পরিচ্ছেদ ১২:
সর্প মেরে ফেলা সম্পর্কিত মাসাইল
মুয়াত্তা ইমাম মালিক : ১৭৬৯
মুয়াত্তা ইমাম মালিকহাদিস নম্বর ১৭৬৯
و حَدَّثَنِي مَالِك عَنْ نَافِعٍ عَنْ سَائِبَةَ مَوْلَاةٍ لِعَائِشَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنْ قَتْلِ الْجِنَّانِ الَّتِي فِي الْبُيُوتِ إِلَّا ذَا الطُّفْيَتَيْنِ وَالْأَبْتَرَ فَإِنَّهُمَا يَخْطِفَانِ الْبَصَرَ وَيَطْرَحَانِ مَا فِي بُطُونِ النِّسَاءِ
আয়িশা (রাঃ) কর্তৃক আযাদকৃত বাঁদী সায়েবা (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সেই সমস্ত সর্পকে মারতে নিষেধ করেছেন, যা ঘরে বাস করে। তবে যুত্তুফয়াতাইন ও আবতর জাতীয় সর্প মারতে নিষেধ করেননি। কেননা এই দুই প্রকার সর্প চক্ষু নষ্ট করে এবং মহিলাদের গর্ভ নষ্ট করে। [১] (বুখারী ৩৩০৮, মুসলিম ২২৩২, তবে ইমাম মালিক কর্তৃক বর্ণিত হাদীসটি মুরসাল)
[১] “যুত্তুফয়াতাইন” ঐ সাপকে বলা হয়, যার পেটে দুইটি লম্বা সাদা দাগ আছে যা মাথা হতে লেজ পর্যন্ত লম্বা। “আবতর” লেজকাটা সাপকে বলা হয় এবং ঐ সমস্ত সাপকেও আবতর বলা হয়, যা আকারে খাট। ইহা অত্যন্ত বিষাক্ত হয়। এই সমস্ত সাপের শ্বাস-প্রশ্বাসেও বিষ আছে, দেখলে মানুষের দৃষ্টিশক্তি নষ্ট হয়ে যায় এবং গর্ভবতী দেখলে গর্ভও নষ্ট হয়ে যায়। এইজন্য এই সমস্ত সাপকে হত্যা করা ব্যতীত গত্যন্তর নেই।