পরিচ্ছেদ ৭
যে ধরনের কসমে কাফ্ফারা ওয়াজিব হয়
মুয়াত্তা ইমাম মালিক : ১০১২
মুয়াত্তা ইমাম মালিকহাদিস নম্বর ১০১২
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ حَلَفَ بِيَمِينٍ فَرَأَى غَيْرَهَا خَيْرًا مِنْهَا فَلْيُكَفِّرْ عَنْ يَمِينِهِ وَلْيَفْعَلْ الَّذِي هُوَ خَيْرٌ ১৭৩৯-قَالَ يَحْيَى و سَمِعْت قَوْله تَعَالَى يَقُولُ مَنْ قَالَ عَلَيَّ نَذْرٌ وَلَمْ يُسَمِّ شَيْئًا إِنَّ عَلَيْهِ كَفَّارَةَ يَمِينٍقَالَ مَالِك فَأَمَّا التَّوْكِيدُ فَهُوَ حَلِفُ الْإِنْسَانِ فِي الشَّيْءِ الْوَاحِدِ مِرَارًا يُرَدِّدُ فِيهِ الْأَيْمَانَ يَمِينًا بَعْدَ يَمِينٍ كَقَوْلِهِ وَاللهِ لَا أَنْقُصُهُ مِنْ كَذَا وَكَذَا يَحْلِفُ بِذَلِكَ مِرَارًا ثَلَاثًا أَوْ أَكْثَرَ مِنْ ذَلِكَ قَالَ فَكَفَّارَةُ ذَلِكَ كَفَّارَةٌ وَاحِدَةٌ مِثْلُ كَفَّارَةِ الْيَمِيْنِ ১৭৪১-فَإِنْ حَلَفَ رَجُلٌ مَثَلًا فَقَالَ وَاللهِ لَا آكُلُ هَذَا الطَّعَامَ وَلَا أَلْبَسُ هَذَا الثَّوْبَ وَلَا أَدْخُلُ هَذَا الْبَيْتَ فَكَانَ هَذَا فِي يَمِينٍ وَاحِدَةٍ فَإِنَّمَا عَلَيْهِ كَفَّارَةٌ وَاحِدَةٌ وَإِنَّمَا ذَلِكَ كَقَوْلِ الرَّجُلِ لِامْرَأَتِهِ أَنْتِ الطَّلَاقُ إِنْ كَسَوْتُكِ هَذَا الثَّوْبَ وَأَذِنْتُ لَكِ إِلَى الْمَسْجِدِ يَكُونُ ذَلِكَ نَسَقًا مُتَتَابِعًا فِي كَلَامٍ وَاحِدٍ فَإِنْ حَنِثَ فِي شَيْءٍ وَاحِدٍ مِنْ ذَلِكَ فَقَدْ وَجَبَ عَلَيْهِ الطَّلَاقُ وَلَيْسَ عَلَيْهِ فِيمَا فَعَلَ بَعْدَ ذَلِكَ حِنْثٌ إِنَّمَا الْحِنْثُ فِي ذَلِكَ حِنْثٌ وَاحِدٌ ১৭৪২- قَالَ مَالِك الْأَمْرُ عِنْدَنَا فِي نَذْرِ الْمَرْأَةِ إِنَّهُ جَائِزٌ بِغَيْرِ إِذْنِ زَوْجِهَا يَجِبُ عَلَيْهَا ذَلِكَ وَيَثْبُتُ إِذَا كَانَ ذَلِكَ فِي جَسَدِهَا وَكَانَ ذَلِكَ لَا يَضُرُّ بِزَوْجِهَا وَإِنْ كَانَ ذَلِكَ يَضُرُّ بِزَوْجِهَا فَلَهُ مَنْعُهَا مِنْهُ وَكَانَ ذَلِكَ عَلَيْهَا حَتَّى تَقْضِيَهُ.
আবূ হুরায়রা (রা) হতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন : কোন বিষয়ে কসম করার পর তার বিপরীত বিষয় যদি অধিক ভাল ও মঙ্গলজনক মনে হয়; তবে ঐ কসম ভেঙ্গে তার কাফ্ফারা দেবে এবং মঙ্গলজনক কাজটি করবে। (সহীহ, মুসলিম ১৬৫০)
মালিক (র) বলেন, কেউ বলল : আমি মানত করলাম। কিন্তু কিসের উপর মানত করল তা বলল না। তবুও তার উপর কাফ্ফারা ওয়াজিব হবে।মালিক (র) বলেন : একই কসম কেউ যদি একাধিকবার করে, যেমন আল্লাহর কসম, আমি ইহা হতে কম করব না। এই বিষয়ের উপর সে তিনবার বা ততোধিক কসম করল। তবে তার একবারই কাফ্ফারা ওয়াজিব হবে।মালিক (র) বলেন : কেউ কসম করল আল্লাহর কসম, আমি এই খাদ্য আহার করব না, এই কাপড়টি পরব না এবং এ ঘরে প্রবেশ করব না। পরে এ কাজগুলো সে যদি করে ফেলে তবে তার উপর একই কাফ্ফারা ওয়াজিব হবে। যেমন কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীকে বলল : তোমাকে যদি এ কাপড়টি পরতে দেই এবং মসজিদে যেতে অনুমতি দেই তবে তুমি তালাক। উহা সমস্তটা মিলিয়ে একই কথা বলে গণ্য হয় এবং যে কোন একটি হলে তালাক হয়ে যায় আর পরে অন্যটি সংঘটিত হলে দ্বিতীয়বার তালাক হয় না। এইখানেও তদ্রূপ একবারই কাফ্ফারা ওয়াজিব হবে।মালিক (র) বলেন : আমাদের নিকট মাসআলা এই- স্বামীর অনুমতি ব্যতিরেকেও স্ত্রীর মানত করা জায়েয আছে। তবে তা একান্ত ব্যক্তিগত হতে হবে। শর্ত হল, স্বামীর কোন ক্ষতি যেন না হয়। স্বামীর ক্ষতি হলে সে স্ত্রীকে এই ধরনের মানত হতে বিরত করতে পারবে। তবে স্ত্রীর উপর ঐ মানত ওয়াজিব থেকে যাবে। যখনই স্বামীর অনুমতি লাভ করবে উহা আদায় করবে।