৃতীয়াংশ হতে আযাদ হবে। কারণ সে তার জীবিতকাল পর্যন্ত ক্রীতদাসের আযাদী হতে তার খেদমতকে পৃথক করেছিল, তাই তার জন্য ক্রীতদাস হতে জীবদ্দশায় খেদমত গ্রহণ করা বৈধ নয়। অতঃপর মৃত্যুর সময উপস্থিত হলে (যখন উহা ওয়ারিসদের হক হবার সময় উপস্থিত তখন) তার সম্পূর্ণ সম্পদ হতে ওয়ারিসদের মীরাসের উপর হস্তক্ষেপ করে উহাকে আযাদ করে দিবে। আর যদি মুদাব্বারের কর্তার মৃত্যু হয় এই অবস্থায় যে মুদাব্বার ব্যতীত তার আর কোন সম্পদ নেই, তবে উহার এক-তৃতীয়াংশ আযাদ হবে এবং ওয়ারিসদের জন্য হবে (অবশিষ্ট) দুই-তৃতীয়াংশ, আর যদি মুদাব্বারের কর্তার মৃত্যু হয় এমতাবস্থায় যে তার ঋণ রয়েছে, আর সেই ঋণ মুদাব্বারের (মূল্যের) সমপরিমাণ হয়, তবে উহাকে কর্তার ঋণ পরিশোধের জন্য বিক্রয় করা হবে। কারণ উহাকে আযাদ করা হয় এক-তৃতীয়াংশ সম্পদ হতে, আর যদি ঋণ মুদাব্বারের অর্ধেক পরিমাণ হয়, তবে উহার অর্ধেক ঋণের জন্য বিক্রয় করা হবে। অতঃপর ঋণের পর যা অবশিষ্ট থাকবে উহার এক-তৃতীয়াংশ হতে তাকে আযাদ করা হবে।মালিক (র) বলেন মুদাব্বারকে বিক্রয় করা জায়েয নয় এবং কারো পক্ষে উহা খরিদ করাও জায়েয নয়, কিন্তু মুদাব্বার যদি নিজেকে কর্তা হতে ক্রয় করে নেয়, তবে উহা জায়েয হবে। অথবা কেউ মুদাব্বারের কর্তাকে অর্থ দিল, মুদাব্বারকারী কর্তা উহাকে আযাদ করে দিল, তবে ইহাও তার জন্য বৈধ হবে। মালিক (র) বলেন, উহার (অর্থাৎ মুদাব্বারের) উত্তরাধিকার হবে সেই কর্তার, যে কর্তা তাকে মুদাব্বার করেছে।মালিক (র) বলেন মুদাব্বারের খেদমত বিক্রয় জায়েয নয় এবং এটা এক প্রকার প্রতারণা। কারণ উহার কর্তা কতদিন জীবিত থাকবে তা অজানা, কাজেই উহা (এক প্রকার) প্রতারণা যা মঙ্গল নয়।মালিক (র) বলেন একটি ক্রীতদাস দুইজনের শরীকানায় রয়েছে। উহাদের একজন তার হিস্সাকে মুদাব্বার করে দিল। তবে তারা উভয়ে উহার মূল্য ধার্য করবে (এর পর) যে মুদাব্বার করেছে সে যদি (অপর অংশী হতে) ক্রয় করে নেয়, তবে উহা পূর্ণ মুদাব্বার হয়ে যাবে। আর যদি উহাকে ক্রয় না করে তবে মুদাব্বার করা বাতিল হয়ে যাবে। কিন্তু যদি যে অংশীর মালিকানা অংশ উহাতে বহাল রয়েছে সে যদি তার যে শরীক মুদাব্বার করেছে সে শরীকের নিকট হতে তার অংশের মূল্য গ্রহণ করে তাকে (ক্রীতদাসকে পূর্ণরূপে) দিয়ে দেয় তবে তার (যে মুদাব্বার করেছে) জন্য উহা গ্রহণ করা জুরুরী হবে। ফলে ক্রীতদাস পূর্ণরূপে মুদাব্বার হয়ে যাবে।মালিক (র) বলেন কোন খ্রিস্টান স্বীয় খ্রিস্টান ক্রীতদাসকে মুদাব্বার করে, অতঃপর ক্রীতদাস ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছে। মালিক (র) বলেন পৃথক করা হবে সেই খ্রিস্টান ও তার ক্রীতদাসকে, আর তার কর্তার পক্ষে ক্রীতদাসটি খাজনা আদায় করবে। কর্তার অবস্থা স্পষ্ট না হওয়া পর্যন্ত তাকে (ক্রীতদাসকে) বিক্রয় করা হবে না। আর যদি তার কর্তার মৃত্যু হয় এবং তার ঋণ থাকে তবে তার ঋণ পরিশোধ করা হবে মুদাব্বারের মূল্য হতে। কিন্তু ঋণ পরিশোধ করবার মতো যদি তার সম্পদ থাকে তবে সম্পদ হতে ঋণ পরিশোধ করা হবে এবং মুদাব্বার আযাদ হয়ে যাবে (এক-তৃতীয়াংশ হতে)।