পরিচ্ছেদ ৩৫ :
মুলামাসা ও মুনাবাযা
মুয়াত্তা ইমাম মালিক : ১৩৪৩
মুয়াত্তা ইমাম মালিকহাদিস নম্বর ১৩৪৩
حَدَّثَنَا يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى بْنِ حَبَّانَ وَعَنْ أَبِي الزِّنَادِ عَنْ الْأَعْرَجِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنْ الْمُلَامَسَةِ وَالْمُنَابَذَةِ.قَالَ مَالِك وَالْمُلَامَسَةُ أَنْ يَلْمِسَ الرَّجُلُ الثَّوْبَ وَلَا يَنْشُرُهُ وَلَا يَتَبَيَّنُ مَا فِيهِ أَوْ يَبْتَاعَهُ لَيْلًا وَلَا يَعْلَمُ مَا فِيهِ وَالْمُنَابَذَةُ أَنْ يَنْبِذَ الرَّجُلُ إِلَى الرَّجُلِ ثَوْبَهُ وَيَنْبِذَ الْآخَرُ إِلَيْهِ ثَوْبَهُ عَلَى غَيْرِ تَأَمُّلٍ مِنْهُمَا وَيَقُولُ كُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا هَذَا بِهَذَا فَهَذَا الَّذِي نُهِيَ عَنْهُ مِنْ الْمُلَامَسَةِ وَالْمُنَابَذَةِقَالَ مَالِك فِي السَّاجِ الْمُدْرَجِ فِي جِرَابِهِ أَوْ الثَّوْبِ الْقُبْطِيِّ الْمُدْرَجِ فِي طَيِّهِ إِنَّهُ لَا يَجُوزُ بَيْعُهُمَا حَتَّى يُنْشَرَا وَيُنْظَرَ إِلَى مَا فِي أَجْوَافِهِمَا وَذَلِكَ أَنَّ بَيْعَهُمَا مِنْ بَيْعِ الْغَرَرِ وَهُوَ مِنْ الْمُلَامَسَةِقَالَ مَالِك وَبَيْعُ الْأَعْدَالِ عَلَى الْبَرْنَامَجِ مُخَالِفٌ لِبَيْعِ السَّاجِ فِي جِرَابِهِ وَالثَّوْبِ فِي طَيِّهِ وَمَا أَشْبَهَ ذَلِكَ فَرَقَ بَيْنَ ذَلِكَ الْأَمْرُ الْمَعْمُولُ بِهِ وَمَعْرِفَةُ ذَلِكَ فِي صُدُورِ النَّاسِ وَمَا مَضَى مِنْ عَمَلِ الْمَاضِينَ فِيهِ وَأَنَّهُ لَمْ يَزَلْ مِنْ بُيُوعِ النَّاسِ الْجَائِزَةِ وَالتِّجَارَةِ بَيْنَهُمْ الَّتِي لَا يَرَوْنَ بِهَا بَأْسًا لِأَنَّ بَيْعَ الْأَعْدَالِ عَلَى الْبَرْنَامَجِ عَلَى غَيْرِ نَشْرٍ لَا يُرَادُ بِهِ الْغَرَرُ وَلَيْسَ يُشْبِهُ الْمُلَامَسَةَ.
আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুনাবাযা হতে নিষেধ করেছেন। (বুখারী ২১৪৬, মুসলিম ১৫১১)মালিক (রহঃ) বলেনঃ মুলামাসা হচ্ছে এই, এক ব্যক্তি বস্ত্র স্পর্শ করল সে উহা খুলে দেখল না এবং তাতে কি দোষ-গুণ রয়েছে তাও বর্ণনা করা হয়নি। কিংবা রাত্রিতে উহা ক্রয় করল তাতে কি আছে তা সে জ্ঞাত নয়। আর মুনাবাযা হল, এক ব্যক্তি অন্য ব্যক্তির দিকে তার বস্ত্র ছুঁড়ে মারল, অপর ব্যক্তিও তার বস্ত্র ইহার দিকে ছুঁড়ে মারল, কোন প্রকার চিন্তা-ভাবনা না করে (এটা করল) এবং একে অপরকে বলল-ইহা উহার বিনিময়ে (বেচাকেনা হয়েছে) [১] হাদীসে নিষেধ করা হয়েছে মুলামাসা ও মুনাবাযা হতে।মালিক (রহঃ) বলেনঃ সাজ [২] যা ঝোলাতে আবদ্ধ রয়েছে কিংবা থানবন্দী কিবতী [৩] বস্ত্র এতদুভয়কে না খুলে এবং ভিতরে কি রয়েছে না দেখে বিক্রয় করা জায়েয নয়। কারণ [এই অবস্থায়] এতদুভয়ের বিক্রয় ধোঁকার বিক্রয়ের অন্তর্ভুক্ত এবং এটা হচ্ছে নিষিদ্ধ মুলামাসার একটি রূপ।মালিক (রহঃ) বলেছেন- বস্তা বা গাঁইটবন্দী মাল ফর্দ সম্বলিত অবস্থায় বিক্রয় করা ঝোলাতে সাজ বস্ত্র বা থানে কাপড় বা এতদুভয়ের সদৃশ কোন বস্তু বিক্রয় করার মতো নয়। [এতদুভয়ের মধ্যে] পার্থক্য এই- ব্যবহারে এটার প্রচলন ও পরিচয় রয়েছে। [‘উলামা শ্রেণির] লোকের সীনাতে এটার অর্থাৎ বিষয়টি তাঁদের জানা আছে। পূর্বের মনীষী ও ‘উলামা এটার মতো কাজ করেছেন এবং লোকের মধ্যে বৈধ বিক্রয় হিসেবে সর্বদা এটা চালু রয়েছে। অন্যপক্ষে তারা এটাতে কোন দোষ মনে করেন না। কারণ গাঁইট বা বস্তা ফর্দ সম্বলিত অবস্থায় উহাকে না খুলে বিক্রয় করাতে ধোঁকার কোন ইচ্ছা করা হয় না। ইহা মুলামাসার অন্তর্ভুক্ত নয়।
[১] অর্থাৎ আমার বস্ত্র আপনার বস্ত্রের বিনিময়ে আর আপনার বস্ত্র আমার বস্ত্রের বিনিময়ে বেচাকেনা হয়েছে।[২] সাজ সবুজ বা কাল বর্ণের এক প্রকারের চাদর যা খতীব বা কাযীগণ খুৎবা প্রদানের সময় বা এজলাশে বসার সময় পরিধান করেন আর কেউ কেউ বলেছেন যে, এটা এক প্রকারের পশমী বস্ত্র। -আওজাযুল মাসালিক[৩] মিসরীয় খ্রিস্টানদেরকে বলা হয় কিবত সেইখানের তৈরি বস্ত্র হচ্ছে কিবতী।