পরিচ্ছেদঃ ১৬
রোযার মানত করা এবং মৃত ব্যক্তির পক্ষ হতে রোযা রাখা
মুয়াত্তা ইমাম মালিক : ৬৫৮
মুয়াত্তা ইমাম মালিকহাদিস নম্বর ৬৫৮
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ أَنَّهُ سُئِلَ عَنْ رَجُلٍ نَذَرَ صِيَامَ شَهْرٍ هَلْ لَهُ أَنْ يَتَطَوَّعَ فَقَالَ سَعِيدٌ لِيَبْدَأْ بِالنَّذْرِ قَبْلَ أَنْ يَتَطَوَّعَ ৩৭قَالَ مَالِك وَبَلَغَنِي عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ مِثْلُ ذَلِكَ ১-قَالَ مَالِك مَنْ مَاتَ وَعَلَيْهِ نَذْرٌ مِنْ رَقَبَةٍ يُعْتِقُهَا أَوْ صِيَامٍ أَوْ صَدَقَةٍ أَوْ بَدَنَةٍ فَأَوْصَى بِأَنْ يُوَفَّى ذَلِكَ عَنْهُ مِنْ مَالِهِ فَإِنَّ الصَّدَقَةَ وَالْبَدَنَةَ فِي ثُلُثِهِ وَهُوَ يُبَدَّى عَلَى مَا سِوَاهُ مِنْ الْوَصَايَا إِلَّا مَا كَانَ مِثْلَهُ وَذَلِكَ أَنَّهُ لَيْسَ الْوَاجِبُ عَلَيْهِ مِنْ النُّذُورِ وَغَيْرِهَا كَهَيْئَةِ مَا يَتَطَوَّعُ بِهِ مِمَّا لَيْسَ بِوَاجِبٍ وَإِنَّمَا يُجْعَلُ ذَلِكَ فِي ثُلُثِهِ خَاصَّةً دُونَ رَأْسِ مَالِهِ لِأَنَّهُ لَوْ جَازَ لَهُ ذَلِكَ فِي رَأْسِ مَالِهِ لَأَخَّرَ الْمُتَوَفَّى مِثْلَ ذَلِكَ مِنْ الْأُمُورِ الْوَاجِبَةِ عَلَيْهِ حَتَّى إِذَا حَضَرَتْهُ الْوَفَاةُ وَصَارَ الْمَالُ لِوَرَثَتِهِ سَمَّى مِثْلَ هَذِهِ الْأَشْيَاءِ الَّتِي لَمْ يَكُنْ يَتَقَاضَاهَا مِنْهُ مُتَقَاضٍ فَلَوْ كَانَ ذَلِكَ جَائِزًا لَهُ أَخَّرَ هَذِهِ الْأَشْيَاءَ حَتَّى إِذَا كَانَ عِنْدَ مَوْتِهِ سَمَّاهَا وَعَسَى أَنْ يُحِيطَ بِجَمِيعِ مَالِهِ فَلَيْسَ ذَلِكَ لَهُ.
মালিক (র) হতে বর্ণিতঃ
সাঈদ ইবনু মুসায়্যাব (র)-কে জিজ্ঞেস করা হল সেই ব্যক্তি সম্পর্কে, যে ব্যক্তি মাসের রোযার মানত করেছে, তার জন্য নফল রোযা রাখা জায়েয কিনা? সাঈদ (র) বললেন, নফলের পূর্বে মানতের (রোযা) আরম্ভ করবে। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)মালিক (র) বলেন, সুলায়মান ইবনু ইয়াসার (র) হতেও আমার নিকট এইরূপ রেওয়ায়ত পৌঁছেছে।ইয়াহইয়া (র) বলেন, মালিক (র) বলেছেন, যে ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে অথচ তার উপর মানত রয়েছে গোলাম আযাদ করার অথবা সদকা প্রদানের অথবা কুরবানী করার। ফলে সে তার সম্পদ হতে সেই মানত পূর্ণ করার অসিয়ত করেছে। তবে সদকা এবং কুরবানী তার সম্পদের এক-তৃতীয়াংশ হতে পূর্ণ করা হবে।মানতকে অন্যান্য নফল অসিয়তের উপর অগ্রাধিকার প্রদান করা হবে। তবে যদি অন্য অসিয়ত ও মানতের মত (ওয়াজিব) হয়। কারণ নফল কাজ বা নফল কাজের অসিয়ত ওয়াজিব অসিয়ত ও মানতের সমতুল্য নয়। মানত ইত্যাদি মৃত ব্যক্তির সকল সম্পদ হতে আদায় না করে এক-তৃতীয়াংশ সম্পদ হতে আদায় করা হবে। যদি তাঁর জন্য এটা বৈধ হয়, তবে মুতাওয়াফ্ফী (মৃত্যুর সন্নিকটে পৌঁছেছে এমন ব্যক্তি) তার উপর ওয়াজিব বিষয়গুলোকে পিছিয়ে রাখবে। এমতাবস্থায় যখন তার মৃত্যু উপস্থিত হবে, তখন তার সম্পদের মালিক হবে তার ওয়ারিসগণ, বিশেষত ঐ সকল বিষয় যেসব বিষয়ে তার পক্ষ হতে তাকীদ করবার জন্য তেমন কোন ব্যক্তি না থাকে। (স্বভাবতই ওয়ারিসগণ ঐসব মানত বা অসিয়ত পূর্ণ করতে আগ্রহী হবে না)। সকল সম্পদ হতে ঐসব আদায় করা তার জন্য জায়েয হলে সে এই সকল ব্যাপারে বিলম্ব করবে। যখন মৃত্যুর সময় উপস্থিত হবে তখন সে উহা প্রকাশ করবে। হয়তো ঐ সকল (প্রকাশিত দাবি-দাওয়া) পূরণে তার সমস্ত সম্পত্তিই নিঃশেষ হয়ে যাবে, তার জন্য এটা জায়েয নয়।