পরিচ্ছেদ ৩২ :

তামা, লোহা এবং এতদুভয়ের সদৃশ ওজন করা যায় এই জাতীয় দ্রব্যাদি বিক্রয়

মুয়াত্তা ইমাম মালিকহাদিস নম্বর ১৩৩৮

قَالَ مَالِك الْأَمْرُ عِنْدَنَا فِيمَا كَانَ مِمَّا يُوزَنُ مِنْ غَيْرِ الذَّهَبِ وَالْفِضَّةِ مِنْ النُّحَاسِ وَالشَّبَهِ وَالرَّصَاصِ وَالْآنُكِ وَالْحَدِيدِ وَالْقَضْبِ وَالتِّينِ وَالْكُرْسُفِ وَمَا أَشْبَهَ ذَلِكَ مِمَّا يُوزَنُ فَلَا بَأْسَ بِأَنْ يُؤْخَذَ مِنْ صِنْفٍ وَاحِدٍ اثْنَانِ بِوَاحِدٍ يَدًا بِيَدٍ وَلَا بَأْسَ أَنْ يُؤْخَذَ رِطْلُ حَدِيدٍ بِرِطْلَيْ حَدِيدٍ وَرِطْلُ صُفْرٍ بِرِطْلَيْ صُفْرٍ.قَالَ مَالِك وَلَا خَيْرَ فِيهِ اثْنَانِ بِوَاحِدٍ مِنْ صِنْفٍ وَاحِدٍ إِلَى أَجَلٍ فَإِذَا اخْتَلَفَ الصِّنْفَانِ مِنْ ذَلِكَ فَبَانَ اخْتِلَافُهُمَا فَلَا بَأْسَ بِأَنْ يُؤْخَذَ مِنْهُ اثْنَانِ بِوَاحِدٍ إِلَى أَجَلٍ فَإِنْ كَانَ الصِّنْفُ مِنْهُ يُشْبِهُ الصِّنْفَ الْآخَرَ وَإِنْ اخْتَلَفَا فِي الْاسْمِ مِثْلُ الرَّصَاصِ وَالْآنُكِ وَالشَّبَهِ وَالصُّفْرِ فَإِنِّي أَكْرَهُ أَنْ يُؤْخَذَ مِنْهُ اثْنَانِ بِوَاحِدٍ إِلَى أَجَلٍقَالَ مَالِك وَمَا اشْتَرَيْتَ مِنْ هَذِهِ الْأَصْنَافِ كُلِّهَا فَلَا بَأْسَ أَنْ تَبِيعَهُ قَبْلَ أَنْ تَقْبِضَهُ مِنْ غَيْرِ صَاحِبِهِ الَّذِي اشْتَرَيْتَهُ مِنْهُ إِذَا قَبَضْتَ ثَمَنَهُ إِذَا كُنْتَ اشْتَرَيْتَهُ كَيْلًا أَوْ وَزْنًا فَإِنْ اشْتَرَيْتَهُ جِزَافًا فَبِعْهُ مِنْ غَيْرِ الَّذِي اشْتَرَيْتَهُ مِنْهُ بِنَقْدٍ أَوْ إِلَى أَجَلٍ وَذَلِكَ أَنَّ ضَمَانَهُ مِنْكَ إِذَا اشْتَرَيْتَهُ جِزَافًا وَلَا يَكُونُ ضَمَانُهُ مِنْكَ إِذَا اشْتَرَيْتَهُ وَزْنًا حَتَّى تَزِنَهُ وَتَسْتَوْفِيَهُ وَهَذَا أَحَبُّ مَا سَمِعْتُ إِلَيَّ فِي هَذِهِ الْأَشْيَاءِ كُلِّهَا وَهُوَ الَّذِي لَمْ يَزَلْ عَلَيْهِ أَمْرُ النَّاسِ عِنْدَنَ.قَالَ مَالِك الْأَمْرُ عِنْدَنَا فِيمَا يُكَالُ أَوْ يُوزَنُ مِمَّا لَا يُؤْكَلُ وَلَا يُشْرَبُ مِثْلُ الْعُصْفُرِ وَالنَّوَى وَالْخَبَطِ وَالْكَتَمِ وَمَا يُشْبِهُ ذَلِكَ أَنَّهُ لَا بَأْسَ بِأَنْ يُؤْخَذَ مِنْ كُلِّ صِنْفٍ مِنْهُ اثْنَانِ بِوَاحِدٍ يَدًا بِيَدٍ وَلَا يُؤْخَذُ مِنْ صِنْفٍ وَاحِدٍ مِنْهُ اثْنَانِ بِوَاحِدٍ إِلَى أَجَلٍ فَإِنْ اخْتَلَفَ الصِّنْفَانِ فَبَانَ اخْتِلَافُهُمَا فَلَا بَأْسَ بِأَنْ يُؤْخَذَ مِنْهُمَا اثْنَانِ بِوَاحِدٍ إِلَى أَجَلٍ وَمَا اشْتُرِيَ مِنْ هَذِهِ الْأَصْنَافِ كُلِّهَا فَلَا بَأْسَ بِأَنْ يُبَاعَ قَبْلَ أَنْ يُسْتَوْفَى إِذَا قَبَضَ ثَمَنَهُ مِنْ غَيْرِ صَاحِبِهِ الَّذِي اشْتَرَاهُ مِنْهُ اقَالَ مَالِك وَكُلُّ شَيْءٍ يَنْتَفِعُ بِهِ النَّاسُ مِنْ الْأَصْنَافِ كُلِّهَا وَإِنْ كَانَتْ الْحَصْبَاءَ وَالْقَصَّةَ فَكُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا بِمِثْلَيْهِ إِلَى أَجَلٍ فَهُوَ رِبًا وَوَاحِدٌ مِنْهُمَا بِمِثْلِهِ وَزِيَادَةُ شَيْءٍ مِنْ الْأَشْيَاءِ إِلَى أَجَلٍ فَهُوَ رِبًا ااا اااا

বর্ণণাকারী হতে বর্ণিতঃ

যে সব বস্তু ওজন করে ক্রয় বিক্রয় করা হয় স্বর্ণ ও চাঁদি ব্যতীত (যেমন) তামা, পিতল, রং সীসক, লোহা, কাজাব [১], তীন [২], তুলা এবং এর সদৃশ বস্তু যা ওজন করা হয়। মালিক (রহঃ) বলেন (এই বিষয়ে) আমাদের নিকট ফয়সালা এই, এইরূপ এক জাতের দ্রব্য হতে এক বস্তুর বিনিময় নগদ দুই বস্তুর গ্রহণ করাতে কোন দোষ নেই। এবং এক রতল লোহা দুই রতল লোহার বিনিময়ে আর দুই রতল উৎকৃষ্ট ধরনের তামার বিনিময়ে এক রতল উৎকৃষ্ট তামা গ্রহণ করাতেও কোন দোষ নেই। আর একই জাতের দ্রব্যে একটির বিনিময়ে দুটি বস্তু ধারে গ্রহণ করাতে কোন মঙ্গল নেই [অর্থাৎ উহা নাজায়েয]। আর যদি বস্তুদ্বয় একটি অপরটি হতে ভিন্ন জাতের হয় এবং উহাদের মধ্যে বিভিন্নতা স্পষ্ট হয়, তবে সেইরূপ বস্তু হতে এক বস্তুর বিনিময়ে দুই বস্তু ধারে গ্রহণ করাতে কোন দোষ নেই আর যদি একে অপরের সদৃশ হয় যদিও উহাদের নাম বিভিন্ন রয়েছে। যেমন-রাং, সীসক, ব্রোঞ্জ, উৎকৃষ্ট তামা, এতে এক বস্তুর বিনিময়ে দুই বস্তু ধারে গ্রহণ করাকে আমি মাকরূহ বলে মনে করি।মালিক (রহঃ) বলেনঃ এই সকল দ্রব্য হতে তুমি যা ক্রয় করেছ, উহাকে যার নিকট হতে তুমি ক্রয় করেছ সে ব্যক্তি ব্যতীত অন্য লোকের কাছে কব্জা করার পূর্বে বিক্রয় করলে কোন দোষ নেই। যদি উহার মূল্য নগদ গ্রহণ করে থাকে এবং যদি উহাকে পরিমাপ পাত্রের দ্বারা কিংবা ওজন করে ক্রয় করে থাকে। আর যদি আন্দাজে (স্তুপ) ক্রয় করে থাক, তবে উহাকে তুমি বিক্রয় করতে পার যার নিকট হতে ক্রয় করেছ তাকে ভিন্ন অন্য কারো নিকট, কিংবা ধারে। কারণ যখন আন্দাজে ক্রয় করেছ তখন উহা তোমার দায়িত্বে এসেছে, [উহার ওজন সম্পর্কে বিক্রেতার আর কোন দায়-দায়িত্ব রইল না।], পক্ষান্তরে যদিও ওজন করে উহা ক্রয় করেছ। তবে যাবত ওজন করে উহা নিজ কব্জায় না আনবে তাবত উহার প্রতি তোমার দায়িত্ব থাকবে না। এই সব দ্রব্য সম্পর্কে যা আমি শুনেছি, তন্মধ্যে এটাই আমার মনঃপুত। আর লোকের আমলও সর্বদা এর উপর রয়েছে।মালিক (রহঃ) বলেনঃ আমাদের নিকট মাসআলা এই, যে নতুন বস্তু পাত্র দ্বারা মাপা হয়, অথবা (বাটখারা ইত্যাদির দ্বারা) ওজন করা হয় এবং উহা খাদ্য বা পানীয় দ্রব্যের মধ্যে না হয়, যেমন-কুসুম [৩], ফলের আঁটি, গাছের পাতা [৪] কাতাম [৫] এবং উহার সাদৃশ বস্তু। এই সকল দ্রব্যের প্রত্যেক শ্রেণী হতে একটির বিনিময়ে দুটি নগদ গ্রহণ করাতে কোন দোষ নেই।মালিক (রহঃ) বলেনঃ যাবতীয় শ্রেণির দ্রব্যাদি হতে যে কোন দ্রব্যের দ্বারা লোক উপকৃত হয়, যদিও ছোট কংকর বা চুন হোক। এই শ্রেণীর দুই দ্রব্য হতে একটিকে দ্বিগুণ দ্রব্যের বিনিময়ে ধারে গ্রহণ করা সুদ এবং একটিকে একটি এবং তার সাথে অতিরিক্ত কোন বস্তুর বিনিময়ে ধারে গ্রহণ করলে উহা সুদ বলে গণ্য হবে।

[১] এক প্রকারের ঘাস, যা জানোয়ারের খাদ্য বস্তু। ফার্সীতে উহাকে ইস্পিস্ত বা এসপাস্ত বলা হয়।-আওজায[২] তীন-ডুমুরের মতো একটি সুখাদ্য ও বিশেষ উপকারী ফল, উর্দুতে একে বলা হয় আনজীর।[৩] আসফল লাল বর্ণের পুষ্প বিশেষ, এটা দ্বারা কাপড় রঙানো হয়, হিন্দীতে বলা হয় কড্কা ফুল।[৪] বৃক্ষ হতে পশুখাদ্যের জন্য যে পাতা ঝাড়িয়া ফেলা হয় উহাকে খাবাত বলা হয়।[৫] কাতাম এক প্রকারের তৃণঃ চুলের খিযাবে উহাকে ব্যবহার করা হয়। (আওজাযুল মাসলিক)

সেটিংস

ফন্ট সেটিংস

আরবি ফন্ট ফেস

আরবি ফন্ট সাইজ

২৪

অনুবাদ ফন্ট সাইজ

১৮

আল হাদিস অ্যাপ ডাউনলোড করুন

App Banner

ইসলামের জ্ঞান প্রচারে সহায়ক হোন

আপনার নিয়মিত সহায়তা আমাদের দ্বীনি ভাই-বোনের কাছে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছাতে সাহয্য করবে। আমাদের মিশনে আপনিও অংশ নিন এবং বড় পরিবর্তনের অংশীদার হোন।

সাপোর্ট করুন