পরিচ্ছেদঃ ৯
মুকাতাবের ব্যাপারে শর্ত আরোপ করা
মুয়াত্তা ইমাম মালিক : ১৪৯৫
মুয়াত্তা ইমাম মালিকহাদিস নম্বর ১৪৯৫
حَدَّثَنِي مَالِك فِي رَجُلٍ كَاتَبَ عَبْدَهُ بِذَهَبٍ أَوْ وَرِقٍ وَاشْتَرَطَ عَلَيْهِ فِي كِتَابَتِهِ سَفَرًا أَوْ خِدْمَةً أَوْ ضَحِيَّةً إِنَّ كُلَّ شَيْءٍ مِنْ ذَلِكَ سَمَّى بِاسْمِهِ ثُمَّ قَوِيَ الْمُكَاتَبُ عَلَى أَدَاءِ نُجُومِهِ كُلِّهَا قَبْلَ مَحِلِّهَا قَالَ إِذَا أَدَّى نُجُومَهُ كُلَّهَا وَعَلَيْهِ هَذَا الشَّرْطُ عَتَقَ فَتَمَّتْ حُرْمَتُهُ وَنُظِرَ إِلَى مَا شَرَطَ عَلَيْهِ مِنْ خِدْمَةٍ أَوْ سَفَرٍ أَوْ مَا أَشْبَهَ ذَلِكَ مِمَّا يُعَالِجُهُ هُوَ بِنَفْسِهِ فَذَلِكَ مَوْضُوعٌ عَنْهُ لَيْسَ لِسَيِّدِهِ فِيهِ شَيْءٌ وَمَا كَانَ مِنْ ضَحِيَّةٍ أَوْ كِسْوَةٍ أَوْ شَيْءٍ يُؤَدِّيهِ فَإِنَّمَا هُوَ بِمَنْزِلَةِ الدَّنَانِيرِ وَالدَّرَاهِمِ يُقَوَّمُ ذَلِكَ عَلَيْهِ فَيَدْفَعُهُ مَعَ نُجُومِهِ وَلَا يَعْتِقُ حَتَّى يَدْفَعَ ذَلِكَ مَعَ نُجُومِهِ.قَالَ مَالِك الْأَمْرُ الْمُجْتَمَعُ عَلَيْهِ عِنْدَنَا الَّذِي لَا اخْتِلَافَ فِيهِ أَنَّ الْمُكَاتَبَ بِمَنْزِلَةِ عَبْدٍ أَعْتَقَهُ سَيِّدُهُ بَعْدَ خِدْمَةِ عَشْرِ سِنِينَ فَإِذَا هَلَكَ سَيِّدُهُ الَّذِي أَعْتَقَهُ قَبْلَ عَشْرِ سِنِينَ فَإِنَّ مَا بَقِيَ عَلَيْهِ مِنْ خِدْمَتِهِ لِوَرَثَتِهِ وَكَانَ وَلَاؤُهُ لِلَّذِي عَقَدَ عِتْقَهُ وَلِوَلَدِهِ مِنْ الرِّجَالِ أَوْ الْعَصَبَةِقَالَ مَالِك فِي الرَّجُلِ يَشْتَرِطُ عَلَى مُكَاتَبِهِ أَنَّكَ لَا تُسَافِرُ وَلَا تَنْكِحُ وَلَا تَخْرُجُ مِنْ أَرْضِي إِلَّا بِإِذْنِي فَإِنْ فَعَلْتَ شَيْئًا مِنْ ذَلِكَ بِغَيْرِ إِذْنِي فَمَحْوُ كِتَابَتِكَ بِيَدِي قَالَ مَالِك لَيْسَ مَحْوُ كِتَابَتِهِ بِيَدِهِ إِنْ فَعَلَ الْمُكَاتَبُ شَيْئًا مِنْ ذَلِكَ وَلْيَرْفَعْ سَيِّدُهُ ذَلِكَ إِلَى السُّلْطَانِ وَلَيْسَ لِلْمُكَاتَبِ أَنْ يَنْكِحَ وَلَا يُسَافِرَ وَلَا يَخْرُجَ مِنْ أَرْضِ سَيِّدِهِ إِلَّا بِإِذْنِهِ اشْتَرَطَ ذَلِكَ أَوْ لَمْ يَشْتَرِطْهُ وَذَلِكَ أَنَّ الرَّجُلَ يُكَاتِبُ عَبْدَهُ بِمِائَةِ دِينَارٍ وَلَهُ أَلْفُ دِينَارٍ أَوْ أَكْثَرُ مِنْ ذَلِكَ فَيَنْطَلِقُ فَيَنْكِحُ الْمَرْأَةَ فَيُصْدِقُهَا الصَّدَاقَ الَّذِي يُجْحِفُ بِمَالِهِ وَيَكُونُ فِيهِ عَجْزُهُ فَيَرْجِعُ إِلَى سَيِّدِهِ عَبْدًا لَا مَالَ لَهُ أَوْ يُسَافِرُ فَتَحِلُّ نُجُومُهُ وَهُوَ غَائِبٌ فَلَيْسَ ذَلِكَ لَهُ وَلَا عَلَى ذَلِكَ كَاتَبَهُ وَذَلِكَ بِيَدِ سَيِّدِهِ إِنْ شَاءَ أَذِنَ لَهُ فِي ذَلِكَ وَإِنْ شَاءَ مَنَعَهُ.
মালিক (র) হতে বর্ণিতঃ
যে ব্যক্তি স্বর্ণ অথবা রৌপ্যের [১] বিনিময়ে আপন ক্রীতদাসের সাথে মুকাতাবাত করেছে এবং ক্রীতদাসের উপর তার কিতাবাতের মধ্যে শর্তারোপ করেছে, সফরের অথবা খেদমতের অথবা কুরবানীর, আর এর প্রত্যেকটির নাম নির্দিষ্ট করে দিয়েছে (যার শর্ত করেছে কিতাবাতের মধ্যে)। অতঃপর মুকাতাব নির্দিষ্ট সময় আসার পূর্বে তার সকল কিস্তি পরিশোধ করতে সমর্থ হয়েছে। মালিক (র) বলেন যখন উহার সকল কিস্তি পরিশোধ করেছে, উহার উপর এই শর্ত (আরোপিত) রয়েছে, সে আযাদ হয়ে যাবে এবং উহার সম্মান পূর্ণ হয়েছে। এখন লক্ষ্য করতে হবে, উহার উপর যে শর্তারোপ করা হয়েছে খেদমত করা অথবা সফর করা অথবা এই জাতীয় অন্য কিছু যা উহাকে নিজেই করতে হবে। তবে এই জাতীয় শর্তাদি উহা হতে সে নিষ্কৃতি পাবে এবং তার কর্তার এই জাতীয় কিছুতে অধিকার থাকবে না। পক্ষান্তরে যে শর্ত হয় কুরবানী; পোশাক অথবা অন্য কোন কিছুর যা আদায় করা হয় (এই জাতীয় শর্ত করে থাকলে) উহা হবে দীনার, দিরহামের মতো। মুকাতাবের উপর উহার মূল্য নির্ধারিত করা হবে। অতঃপর সেই অর্থ কিস্তির মাধ্যমে কর্তাকে পরিশোধ করবে। যতক্ষণ কিস্তির সহিত ইহা আদায় না করবে ততক্ষণ সে আযাদ হবে না।মালিক (র) বলেন আমাদের নিকট সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত যাতে কোন মতভেদ নেই, তা এই- মুকাতাব সেই ক্রীতদাসের মতো যার উপর তার কর্তা শর্তারোপ করেছে যে, দশ বৎসর খেদমত করার পর সে আযাদ হয়ে যাবে। অতঃপর তার কর্তা মৃত্যুবরণ করেছে দশ বৎসর (অতিবাহিত হওয়ার) পূর্বে। তবে যে (কয় বৎসর বা মাসের) খেদমত অবশিষ্ট রয়েছে সে খেদমত কর্তার ওয়ারিসগণের প্রাপ্য হবে; আর (আযাদীর) পর উহার উত্তরাধিকার পাবে যে আযাদীর চুক্তি করেছিল সে এবং তার পুরুষ সন্তানগণ অথবা আসাবাগণ।মালিক (র) বলেন এক ব্যক্তি তার মুকাতাবের উপর শর্তারোপ করেছে, তুমি সফরে যাবে না, বিবাহ করবে না এবং আমার ভূমি (দেশ) হতে আমার অনুমতি ছাড়া বাহিরে যাবে না, যদি আমার অনুমতি ছাড়া এর কোন একটি কর, তবে তোমার কিতাবাত বাতিল করার ক্ষমতা আমার হাতে। মালিক (র) বলেন মুকাতাবের কিতাবাত বাতিল করার ক্ষমতা সেই ব্যক্তির হাতে নয়। বরং যদি মুকাতাব এই রকম কোন কর্ম করে থাকে তবে উহার কর্তা বিষয়টি হাকিম-এর নিকট উত্থাপন করবে এবং সে বিবাহ করবে না প্রবাসে যাবে না; এবং কর্তার দেশ হতে বাহিরে যাবে না কর্তার অনুমতি ব্যতীত কর্তা শর্তারোপ করুক বা না করুক। ইহা এইজন্য- এক ব্যক্তি তার দাসের সহিত মুকাতাবাত করেছে একশত দীনারের বিনিময়ে। মুকাতাবের নিকট রয়েছে এক হাজার দীনার বা ততোধিক। অতঃপর সে যেয়ে কোন নারীকে বিবাহ করলে এবং উহাকে মহর দিলে যা তার মালকে অনেক কমিয়ে দিবে এবং উহাতে “বদলে কিতাবাত” আদায় করতে যে অপারগ হবে, ফলে তার কর্তার দিকে ফিরবে দাসরূপে। যার নিকট কোন মাল নেই, অথবা সে প্রবাসে যাবে (ইতিমধ্যে) তার কিস্তি আদায়ের সময় উপস্থিত হবে, অথচ সে অনুপস্থিত, এইরূপ করার ইখতিয়ার মুকাতাবের নেই এবং উহার উপর মুকাতাবাত সংঘটিত হয়নি। এই সব ইখতিয়ার তার কর্তার হাতে, সে ইচ্ছা করলে তাকে অনুমতি দিবে যখন, আর ইচ্ছা করলে সে ইহা হতে বারণ করবে।
[১] অর্থাৎ দিরহাম অথবা দীনারের বিনিময়ে।