পরিচ্ছেদ ৩০ :
সলফ এবং পণ্যাদির ক্রয়-বিক্রয় একটির বিনিময়ে অপরটির
মুয়াত্তা ইমাম মালিক : ১৩৩৬
মুয়াত্তা ইমাম মালিকহাদিস নম্বর ১৩৩৬
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنْ بَيْعٍ وَسَلَفٍ ২৪২৫-قَالَ مَالِك وَتَفْسِيرُ ذَلِكَ أَنْ يَقُولَ الرَّجُلُ لِلرَّجُلِ آخُذُ سِلْعَتَكَ بِكَذَا وَكَذَا عَلَى أَنْ تُسْلِفَنِي كَذَا وَكَذَا فَإِنْ عَقَدَا بَيْعَهُمَا عَلَى هَذَا الْوَجْهِ فَهُوَ غَيْرُ جَائِزٍ فَإِنْ تَرَكَ الَّذِي اشْتَرَطَ السَّلَفَ مَا اشْتَرَطَ مِنْهُ كَانَ ذَلِكَ الْبَيْعُ جَائِزًا.قَالَ مَالِك وَلَا بَأْسَ أَنْ يُشْتَرَى الثَّوْبُ مِنْ الْكَتَّانِ أَوْ الشَّطَوِيِّ أَوْ الْقَصَبِيِّ بِالْأَثْوَابِ مِنَ الْإِتْرِيبِيِّ أَوْ الْقَسِّيِّ أَوْ الزِّيقَةِ أَوْ الثَّوْبِ الْهَرَوِيِّ أَوْ الْمَرْوِيِّ بِالْمَلَاحِفِ الْيَمَانِيَّةِ وَالشَّقَائِقِ وَمَا أَشْبَهَ ذَلِكَ الْوَاحِدُ بِالْاثْنَيْنِ أَوْ الثَّلَاثَةِ يَدًا بِيَدٍ أَوْ إِلَى أَجَلٍ وَإِنْ كَانَ مِنْ صِنْفٍ وَاحِدٍ فَإِنْ دَخَلَ ذَلِكَ نَسِيئَةٌ فَلَا خَيْرَ فِيْهِقَالَ مَالِك وَلَا يَصْلُحُ حَتَّى يَخْتَلِفَ فَيَبِينَ اخْتِلَافُهُ فَإِذَا أَشْبَهَ بَعْضُ ذَلِكَ بَعْضًا وَإِنْ اخْتَلَفَتْ أَسْمَاؤُهُ فَلَا يَأْخُذْ مِنْهُ اثْنَيْنِ بِوَاحِدٍ إِلَى أَجَلٍ وَذَلِكَ أَنْ يَأْخُذَ الثَّوْبَيْنِ مِنْ الْهَرَوِيِّ بِالثَّوْبِ مِنْ الْمَرْوِيِّ أَوْ الْقُوهِيِّ إِلَى أَجَلٍ أَوْ يَأْخُذَ الثَّوْبَيْنِ مِنْ الْفُرْقُبِيِّ بِالثَّوْبِ مِنْ الشَّطَوِيِّ فَإِذَا كَانَتْ هَذِهِ الْأَجْنَاسُ عَلَى هَذِهِ الصِّفَةِ فَلَا يُشْتَرَى مِنْهَا اثْنَانِ بِوَاحِدٍ إِلَى أَجَلٍ ২৪২৮-قَالَ مَالِك وَلَا بَأْسَ أَنْ تَبِيعَ مَا اشْتَرَيْتَ مِنْهَا قَبْلَ أَنْ تَسْتَوْفِيَهُ مِنْ غَيْرِ صَاحِبِهِ الَّذِي اشْتَرَيْتَهُ مِنْهُ إِذَا انْتَقَدْتَ ثَمَنَهُ.
মালিক (রহঃ) হতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিক্রয় এবং ঋণকে যুক্ত করা হতে নিষেধ করেছেন। (সহীহ, আবূ দাঊদ ৩৫০৪, তিরমিযী ১২৩৪)মালিক (রহঃ) বলেনঃ এর তফসীর (ব্যাখ্যা) এইঃ এক ব্যক্তি বলল অপর ব্যক্তিকে, আমি আপনার পণ্য ক্রয় করব এত এত (টাকা) মূল্যে এই শর্তে যে, আপনি আমাকে এত এত (টাকা) ঋণ দিবেন। যদি তাদের উভয়ের বেচাকেনা এর উপর সম্পাদিত হয় তবে এটা নাজায়েয হবে, আর যে ব্যক্তি ঋণের শর্ত করেছে সে যদি শর্ত পরিহার করে তবে এই বেচাকেনা জায়েয হবে।মালিক (রহঃ) বলেনঃ কোন দোষ নাই বস্ত্র ক্রয় করাতে (বিভিন্ন প্রকারের যেমন-) কাতান, সাতাবী [১] অথবা কাসারী [২] [ইত্যাদি] ইতরিবী [৩] বা কাসসী [৪], অথবা যীকো [৫] ইত্যাদি বস্ত্রের বিনিময়ে অথবা হারাভী [৬] কিংবা মারভী [৭] বস্ত্র (ক্রয় করা) ইয়ামনী এবং সাকায়িক [৮] ও এতদুভয়ের সদৃশ অন্য কোন বস্ত্রের বিনিময়ে একটিকে দুইটির বিনিময়ে অথবা তিনটির বিনিময়ে, নগদ বা বাকী (ক্রয় করতে কোন দোষ নেই), যদিও এক প্রকারের বস্ত্র হয়। যদি উহাতে [এক জাতের বস্ত্রে] ঋণ ধার প্রবেশ করে [অর্থাৎ ধারে বিক্রয় করা হয়] তবে তাতে মঙ্গল নেই [অর্থাৎ উহা নাজায়েয] ।মালিক (রহঃ) বলেনঃ (ক্রীত ও বিক্রীত বস্তুর মধ্যে) জাতগত পার্থক্য না হলে এবং সেই পার্থক্য স্পষ্ট না হলে ধারে বিক্রয় জায়েয হবে না। আর যদি একটি অপরটির সদৃশ হয় তবে উহাদের নাম যদিও বিভিন্ন হয় তবুও উহা হতে এক বস্তুর বিনিময়ে দুই বস্তু ধারে গ্রহণ করবে না। এর দৃষ্টান্ত- যেমন হারাবী দুই বস্ত্র ধারে গ্রহণ করা মরবী কিংবা কুহী [৯] এক বস্ত্রের বিনিময়ে বা সাতাবী এক বস্ত্রের বিনিময়ে ফুরকবী [১০] দুই বস্ত্র গ্রহণ করা। এই সব রকমের বস্ত্র যদি এইরূপ (অর্থাৎ পরস্পর স্পষ্ট পার্থক্য না থাকে) হয় তবে উহা হতে একটির বিনিময়ে দুটি বস্ত্র ধারে ক্রয় করা জায়েয হবে না।মালিক (রহঃ) বলেনঃ এই জাতীয় বস্ত্র হতে কারো ক্রীত বস্ত্রকে উহা কব্জা করার পূর্বে যেই লোক হতে ক্রয় করা হয়েছে সেই ব্যক্তি ব্যতীত অন্য লোকের নিকট বিক্রয় করাতে কোন দোষ নেই। যদি উহার মূল্য পরিশোধ করা হয়ে থাকে।
[১] এটা কাতান জাতীয় বস্ত্র, মিসরের সাতা নামক জনপদে এই বস্ত্র প্রস্তুত করা হয়। একে شطوى সাতাবী বলা হয়।[২] উন্নতমানের এক প্রকার কাতান বস্ত্র।[৩] মিসরের একটি গ্রামের নাম ইতরীব। সেই গ্রামে এই কাপড় প্রস্তুত করা হয় বলে এই বস্ত্রের নাম ইতবিবী রাখা হয়েছে।[৪] কাস্সী রেশমী ডোরাদার এক প্রকার বস্ত্র; মিসরের সাগরপাড়ে কাস্ নামক স্থানে এই বস্ত্র তৈরি হয়, তাই উহাকে কাস্সী বলা হয়।[৫] নীশাপুরের একটি মহল্লার নাম যীক সেই মহল্লায় তৈরি এই বস্ত্রের নাম যীকা।[৬] খুরাসানের হারাভ শহরে প্রস্তু বস্ত্র।[৭] মারভ শহরে প্রস্তুত বস্ত্র।[৮] ছোট চাদর।[৯] কুহী: সাদা বস্ত্র।[১০] ফুরকবী: ফুরকব নামক স্থানে প্রস্তুত বস্ত্র অথবা কাতানের সাদা বস্ত্র।