পরিচ্ছেদঃ ১৫
রোযার রুগ্ন ব্যক্তির করণীয়
মুয়াত্তা ইমাম মালিক : ৬৫৭
মুয়াত্তা ইমাম মালিকহাদিস নম্বর ৬৫৭
قَالَ يَحْيَى سَمِعْت قَوْله تَعَالَى يَقُولُ الْأَمْرُ الَّذِي سَمِعْتُ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنَّ الْمَرِيضَ إِذَا أَصَابَهُ الْمَرَضُ الَّذِي يَشُقُّ عَلَيْهِ الصِّيَامُ مَعَهُ وَيُتْعِبُهُ وَيَبْلُغُ ذَلِكَ مِنْهُ فَإِنَّ لَهُ أَنْ يُفْطِرَ وَكَذَلِكَ الْمَرِيضُ الَّذِي اشْتَدَّ عَلَيْهِ الْقِيَامُ فِي الصَّلَاةِ وَبَلَغَ مِنْهُ وَمَا اللهُ أَعْلَمُ بِعُذْرِ ذَلِكَ مِنْ الْعَبْدِ وَمِنْ ذَلِكَ مَا لَا تَبْلُغُ صِفَتُهُ فَإِذَا بَلَغَ ذَلِكَ صَلَّى وَهُوَ جَالِسٌ وَدِينُ اللهِ يُسْرٌ وَقَدْ أَرْخَصَ اللهُ لِلْمُسَافِرِ فِي الْفِطْرِ فِي السَّفَرِ وَهُوَ أَقْوَى عَلَى الصِّيَامِ مِنْ الْمَرِيضِ قَالَ اللهُ تَعَالَى فِي كِتَابِهِ { فَمَنْ كَانَ مِنْكُمْ مَرِيضًا أَوْ عَلَى سَفَرٍ فَعِدَّةٌ مِنْ أَيَّامٍ أُخَرَ } فَأَرْخَصَ اللهُ لِلْمُسَافِرِ فِي الْفِطْرِ فِي السَّفَرِ وَهُوَ أَقْوَى عَلَى الصَّوْمِ مِنْ الْمَرِيض فَهَذَا أَحَبُّ مَا سَمِعْتُ إِلَيَّ وَهُوَ الْأَمْرُ الْمُجْتَمَعُ عَلَيْهِ.
ইয়াহইয়া (র) হতে বর্ণিতঃ
আমি মালিক (র)-কে বলতে শুনেছি, আমি আহলে ইলম-এর কাছে যা শুনেছি তা হচ্ছে এই পীড়িত ব্যক্তির যদি এমন রোগ হয় যাতে রোযা রাখা তার জন্য দুষ্কর এবং কষ্টদায়ক হয়, যখন রোগ এই স্তরে পৌঁছে তখন তার জন্য রোযা ইফতার (রাখিয়া ভাঙিয়া ফেলা বা শুরুতেই না রাখা) করা জায়েয আছে। তদ্রূপ পীড়িত ব্যক্তির যদি নামাযে দাঁড়াতে মুশকিল হয় অর্থাৎ পীড়ার কারণে তার ওযর (অপারগতা) সেই দরজায় পৌঁছায়, আল্লাহ্ তা’আলা বান্দার ওযর সম্পর্কে বান্দা অপেক্ষা অধিক জ্ঞাত। আবার কোন কোন রোগ সেই দরজার হয় না, যখন ওযর এই স্তরে পৌঁছে, তখন সে বসে নামায আদায় করবে। আর আল্লাহর দ্বীন সহজ। তিনি মুসাফিরের জন্য সফরে রোযা ভাঙার অনুমতি দিয়েছেন। অথচ মুসাফির পীড়িত ব্যক্তির তুলনায় রোযা রাখতে অধিক সক্ষম।আল্লাহ্ তা’আলা কিতাবে বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি রুগ্ন থাকে অথবা সফরে থাকে, সে অন্যদিন রোযা করবে।’ আল্লাহ্ তা’আলা (এই আয়াতে) মুসাফিরের জন্য সফরে রোযা না রাখার অনুমতি দিয়েছেন। অথচ সে রোযার উপর পীড়িতের তুলনায় অধিক শক্তিশালী। এই ব্যাপারে যা শুনেছি তন্মধ্যে এটাই আমার কাছে পছন্দনীয়। আমাদের নিকট এটাই ঐকমত্যে গৃহীত।