পরিচেছদ ১০
মুকাতাব-এর উত্তরাধিকার যখন যদি সে ক্রীতদাসকে আযাদ করে
মুয়াত্তা ইমাম মালিক : ১৪৯৬
মুয়াত্তা ইমাম মালিকহাদিস নম্বর ১৪৯৬
قَالَ مَالِك إِنَّ الْمُكَاتَبَ إِذَا أَعْتَقَ عَبْدَهُ إِنَّ ذَلِكَ غَيْرُ جَائِزٍ لَهُ إِلَّا بِإِذْنِ سَيِّدِهِ فَإِنْ أَجَازَ ذَلِكَ سَيِّدُهُ لَهُ ثُمَّ عَتَقَ الْمُكَاتَبُ كَانَ وَلَاؤُهُ لِلْمُكَاتَبِ وَإِنْ مَاتَ الْمُكَاتَبُ قَبْلَ أَنْ يُعْتَقَ كَانَ وَلَاءُ الْمُعْتَقِ لِسَيِّدِ الْمُكَاتَبِ وَإِنْ مَاتَ الْمُعْتَقُ قَبْلَ أَنْ يُعْتَقَ الْمُكَاتَبُ وَرِثَهُ سَيِّدُ الْمُكَاتَبِ قَالَ مَالِك وَكَذَلِكَ أَيْضًا لَوْ كَاتَبَ الْمُكَاتَبُ عَبْدًا فَعَتَقَ.الْمُكَاتَبُ الْآخَرُ قَبْلَ سَيِّدِهِ الَّذِي كَاتَبَهُ فَإِنَّ وَلَاءَهُ لِسَيِّدِ الْمُكَاتَبِ مَا لَمْ يَعْتِقْ الْمُكَاتَبُ الْأَوَّلُ الَّذِي كَاتَبَهُ فَإِنْ عَتَقَ الَّذِي كَاتَبَهُ رَجَعَ إِلَيْهِ وَلَاءُ مُكَاتَبِهِ الَّذِي كَانَ عَتَقَ قَبْلَهُ وَإِنْ مَاتَ الْمُكَاتَبُ الْأَوَّلُ قَبْلَ أَنْ يُؤَدِّيَ أَوْ عَجَزَ عَنْ كِتَابَتِهِ وَلَهُ وَلَدٌ أَحْرَارٌ لَمْ يَرِثُوا وَلَاءَ مُكَاتَبِ أَبِيهِمْ لِأَنَّهُ لَمْ يَثْبُتْ لِأَبِيهِمْ الْوَلَاءُ وَلَا يَكُونُ لَهُ الْوَلَاءُ حَتَّى يَعْتِقَقَالَ مَالِك فِي الْمُكَاتَبِ يَكُونُ بَيْنَ الرَّجُلَيْنِ فَيَتْرُكُ أَحَدُهُمَا لِلْمُكَاتَبِ الَّذِي لَهُ عَلَيْهِ وَيَشِحُّ الْآخَرُ ثُمَّ يَمُوتُ الْمُكَاتَبُ وَيَتْرُكُ مَالًا قَالَ مَالِك يَقْضِي الَّذِي لَمْ يَتْرُكْ لَهُ شَيْئًا مَا بَقِيَ لَهُ عَلَيْهِ ثُمَّ يَقْتَسِمَانِ الْمَالَ كَهَيْئَتِهِ لَوْ مَاتَ عَبْدًا لِأَنَّ الَّذِي صَنَعَ لَيْسَ بِعَتَاقَةٍ وَإِنَّمَا تَرَكَ مَا كَانَ لَهُ عَلَيْهِ قَالَ مَالِك وَمِمَّا يُبَيِّنُ ذَلِكَ أَنَّ الرَّجُلَ إِذَا مَاتَ وَتَرَكَ مُكَاتَبًا وَتَرَكَ بَنِينَ رِجَالًا وَنِسَاءً ثُمَّ أَعْتَقَ أَحَدُ الْبَنِينَ نَصِيبَهُ مِنْ الْمُكَاتَبِ إِنَّذَلِكَ لَا يُثْبِتُ لَهُ مِنْ الْوَلَاءِ شَيْئًا وَلَوْ كَانَتْ عَتَاقَةً لَثَبَتَ الْوَلَاءُ لِمَنْ أَعْتَقَ مِنْهُمْ مِنْ رِجَالِهِمْ وَنِسَائِهِمْقَالَ مَالِك وَمِمَّا يُبَيِّنُ ذَلِكَ أَيْضًا أَنَّهُمْ إِذَا أَعْتَقَ أَحَدُهُمْ نَصِيبَهُ ثُمَّ عَجَزَ الْمُكَاتَبُ لَمْ يُقَوَّمْ عَلَى الَّذِي أَعْتَقَ نَصِيبَهُ مَا بَقِيَ مِنْ الْمُكَاتَبِ وَلَوْ كَانَتْ عَتَاقَةً قُوِّمَ عَلَيْهِ حَتَّى يَعْتِقَ فِي مَالِهِ كَمَا قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ أَعْتَقَ شِرْكًا لَهُ فِي عَبْدٍ قُوِّمَ عَلَيْهِ قِيمَةَ الْعَدْلِ فَإِنْ لَمْ يَكُنْ لَهُ مَالٌ عَتَقَ مِنْهُ مَا عَتَقَقَالَ وَمِمَّا يُبَيِّنُ ذَلِكَ أَيْضًا أَنَّ مِنْ سُنَّةِ الْمُسْلِمِينَ الَّتِي لَا اخْتِلَافَ فِيهَا أَنَّ مَنْ أَعْتَقَ شِرْكًا لَهُ فِي مُكَاتَبٍ لَمْ يُعْتَقْ عَلَيْهِ فِي مَالِهِ وَلَوْ عَتَقَ عَلَيْهِ كَانَ الْوَلَاءُ لَهُ دُونَ شُرَكَائِهِ وَمِمَّا يُبَيِّنُ ذَلِكَ أَيْضًا أَنَّ مِنْ سُنَّةِ الْمُسْلِمِينَ أَنَّ الْوَلَاءَ لِمَنْ عَقَدَ الْكِتَابَةَ وَأَنَّهُ لَيْسَ لِمَنْ وَرِثَ سَيِّدَ الْمُكَاتَبِ مِنْ النِّسَاءِ مِنْ وَلَاءِ الْمُكَاتَبِوَإِنْ أَعْتَقْنَ نَصِيبَهُنَّ شَيْءٌ إِنَّمَا وَلَاؤُهُ لِوَلَدِ سَيِّدِ الْمُكَاتَبِ الذُّكُورِ أَوْ عَصَبَتِهِ مِنْ الرِّجَالِ
মালিক (র) হতে বর্ণিতঃ
মুকাতাবের পক্ষে আপন গোলামকে কর্তার অনুমতি ব্যতীত আযাদ করা জায়েয নয়। অতঃপর কর্তা যদি তাকে এই কার্যের অনুমতি দান করে তারপর মুকাতাব আযাদ হয়ে যায়, তবে উহার (মুকাতাব কর্তৃক আযাদকৃত গোলামের) উত্তরাধিকারিত্ব হবে মুকাতাবের জন্য। আর মুকাতাব যদি আযাদী লাভের পূর্বে মারা যায় মু‘তাক (- যাকে কিতাবাত চুক্তির মাধ্যমে আযাদ করা হয়েছে)-এর স্বত্বাধিকারিত্ব মুকাতাব (প্রথম)-এর কর্তার জন্য হবে। আর যদি মুকাতাব-এর মৃত্যু হয় (তার কর্তা) মুকাতাবের আযাদী লাভের পূর্বে তবে মুকাতাবের কর্তা উহার মীরাস পাবে। [মুকাতাব পাবে না। কারণ গোলাম উত্তরাধিকার লাভ করে না।]মালিক (র) বলেন অনুরূপ মুকাতাব তার গোলামের সাথে যদি কিতাবাত চুক্তি করে এবং পরবর্তী মুকাতাব উহার সাথে কিতাবাত চুক্তি সম্পাদনকারী কর্তার পূর্বে আযাদী লাভ করে, তবে উহার স্বত্বাধিকার وَلَاءُ হবে তার মুকাতাবের কর্তার জন্য যাবত প্রথম মুকাতাব (যে উহার সাথে কিতাবাত করেছে) আযাদী লাভ না করে। অতঃপর উহার কিতাবাত সম্পাদনকারী যদি আযাদ হয়ে যায় তার পূর্বে আযাদী লাভকারী তার মুকাতাব-এর স্বত্বাধিকার “ وَلَاءُ ” তার দিকে রুজু করা হবে। আর যদি প্রথম মুকাতাবের মৃত্যু হয় “বদলে কিতাবাত” আদায়ের পূর্বে অথবা “বদলে-কিতাবাত” পরিশোধ করতে অপারগ হয় এবং তার আযাদ সন্তান রয়েছে তবে উহারা তাদের পিতার মুকাতাবের স্বত্বাধিকার “ وَلَاءُ ”-এর অধিকারী হবে না। কারণ উহাদের পিতার জন্য স্বত্বাধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়নি। আর স্বত্বাধিকার লাভ করা হয় না আযাদী লাভ না করা পর্যন্ত।মালিক (র) বলেন যে মুকাতাব দুই ব্যক্তির মালিকানায় থাকে তাদের দুইজনের একজন মুকাতাবের উপর তার যে “বদলে কিতাবাত” প্রাপ্য রয়েছে উহা মাফ করে দিল, অপরজন ইহা করতে কার্পণ্য প্রদর্শন করল। অতঃপর মুকাতাব-এর মৃত্যু হল এবং সে সম্পদ রেখে গেল। মালিক (র) বলেন যে শরীক তার প্রাপ্য “বদলে কিতাবাত” ত্যাগ করেনি মুকাতাবের রেখে যাওয়া সম্পদ হতে তার প্রাপ্য “বদলে কিতাবাত” পরিশোধ করা হবে। তারপর ক্রীতদাস অবস্থায় মারা গেলে যেইভাবে উহার সম্পদ উভয়ের মধ্যে বন্টন করা হত, সেইভাবে উভয়ের মধ্যে অবশিষ্ট সম্পদ বন্টন করা হবে। কারণ যে শরীক প্রাপ্য ছেড়েছে উহা আযাদ করা নয়, বরং তার প্রাপ্য হক মাফ করেছে।মালিক (র) বলেন উপরিউক্ত মাসআলার বিশদ ব্যাখ্যা এইরূপ এক ব্যক্তির মৃত্যু হইল। সে রেখে গেল একজন মুকাতাব এবং কয়েকজন ছেলে ও মেয়ে, অতঃপর সন্তানদের একজন মুকাতাবের নিকট (প্রাপ্য) অংশ আযাদ করে দিল, এতে তার জন্য উত্তরাধিকার “ وَلَاءُ ” প্রতিষ্ঠিত হবে না। পক্ষান্তরে উহা যদি আযাদকৃত বলে গণ্য হত তবে নারী-পুরুষের মধ্যে যে সন্তান মুকাতাবকে আযাদ করেছে সে সন্তানের স্বত্বাধিকারিত্ব প্রতিষ্ঠিত হতে।মালিক (র) বলেন এর আরেক বর্ণনা এই, তাদের একজন নিজের অংশ আযাদ করে দিল, তারপর মুকাতাব অপারগ হল তবে মুকাতাবের উপর যে “বদলে-কিতাবাত” অবশিষ্ট রয়েছে উহার জন্য যে (মুকাতাবের মধ্য হতে) তার প্রাপ্য অংশ আযাদ করেছে তার উপর মূল্য নির্ধারিত করা হবে না (অংশ আযাদ করে দেয়ার জন্য)। যদি আযাদী প্রদান বলে গণ্য হত তবে তার উপর উহার মূল্য নির্ধারণ করা হত এবং তার মাল হতে মুকাতাব আযাদ হয়ে যেত। যেমন বলেছেন রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, যে গোলামের নিকট হতে তার প্রাপ্য অংশ ছেড়ে দেয়, ন্যায়সঙ্গতভাবে অবশিষ্ট অংশের মূল্য নির্ধারণ করে তার উপর উহা আরোপ করা হবে। যদি তার মাল না থাকে তবে যতটুকু আযাদ করেছে ততটুকু আযাদ হয়ে যাবে।মালিক (র) বলেন এর অপর ব্যাখ্যা এই মুসলমানদের সুন্নত (পদ্ধতি) এই যে, যাতে কোন দ্বিমত নেই, যে ব্যক্তি মুকাতাব হতে তার অংশ আযাদ করে দেয়, তবে তার মাল হতে বাকী “বদলে কিতাবাত” পরিশোধ করে মুকাতাবকে পূর্ণরূপে আযাদী দেয়া হবে না, যদি উহার মাল হতে আযাদ করা হত তবে উত্তরাধিকার (وَلَاءُ) তারই প্রাপ্য হত, তার অংশিদারগণের প্রাপ্য হত না।মালিক (র) বলেন ইহার আর এক ব্যাখ্যা এই- মুসলমানদের নিয়ম হচ্ছে, উত্তরাধিকার (وَلَاءُ) সেই ব্যক্তির জন্য হবে, যে ব্যক্তি কিতাবাত চুক্তি করেছে। আর স্ত্রীলোকদের মধ্যে যে মহিলা মুকাতাবের কর্তার মীরাসের অধিকারী তার জন্য মুকাতাবের উত্তরাধিকারের কিছুই সাব্যস্থ হবে না যদিও সে নিজের অংশ আযাদ করে দেয়। মুকাতাবের উত্তরাধিকার লাভ করবে মুকাতাবের পুত্র সন্তানগণ কিংবা পুরুষ আসাবা।