পরিচ্ছেদ ৬
যে ধরনের কসমে কাফ্ফারা ওয়াজিব হয় না
মুয়াত্তা ইমাম মালিক : ১০১১
মুয়াত্তা ইমাম মালিকহাদিস নম্বর ১০১১
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ مَنْ قَالَ وَاللهِ ثُمَّ قَالَ إِنْ شَاءَ اللهُ ثُمَّ لَمْ يَفْعَلْ الَّذِي حَلَفَ عَلَيْهِ لَمْ يَحْنَثْ ১৭৩৫-قَالَ مَالِك أَحْسَنُ مَا سَمِعْتُ فِي الثُّنْيَا أَنَّهَا لِصَاحِبِهَا مَا لَمْ يَقْطَعْ كَلَامَهُ وَمَا كَانَ مِنْ ذَلِكَ نَسَقًا يَتْبَعُ بَعْضُهُ بَعْضًا قَبْلَ أَنْ يَسْكُتَ فَإِذَا سَكَتَ وَقَطَعَ كَلَامَهُ فَلَا ثُنْيَا لَهُ ১৭৩৬-قَالَ يَحْيَى و قَالَ مَالِك فِي الرَّجُلِ يَقُولُ كَفَرَ بِاللهِ أَوْ أَشْرَكَ بِاللهِ ثُمَّ يَحْنَثُ إِنَّهُ لَيْسَ عَلَيْهِ كَفَّارَةٌ وَلَيْسَ بِكَافِرٍ وَلَا مُشْرِكٍ حَتَّى يَكُونَ قَلْبُهُ مُضْمِرًا عَلَى الشِّرْكِ وَالْكُفْرِ وَلْيَسْتَغْفِرْ اللهَ وَلَا يَعُدْ إِلَى شَيْءٍ مِنْ ذَلِكَ وَبِئْسَ مَا صَنَعَ.
নাফি’ (র) হতে বর্ণিতঃ
আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রা) বলতেন : যদি কেউ কসম করে ইনশাআল্লাহ (যদি আল্লাহ চাহেন) বলে তবে কসমকৃত কাজটি না করলে এই কসম ভঙ্গ হবে না। [১] (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)মালিক (র) বলেন : ‘ইনশাআল্লাহ’ কসমের সঙ্গে সঙ্গে এবং কথার ধারাবাহিকতা বজায় থাকতে বলতে হবে। কেউ কসম করে কিছুক্ষণ চুপ থাকার পর যদি ‘ইনশাআল্লাহ’ বলে তবে আর উহা ধর্তব্য হবে না।মালিক (র) বলেন : কেউ বলল, আমি যদি এই কাজ করি তবে আমি কাফের বা মুশরিক। পরে যদি ঐ ব্যক্তি কাজটি করে ফেলে তবে তার কাফ্ফারা ওয়াজিব হবে। কিন্তু অন্তরে শিরক কুফরীর আকীদা না হলে এতে কাফের বা মুশরিক হয়ে যাবে না। তবে গুনাহগার হবে। ভবিষ্যতে এই ধরনের কিছু করবে না বলে তাকে তাওবা করতে হবে। এই ধরনের কসম অতি নিন্দনীয়।
[১] তা কসম বলে গণ্য হয় না এবং এতে কাফফারাও ওয়াজিব হয় না।