পরিচ্ছেদ ৩১ :

পণ্যদ্রব্যাদি সলফে বিক্রয় করা

মুয়াত্তা ইমাম মালিকহাদিস নম্বর ১৩৩৭

حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ أَنَّهُ قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللهِ بْنَ عَبَّاسٍ وَرَجُلٌ يَسْأَلُهُ عَنْ رَجُلٍ سَلَّفَ فِي سَبَائِبَ فَأَرَادَ بَيْعَهَا قَبْلَ أَنْ يَقْبِضَهَا فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ تِلْكَ الْوَرِقُ بِالْوَرِقِ وَكَرِهَ ذَلِكَ ২৪৩১-قَالَ مَالِك وَذَلِكَ فِيمَا نُرَى وَاللهُ أَعْلَمُ أَنَّهُ أَرَادَ أَنْ يَبِيعَهَا مِنْ صَاحِبِهَا الَّذِي اشْتَرَاهَا مِنْهُ بِأَكْثَرَ مِنْ الثَّمَنِ الَّذِي ابْتَاعَهَا بِهِ وَلَوْ أَنَّهُ بَاعَهَا مِنْ غَيْرِ الَّذِي اشْتَرَاهَا مِنْهُ لَمْ يَكُنْ بِذَلِكَ بَأْسٌ.قَالَ مَالِك الْأَمْرُ الْمُجْتَمَعُ عَلَيْهِ عِنْدَنَا فِيمَنْ سَلَّفَ فِي رَقِيقٍ أَوْ مَاشِيَةٍ أَوْ عُرُوضٍ فَإِذَا كَانَ كُلُّ شَيْءٍ مِنْ ذَلِكَ مَوْصُوفًا فَسَلَّفَ فِيهِ إِلَى أَجَلٍ فَحَلَّ الْأَجَلُ فَإِنَّ الْمُشْتَرِيَ لَا يَبِيعُ شَيْئًا مِنْ ذَلِكَ مِنْ الَّذِي اشْتَرَاهُ مِنْهُ بِأَكْثَرَ مِنْ الثَّمَنِ الَّذِي سَلَّفَهُ فِيهِ قَبْلَ أَنْ يَقْبِضَ مَا سَلَّفَهُ فِيهِ وَذَلِكَ أَنَّهُ إِذَا فَعَلَهُ فَهُوَ الرِّبَا صَارَ الْمُشْتَرِي إِنْ أَعْطَى الَّذِي بَاعَهُ دَنَانِيرَ أَوْ دَرَاهِمَ فَانْتَفَعَ بِهَا فَلَمَّا حَلَّتْ عَلَيْهِ السِّلْعَةُ وَلَمْ يَقْبِضْهَا الْمُشْتَرِي بَاعَهَا مِنْ صَاحِبِهَا بِأَكْثَرَ مِمَّا سَلَّفَهُ فِيهَا فَصَارَ أَنْ رَدَّ إِلَيْهِ مَا سَلَّفَهُ وَزَادَهُ مِنْ عِنْدِهِقَالَ مَالِك مَنْ سَلَّفَ ذَهَبًا أَوْ وَرِقًا فِي حَيَوَانٍ أَوْ عُرُوضٍ إِذَا كَانَ مَوْصُوفًا إِلَى أَجَلٍ مُسَمًّى ثُمَّ حَلَّ الْأَجَلُ فَإِنَّهُ لَا بَأْسَ أَنْ يَبِيعَ الْمُشْتَرِي تِلْكَ السِّلْعَةَ مِنْ الْبَائِعِ قَبْلَ أَنْ يَحِلَّ الْأَجَلُ أَوْ بَعْدَ مَا يَحِلُّ بِعَرْضٍ مِنْ الْعُرُوضِ يُعَجِّلُهُ وَلَا يُؤَخِّرُهُ بَالِغًا مَا بَلَغَ ذَلِكَ الْعَرْضُ إِلَّا الطَّعَامَ فَإِنَّهُ لَا يَحِلُّ أَنْ يَبِيعَهُ حَتَّى يَقْبِضَهُ وَلِلْمُشْتَرِي أَنْ يَبِيعَ تِلْكَ السِّلْعَةَ مِنْ غَيْرِ صَاحِبِهِ الَّذِي ابْتَاعَهَا مِنْهُ بِذَهَبٍ أَوْ وَرِقٍ أَوْ عَرْضٍ مِنْ الْعُرُوضِ يَقْبِضُ ذَلِكَ وَلَا يُؤَخِّرُهُ لِأَنَّهُ إِذَا أَخَّرَ ذَلِكَ قَبُحَ وَدَخَلَهُ مَا يُكْرَهُ مِنْ الْكَالِئِ بِالْكَالِئِ وَالْكَالِئُ بِالْكَالِئِ أَنْ يَبِيعَ الرَّجُلُ دَيْنًا لَهُ عَلَى رَجُلٍ بِدَيْنٍ عَلَى رَجُلٍ آخَرَقَالَ مَالِك وَمَنْ سَلَّفَ فِي سِلْعَةٍ إِلَى أَجَلٍ وَتِلْكَ السِّلْعَةُ مِمَّا لَا يُؤْكَلُ وَلَا يُشْرَبُ فَإِنَّ الْمُشْتَرِيَ يَبِيعُهَا مِمَّنْ شَاءَ بِنَقْدٍ أَوْ عَرْضٍ قَبْلَ أَنْ يَسْتَوْفِيَهَا مِنْ غَيْرِ صَاحِبِهَا الَّذِي اشْتَرَاهَا مِنْهُ وَلَا يَنْبَغِي لَهُ أَنْ يَبِيعَهَا مِنْ الَّذِي ابْتَاعَهَا مِنْهُ إِلَّا بِعَرْضٍ يَقْبِضُهُ وَلَا يُؤَخِّرُهُقَالَ مَالِك وَإِنْ كَانَتْ السِّلْعَةُ لَمْ تَحِلَّ فَلَا بَأْسَ بِأَنْ يَبِيعَهَا مِنْ صَاحِبِهَا بِعَرْضٍ مُخَالِفٍ لَهَا بَيِّنٍ خِلَافُهُ يَقْبِضُهُ وَلَا يُؤَخِّرُهُقَالَ مَالِك فِيمَنْ سَلَّفَ دَنَانِيرَ أَوْ دَرَاهِمَ فِي أَرْبَعَةِ أَثْوَابٍ مَوْصُوفَةٍ إِلَى أَجَلٍ فَلَمَّا حَلَّ الْأَجَلُ تَقَاضَى صَاحِبَهَا فَلَمْ يَجِدْهَا عِنْدَهُ وَوَجَدَ عِنْدَهُ ثِيَابًا دُونَهَا مِنْ صِنْفِهَا فَقَالَ لَهُ الَّذِي عَلَيْهِ الْأَثْوَابُ أُعْطِيكَ بِهَا ثَمَانِيَةَ أَثْوَابٍ مِنْ ثِيَابِي هَذِهِ إِنَّهُ لَا بَأْسَ بِذَلِكَ إِذَا أَخَذَ تِلْكَ الْأَثْوَابَ الَّتِي يُعْطِيهِ قَبْلَ أَنْ يَفْتَرِقَا فَإِنْ دَخَلَ ذَلِكَ الْأَجَلُ فَإِنَّهُ لَا يَصْلُحُ وَإِنْ كَانَ ذَلِكَ قَبْلَ مَحِلِّ الْأَجَلِ فَإِنَّهُ لَا يَصْلُحُ أَيْضًا إِلَّا أَنْ يَبِيعَهُ ثِيَابًا لَيْسَتْ مِنْ صِنْفِ الثِّيَابِ الَّتِي سَلَّفَهُ فِيهَا.

কাসিম ইবনু মুহাম্মাদ (রহঃ) হতে বর্ণিতঃ

আমি আবদুল্লাহ্ ইবুন আব্বাস (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি, তাঁকে এক ব্যক্তি প্রশ্ন করিতেছে এমন এক ব্যক্তি সম্বন্ধে যে ব্যক্তি কতিপয় কাতানের পাগড়ী সলফে ক্রয় করেছে। সে সেগুলোকে কব্জা করার পূর্বে বিক্রয় করতে ইচ্ছা করল তবে [এটা জায়েয কি?] । ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বললেন- এটা চাঁদির বিনিময়ে চাঁদি ক্রয় করার অনুরূপ। তিনি এটাকে মাকরূহ বললেন। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)মালিক (রহঃ) বলেনঃ আল্লাহ সর্বাধিক জ্ঞাত আমাদের মতে ক্রেতা যেই মূল্যে তা ক্রয় করেছে সেই মূল্যের অধিক মূল্যে যার নিকট হতে ক্রয় করেছে তারই নিকট উহা বিক্রি করতে ইচ্ছা করলে তবে এই বিক্রয় মাকরূহ হবে। আর যদি যে ব্যক্তির নিকট হতে উহা ক্রয় করেছে সেই ব্যক্তি ব্যতীত অন্য কোন ব্যক্তির নিকট বিক্রয় করে তবে এতে কোন দোষ নাই।মালিক (রহঃ) বলেনঃ আমাদের নিকট সর্বসম্মত মাসআলা এই, যে ব্যক্তি সলফে ক্রয় করেছে দাস অথবা জানোয়ার কিংবা পণ্য দ্রব্য। এদের প্রত্যেকটির সঠিক গুণ বর্ণনা করা হয়েছে, এইসব বস্তুতে সলফ করা হয়েছে মেয়াদ পর্যন্ত। অতঃপর (সেই) মেয়াদ উপস্থিত হল, তবে যেই বস্তুতে সলফ করেছে সেই বস্তু কব্জা করার পূর্বে, যে মূল্যে সলফ করা হয়েছে সেই মূল্যের অধিক মূল্যে সেই বস্তু যার নিকট হতে (পূর্বে) ক্রয় করেছিল তার নিকট ক্রেতা পুনরায় বিক্রয় করবে না। কারণ যদি এইরূপ করা হয় তবে এটা সুদ [যা হারাম]। এটা যেন এইরূপ করা হল; যেমন ক্রেতা বিক্রেতাকে দিরহাম বা দীনার দিল, বিক্রেতা উহা দ্বারা উপকৃতও হল। তারপর যখন পণ্য ক্রেতার নিকট সোপর্দ করার সময় উপস্থিত হয়েছে তখন ক্রেতা সেই পণ্য কব্জা করল না। বরং সে উহাকে পণ্যের মালিকের নিকট যেই মূল্যে সলফ নির্ধারিত হয়েছিল সেই মূল্যের অধিক মূল্যে বিক্রয় করল। ফল এই দাঁড়াল যে, যে বস্তুকে সলফে ক্রয় করেছিল সেই বস্তু মালিকের নিকট ফেরত দিল এবং নিজের পক্ষ হতে (আরও কিছু) অতিরিক্ত প্রদান করল।মালিক (রহঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি পশু কিংবা পণ্যের ব্যাপারে যার গুণাগুণ বর্ণনা করা হয়েছে নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য স্বর্ণ কিংবা চাঁদির সলম করেছে। অতঃপর মেয়াদ উপস্থিত হয়েছে, তবে মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার পূর্বে কিংবা মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার পরে ক্রেতার জন্য সেই সামগ্রীকে যেকোন পণ্যের বিনিময়ে বিক্রেতার নিকট বিক্রয় করাতে কোন দোষ নাই। কিন্তু সেই পণ্য যেই পরিমাণই হোক না কেন উহা নগদ প্রদান করবে; মূল্য বা বিনিময়ে প্রদানে বিলম্ব করবে না। কিন্তু খাদ্যদ্রব্য হলে তবে উহাকে কব্জা করার পূর্বে বিক্রয় করা হালাল হবে না। আর সে সামগ্রী [পশু কিংবা অন্য কোন পণ্য]-কে যার নিকট হতে উহা ক্রয় করেছে সেই লোক ব্যতীত অন্য কারো নিকট স্বর্ণ বা চাঁদির কিংবা অন্য কোন পণ্যের বিনিময়ে বিক্রয় করা ক্রেতার জন্য জায়েয হবে উহাকে (সেই মুহূর্তে) কব্জা করবে। উহা কব্জা করতে বিলম্ব করবে না। কারণ বিলম্ব করলে খারাপ হবে এবং উহাতে মাকরূহ হবে। ইহা হবে যেন ধারকে ধারে বিক্রয় করা। ধারকে ধারে বিক্রয় করার অর্থ হচ্ছে কোন ব্যক্তি তার ঋণ যা অন্য ব্যক্তির জিম্মায় রয়েছে তা বিক্রয় করিতেছে, যেই ঋণ সে অন্য লোকের নিকট প্রাপ্য সেই ঋণের বিনিময়ে।মালিক (রহঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি কোন বস্তুতে সলম করেছে, নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত আর সেই বস্তু খাদ্য বা পানীয় দ্রব্য নয়। তবে ক্রেতা উহাকে যার নিকট ইচ্ছা মুদ্রা কিংবা পণ্যের বিনিময়ে উহাকে পূর্ণ কব্জা করার পূর্বে যার নিকট হতে উক্ত বস্তু ক্রয় করেছে সে ব্যতীত অন্য লোকের নিকট বিক্রয় করতে পারবে। কিন্তু যে ব্যক্তির নিকট হতে ক্রয় করেছে সে ব্যক্তির নিকট বিক্রয় করা জায়েয হবে না। তবে (যায়েয হবে) এমন পণ্যের বিনিময়ে (বিক্রয় করা) যাকে (নগদ) কব্জা করবে, উহা কব্জা করতে বিলম্ব করবে না, (অর্থাৎ) ধারে বিক্রয় করবে না।মালিক (রহঃ) বলেনঃ যদি সেই (সলমকৃত) দ্রব্য ক্রেতার কব্জায় দেওয়ার সময় উপস্থিত হয় নিই, তবে উহাকে মালিক [বিক্রেতা]-এর নিকট ভিন্ন জাতের পণ্য যার পার্থক্য সুস্পষ্ট এইরূপ পণ্যের বিনিময়ে বিক্রয় করাতে কোন দোষ নেই, উহাকে [সঙ্গে সঙ্গে] কব্জা করবে। এতে বিলম্ব করবে না। মালিক (রহঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি দীনার কিংবা দিরহাম দ্বারা চারটি গুণ ও পরিচয় বর্ণিত বস্ত্রের ব্যাপারে সলম করেছে- নির্দিষ্ট মেয়াদে, যখন মেয়াদ-এর (শেষ) সময় উপস্থিত হল তখন উহার মালিক [ক্রেতা] উহা তলব করল, তার নিকট সেই বস্ত্র পাওয়া গেল না। বরং (তদস্থলে) পাওয়া গেল সেই জাতীয় বস্ত্র হতে নিকৃষ্ট রকমের বস্ত্র। বস্ত্র আদায় করা যার জিম্মায় সে ক্রেতাকে বলল, “আপনাকে চার বস্ত্রের পরিবর্তে আমার এই বস্ত্র হতে আটটি বস্ত্র প্রদান করব।” এতে কোন দোষ নাই যদি তারা উভয়ে পরস্পর পৃথক হওয়ার পূর্বে সেই সব বস্ত্র কব্জা করে। মালিক (রহঃ) বলেন, যদি এতে মেয়াদ প্রবেশ করে [অর্থাৎ নগদ আদান-প্রদান না করে ধারে বিক্রয় হয়] তবে উহা জায়েয হবে না। আর যদি মেয়াদ [-এর শেষ সময়] আসার পূর্বে এইরূপ (চার বস্ত্রের পরিবর্তে আটটি বস্ত্র গ্রহণ করা]) হয়, তবে এটাও জায়েয হবে না। কিন্তু যদি যেই বস্ত্রে সলম করা হয়েছে সেই জাতের বস্ত্র হতে ভিন্ন জাতের বস্ত্র ক্রেতার নিকট বিক্রয় করা হয় [তবে জায়েয হবে] ।

সেটিংস

ফন্ট সেটিংস

আরবি ফন্ট ফেস

আরবি ফন্ট সাইজ

২৪

অনুবাদ ফন্ট সাইজ

১৮

আল হাদিস অ্যাপ ডাউনলোড করুন

App Banner

ইসলামের জ্ঞান প্রচারে সহায়ক হোন

আপনার নিয়মিত সহায়তা আমাদের দ্বীনি ভাই-বোনের কাছে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছাতে সাহয্য করবে। আমাদের মিশনে আপনিও অংশ নিন এবং বড় পরিবর্তনের অংশীদার হোন।

সাপোর্ট করুন