পরিচ্ছেদ ১২:
সর্প মেরে ফেলা সম্পর্কিত মাসাইল
মুয়াত্তা ইমাম মালিক : ১৭৭০
মুয়াত্তা ইমাম মালিকহাদিস নম্বর ১৭৭০
و حَدَّثَنِي مَالِك عَنْ صَيْفِيٍّ مَوْلَى ابْنِ أَفْلَحَ عَنْ أَبِي السَّائِبِ مَوْلَى هِشَامِ بْنِ زُهْرَةَ أَنَّهُ قَالَ دَخَلْتُ عَلَى أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّفَوَجَدْتُهُ يُصَلِّي فَجَلَسْتُ أَنْتَظِرُهُ حَتَّى قَضَى صَلَاتَهُ فَسَمِعْتُ تَحْرِيكًا تَحْتَ سَرِيرٍ فِي بَيْتِهِ فَإِذَا حَيَّةٌ فَقُمْتُ لِأَقْتُلَهَا فَأَشَارَ أَبُو سَعِيدٍ أَنْ اجْلِسْ فَلَمَّا انْصَرَفَ أَشَارَ إِلَى بَيْتٍ فِي الدَّارِ فَقَالَ أَتَرَى هَذَا الْبَيْتَ فَقُلْتُ نَعَمْ قَالَ إِنَّهُ قَدْ كَانَ فِيهِ فَتًى حَدِيثُ عَهْدٍ بِعُرْسٍ فَخَرَجَ مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الْخَنْدَقِ فَبَيْنَا هُوَ بِهِ إِذْ أَتَاهُ الْفَتَى يَسْتَأْذِنُهُ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ ائْذَنْ لِي أُحْدِثُ بِأَهْلِي عَهْدًا فَأَذِنَ لَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَالَ خُذْ عَلَيْكَ سِلَاحَكَ فَإِنِّي أَخْشَى عَلَيْكَ بَنِي قُرَيْظَةَ فَانْطَلَقَ الْفَتَى إِلَى أَهْلِهِ فَوَجَدَ امْرَأَتَهُ قَائِمَةً بَيْنَ الْبَابَيْنِ فَأَهْوَى إِلَيْهَا بِالرُّمْحِ لِيَطْعُنَهَا وَأَدْرَكَتْهُ غَيْرَةٌ فَقَالَتْ لَا تَعْجَلْ حَتَّى تَدْخُلَ وَتَنْظُرَ مَا فِي بَيْتِكَ فَدَخَلَ فَإِذَا هُوَ بِحَيَّةٍ مُنْطَوِيَةٍ عَلَى فِرَاشِهِ فَرَكَزَ فِيهَا رُمْحَهُ ثُمَّ خَرَجَ بِهَا فَنَصَبَهُ فِي الدَّارِ فَاضْطَرَبَتْ الْحَيَّةُ فِي رَأْسِ الرُّمْحِ وَخَرَّ الْفَتَى مَيِّتًا فَمَا يُدْرَى أَيُّهُمَا كَانَ أَسْرَعَ مَوْتًا الْفَتَى أَمْ الْحَيَّةُ فَذُكِرَ ذَلِكَ لِرَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ إِنَّ بِالْمَدِينَةِ جِنًّا قَدْ أَسْلَمُوا فَإِذَا رَأَيْتُمْ مِنْهُمْ شَيْئًا فَآذِنُوهُ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ فَإِنْ بَدَا لَكُمْ بَعْدَ ذَلِكَ فَاقْتُلُوهُ فَإِنَّمَا هُوَ شَيْطَانٌ
হিশামের আযাদকৃত গোলাম আবূ সায়েব (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ)-এর কাছে গেলাম। তিনি নামায পড়তেছিলেন। আমি তাঁর নামায হতে অবসর হবার অপেক্ষায় বসে রইলাম। তিনি যখন নামায শেষ করলেন তখন আমি তাঁর ঘরের চৌকির নিচে কোন কিছুর নড়াচড়ার আওয়াজ শুনতে পেলাম। আমি তাকিয়ে দেখলাম যে, উহা একটি সাপ। আমি উহাকে মারতে উদ্যত হলাম। আবূ সাঈদ (রাঃ) আমাকে ইশারা করলেন যে বস (অর্থাৎ মেরো না)। অতঃপর তিনি (আমার দিকে) ফিরে ঘরের একটি কামরার দিকে ইশারা করে বললেন ঐ ঘরটি দেখছ? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেন, সেই ঘরে জনৈক যুবক বাস করত, নতুন বিবাহ করেছিল। সে রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে খন্দকের যুদ্ধে গমন করেছিল। এর পর হঠাৎ এক সময় সে রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এসে বলল, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমাকে একটু অনুমতি দান করুন, আমি আমার পরিবারের সঙ্গে একটু কথা বলে আসি। রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে অনুমতি দান করলেন এবং বললেন, যুদ্ধাস্ত্র সঙ্গে রাখ। কেননা বনু কুরায়যার আশঙ্কা রয়েছে (বনু কুরায়যা সেই ইহুদী গোত্র, যারা খন্দকের যুদ্ধের সময় ওয়াদা ভঙ্গ করে মক্কাবাসীদের সঙ্গে মিলে মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছিল)। যুবকটি অস্ত্রসহ রওয়ানা হয়ে গেল। ঘরে পৌঁছে সে তার স্ত্রীকে ঘরের দুই দরজার মধ্যবর্তী স্থানে দাঁড়ানো দেখতে পেল। স্ত্রীকে এই অবস্থায় দেখে সে রাগান্বিত হল এবং বর্শা দিয়ে স্ত্রীকে আঘাত করতে উদ্যত হল। স্ত্রী বলল, (আমাকে মারতে এত) তাড়াহুড়া করো না, বরং আগে ঘরের ভিতরে যেয়ে দেখ। অতঃপর সে ঘরের ভিতরে গিয়ে দেখল যে, কুগুলী পাকিয়ে একটি সাপ তার বিছানায় শুয়ে আছে। সে বর্শা দিয়ে সাপটিকে গেঁথে ফেলল এবং বর্শাসহ বাহিরে এসে উহা বাড়ীর মধ্যেই দাঁড় করিয়ে রাখল। সাপটি বর্শার ফলায় পেঁচাচ্ছিল, আর তখনই যুবকটি মারা গেল। তবে ইহা জানা যায়নি যে, যুবকটি আগে মারা গেল, না সাপটি? রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট উক্ত ঘটনা বিবৃত করা হলে পরে তিনি বললেন, মদীনায় জ্বিন ইসলাম গ্রহণ করেছে। অতএব তোমরা যদি সাপ দেখ তবে তিনদিন পর্যন্ত তাকে সতর্ক কর। তারপরেও যদি তাকে দেখ, তবে তাকে হত্যা কর। কেননা সে শয়তান। (সহীহ, মুসলিম ২২৩৬)