পরিচ্ছেদ ৩৬ :
লাভে বিক্রয়
মুয়াত্তা ইমাম মালিক : ১৩৪৪
মুয়াত্তা ইমাম মালিকহাদিস নম্বর ১৩৪৪
حَدَّثَنِي يَحْيَى قَالَ مَالِك الْأَمْرُ الْمُجْتَمَعُ عَلَيْهِ عِنْدَنَا فِي الْبَزِّ يَشْتَرِيهِ الرَّجُلُ بِبَلَدٍ ثُمَّ يَقْدَمُ بِهِ بَلَدًا آخَرَ فَيَبِيعُهُ مُرَابَحَةً إِنَّهُ لَا يَحْسِبُ فِيهِ أَجْرَ السَّمَاسِرَةِ وَلَا أَجْرَ الطَّيِّ وَلَا الشَّدِّ وَلَا النَّفَقَةَ وَلَا كِرَاءَ بَيْتٍ فَأَمَّا كِرَاءُ الْبَزِّ فِي حُمْلَانِهِ فَإِنَّهُ يُحْسَبُ فِي أَصْلِ الثَّمَنِ وَلَا يُحْسَبُ فِيهِ رِبْحٌ إِلَّا أَنْ يُعْلِمَ الْبَائِعُ مَنْ يُسَاوِمُهُ بِذَلِكَ كُلِّهِ فَإِنْ رَبَّحُوهُ عَلَى ذَلِكَ كُلِّهِ بَعْدَ الْعِلْمِ بِهِ فَلَا بَأْسَ بِهِقَالَ مَالِك فَأَمَّا الْقِصَارَةُ وَالْخِيَاطَةُ وَالصِّبَاغُ وَمَا أَشْبَهَ ذَلِكَ فَهُوَ بِمَنْزِلَةِ الْبَزِّ يُحْسَبُ فِيهِ الرِّبْحُ كَمَا يُحْسَبُ فِي الْبَزِّ فَإِنْ بَاعَ الْبَزَّ وَلَمْ يُبَيِّنْ شَيْئًا مِمَّا سَمَّيْتُ إِنَّهُ لَا يُحْسَبُ لَهُ فِيهِ رِبْحٌ فَإِنْ فَاتَ الْبَزُّ فَإِنَّ الْكِرَاءَ يُحْسَبُ وَلَا يُحْسَبُ عَلَيْهِ رِبْحٌ فَإِنْ لَمْ يَفُتْ الْبَزُّ فَالْبَيْعُ مَفْسُوخٌ بَيْنَهُمَا إِلَّا أَنْ يَتَرَاضَيَا عَلَى شَيْءٍ مِمَّا يَجُوزُ بَيْنَهُمَاقَالَ مَالِك فِي الرَّجُلِ يَشْتَرِي الْمَتَاعَ بِالذَّهَبِ أَوْ بِالْوَرِقِ وَالصَّرْفُ يَوْمَ اشْتَرَاهُ عَشَرَةُ دَرَاهِمَ بِدِينَارٍ فَيَقْدَمُ بِهِ بَلَدًا فَيَبِيعُهُ مُرَابَحَةً أَوْ يَبِيعُهُ حَيْثُ اشْتَرَاهُ مُرَابَحَةً عَلَى صَرْفِ ذَلِكَ الْيَوْمِ الَّذِي بَاعَهُ فِيهِ فَإِنَّهُ إِنْ كَانَ ابْتَاعَهُ بِدَرَاهِمَ وَبَاعَهُ بِدَنَانِيرَ أَوْ ابْتَاعَهُ بِدَنَانِيرَ وَبَاعَهُ بِدَرَاهِمَ وَكَانَ الْمَتَاعُ لَمْ يَفُتْ فَالْمُبْتَاعُ بِالْخِيَارِ إِنْ شَاءَ أَخَذَهُ وَإِنْ شَاءَ تَرَكَهُ فَإِنْ فَاتَ الْمَتَاعُ كَانَ لِلْمُشْتَرِي بِالثَّمَنِ الَّذِي ابْتَاعَهُ بِهِ الْبَائِعُ وَيُحْسَبُ لِلْبَائِعِ الرِّبْحُ عَلَى مَا اشْتَرَاهُ بِهِ عَلَى مَا رَبَّحَهُ الْمُبْتَاعُقَالَ مَالِك وَإِذَا بَاعَ رَجُلٌ سِلْعَةً قَامَتْ عَلَيْهِ بِمِائَةِ دِينَارٍ لِلْعَشَرَةِ أَحَدَ عَشَرَ ثُمَّ جَاءَهُ بَعْدَ ذَلِكَ أَنَّهَا قَامَتْ عَلَيْهِ بِتِسْعِينَ دِينَارًا وَقَدْ فَاتَتْ السِّلْعَةُ خُيِّرَ الْبَائِعُ فَإِنْ أَحَبَّ فَلَهُ قِيمَةُ سِلْعَتِهِ يَوْمَ قُبِضَتْ مِنْهُ إِلَّا أَنْ تَكُونَ الْقِيمَةُ أَكْثَرَ مِنْ الثَّمَنِ الَّذِي وَجَبَ لَهُ بِهِ الْبَيْعُ أَوَّلَ يَوْمٍ فَلَا يَكُونُ لَهُ أَكْثَرُ مِنْ ذَلِكَ وَذَلِكَ مِائَةُ دِينَارٍ وَعَشْرَةُ دَنَانِيرَ وَإِنْ أَحَبَّ ضُرِبَ لَهُ الرِّبْحُ عَلَى التِّسْعِينَ إِلَّا أَنْ يَكُونَ الَّذِي بَلَغَتْ سِلْعَتُهُ مِنْ الثَّمَنِ أَقَلَّ مِنْ الْقِيمَةِ فَيُخَيَّرُ فِي الَّذِي بَلَغَتْ سِلْعَتُهُ وَفِي رَأْسِ مَالِهِ وَرِبْحِهِ وَذَلِكَ تِسْعَةٌ وَتِسْعُونَ دِينَارًاقَالَ مَالِك وَإِنْ بَاعَ رَجُلٌ سِلْعَةً مُرَابَحَةً فَقَالَ قَامَتْ عَلَيَّ بِمِائَةِ دِينَارٍ ثُمَّ جَاءَهُ بَعْدَ ذَلِكَ أَنَّهَا قَامَتْ بِمِائَةٍ وَعِشْرِينَ دِينَارًا خُيِّرَ الْمُبْتَاعُ فَإِنْ شَاءَ أَعْطَى الْبَائِعَ قِيمَةَ السِّلْعَةِ يَوْمَ قَبَضَهَا وَإِنْ شَاءَ أَعْطَى الثَّمَنَ الَّذِي ابْتَاعَ بِهِ عَلَى حِسَابِ مَا رَبَّحَهُ بَالِغًا مَا بَلَغَ إِلَّا أَنْ يَكُونَ ذَلِكَ أَقَلَّ مِنْ الثَّمَنِ الَّذِي ابْتَاعَ بِهِ السِّلْعَةَ فَلَيْسَ لَهُ أَنْ يُنَقِّصَ رَبَّ السِّلْعَةِ مِنْ الثَّمَنِ الَّذِي ابْتَاعَهَا بِهِ لِأَنَّهُ قَدْ كَانَ رَضِيَ بِذَلِكَ وَإِنَّمَا جَاءَ رَبُّ السِّلْعَةِ يَطْلُبُ الْفَضْلَ فَلَيْسَ لِلْمُبْتَاعِ فِي هَذَا حُجَّةٌ عَلَى الْبَائِعِ بِأَنْ يَضَعَ مِنْ الثَّمَنِ الَّذِي ابْتَاعَ بِهِ عَلَى الْبَرْنَامَجِ.
মালিক (রহঃ) হতে বর্ণিতঃ
বায [বস্ত্র বা গৃহ সরঞ্জাম] সম্বন্ধে আমাদের নিকট সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত এই, এক ব্যক্তি এ শহর হতে বস্ত্র বা গৃহ সরঞ্জাম বা গৃহ সরঞ্জাম ক্রয় করল। অতঃপর সেই সব সরঞ্জাম অন্য শহরে নিয়ে গেল। তথায় সেসব বস্তু লাভে বিক্রয় করল। তবে দ্রব্যমূল্যে দালালের মজুরি, কাপড় ভাঁজ করা, গাঁইট বাঁধা এবং অন্যান্য ব্যয় হিসেব করা হবে না এবং ঘর ভাড়াও উহাতে হিসেব করা হবে না। তবে বস্ত্র বা গৃহ সরঞ্জামের পরিবহন মজুরি আসল মূল্যে গণ্য করা হবে। বস্ত্র বিক্রেতা ক্রেতার নিকট যাবতীয় ভাড়া ও মজুরির বিবরণ জানিয়ে দিবে। এইসব অবগত হওয়ার পর ক্রেতাগণ যদি বিক্রেতাকে মুনাফা প্রদান করে তবে এতে কোন দোষ নেই।মালিক (রহঃ) বলেনঃ বস্ত্রের ধোলাই, সেলাই ও রং করার এবং এই জাতীয় আর যে কাজ করা হয়, সব বস্ত্রের স্থলে গণ্য করা হবে। উহাতে লাভ হিসেব করা হবে যেমন হিসেব করা হবে আসল বস্ত্রের, যদি বিক্রেতা বস্ত্র বিক্রয় করল (অথচ) আপনি যা (উপরের বর্ণনায়) শুনলেন তার কোন কিছুই ক্রেতার নিকট সে বর্ণনা করল না তবে সে বিক্রেতার জন্য এটাতে কোন মুনাফা ধরা হবে না। যদি বস্ত্র বিনষ্ট হয় তবে উহার উপর ভাড়া হিসেব করা হবে কিন্তু মুনাফা ধরা হবে না। আর যদি বস্ত্র বিনষ্ট না হয় তবে ক্রেতা বিক্রেতার মধ্যকার বেচাকেনা ভঙ্গ হয়ে যাবে। কিন্তু যদি তারা উভয়ে জায়েয কিছুর উপর পরস্পর রাজী হয় [তবে জায়েয হবে]।মালিক (রহঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি স্বর্ণ (দীনার) কিংবা চাঁদি (দিরহাম)-এর বিনিময়ে কোন পণ্যদ্রব্য ক্রয় করল, আর ক্রয়ের দিন স্বর্ণমুদ্রার বাজারদর ছিল প্রতি দীনার দশ দিরহাম, অতঃপর ক্রেতা সেই পণ্য অন্য শহরে নিয়ে এল এবং উহাকে মুনাফায় বিক্রয় করতে লাগল কিংবা যেই শহরে উহা ক্রয় করেছে, সেই শহরেই ক্রয়ের দিনের বাজারদরে উহাকে লাভে বিক্রয় করতে লাগল। সে যদি উহাকে দিরহামের বিনিময়ে ক্রয় করেছিল এবং বিক্রয় করল দীনারের বিনিময়ে কিংবা ক্রয় করেছিল দীনারের বিনিময়ে এবং বিক্রয় করল দিরহামের বিনিময়ে, আর বিক্রীত পণ্য এখনও বিনষ্ট হয়নি, তবে ক্রেতার ইখতিয়ার থাকবে; ইচ্ছা করলে উহা গ্রহণ করবে, ইচ্ছা করলে প্রত্যাখ্যান করবে। আর যদি বিক্রীত পণ্য বিনষ্ট হয়ে যায় তবে বিক্রেতা সেই মূল্যে উহাকে ক্রয় করেছিল সেই মূল্যে পণ্য ক্রেতার প্রাপ্য হবে, বিক্রেতাকে দেয়া হবে বর্ধিত মুনাফা তার ক্রয় মূল্যের উপর, যে মুনাফা ক্রেতা তাকে প্রদান করবে [অর্থাৎ উভয়ের মধ্যে যে মুনাফা নির্ধারিত হয়েছে]।মালিক (রহঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি কোন পণ্য বিক্রয় করেছে যার পড়তা পড়েছে, একশত দীনার, (বিক্রয় করেছে) প্রতি দশ দীনারে এগার দীনার করে। [১] পরে সে (বিক্রেতা) জানতে পারল যে, উহা পড়েছে নব্বই দীনার। এইদিকে ক্রেতার নিকট পণ্য বিনষ্ট হয়েছে। [২] তবে বিক্রেতাকে ইখতিয়ার দেয়া হবে; পছন্দ করলে সে পণ্যের কব্জা করার দিনের মূল্য গ্রহণ করবে। কিন্তু যদি ক্রেতার নিকট বিক্রয় যেই দিন ধার্য হয়েছে সেই দিন হতে যেই মূল্যে বিক্রয় ঠিক হয়েছিল উহা প্রথম দিনের মূল্য হতে অধিক হয়, তবে সে এর অধিক পাবে না। (যেই মূল্যে বিক্রয় ঠিক হয়েছিল) সেই মূল্য হচ্ছে একশত দশ দীনার। কিংবা সে যদি পছন্দ করে নিরানব্বই-এর উপর তার জন্য (শতকরা দশ দীনার হারে) মুনাফা যোগ করা হবে। কিন্তু যদি পণ্যের পড়তা হতে কম হয়, তবে তাকে ইখতিয়ার দেয়া হবে। পণ্যের যে পড়তা পড়েছে সে পড়তা এবং মুনাফাসহ আসল দামের মধ্যে। তার হচ্ছে নিরানব্বই দীনার। যেটি ইচ্ছা সে গ্রহণ করবে।মালিক (রহঃ) বলেনঃ এক ব্যক্তি কোন পণ্য বিক্রয় করেছে মুনাফা করে। সে বললঃ আমার নিকট এর পড়তা পড়েছে একশত দীনার। পরে তার নিকট প্রকাশ হল যে, উক্ত পণ্যের পড়তা পড়েছে একশত বিশ দীনার করে, (এমতাবস্থায়) ক্রেতাকে ইখতিয়ার দেয়া হবে, যদি সে ইচ্ছা করে তবে বিক্রেতাকে যেই দিন সে এই পণ্য কব্জা করেছে সেই দিনকার মূল্য আদায় করিবে, অথবা ইচ্ছা করিলে বিক্রেতা যখন এই পণ্য ক্রয় করেছিল সেই সময়কার মূল্য (নির্ধারিত হারে) মুনাফা হিসেবে যা দাঁড়ায় তাসহ বিক্রেতার নিকট পরিশোধ করবে। কিন্তু যেই দিন কব্জা করেছে সেই দিনের মূল্য যদি ক্রেতা যেই দামে পণ্য ক্রয় করেছে সেই দাম হতে কম হয় তবে যেই দামে ক্রেতা পণ্য ক্রয় করেছে সেই দাম হতে পণ্যের মালিককে কম মূল্য দেয়ার ইখতিয়ার থাকবে না। কারণ সে (ক্রেতা) এতে (অসত্য মূল্য ও মুনাফাতে) রাজী হয়েছিল (এবং) পণ্যের মালিক (পূর্বে যে মূল্য বলেছিল উহার উপর) অতিরিক্ত দাবি করিতেছে, তাই বিল বা ফর্দ-এর উপর যেই মূল্যে উহা ক্রয় করেছে সেই মূল্য হতে কমানোর জন্য বিক্রেতাকে বাধ্য করার অধিকার ক্রেতার নেই।
[১] অর্থাৎ শতকরা দশ দীনার মুনাফার উপর বিক্রয় করেছে।[২] বিক্রয় করেছে অথবা নষ্ট করেছে কিংবা উহাতে এমন কোন খুঁত সৃষ্টি করেছে যার দূষ বিক্রেতাকে দেওয়া যায় না।