পরিচ্ছেদ ২২ :
পরস্পরে বৃদ্ধি বতীত খাদ্যদ্রব্যের বিনিময়ে খাদ্যদ্রব্য বিক্রয় করা
মুয়াত্তা ইমাম মালিক : ১৩২২
মুয়াত্তা ইমাম মালিকহাদিস নম্বর ১৩২২
قَالَ مَالِك وَمِمَّا يُشْبِهُ ذَلِكَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَن بَيْعِ الْمُزَابَنَةِ وَأَرْخَصَ فِي بَيْعِ الْعَرَايَا بِخَرْصِهَا مِنْ التَّمْرِ وَإِنَّمَا فُرِقَ بَيْنَ ذَلِكَ أَنَّ بَيْعَ الْمُزَابَنَةِ بَيْعٌ عَلَى وَجْهِ الْمُكَايَسَةِ وَالتِّجَارَةِ وَأَنَّ بَيْعَ الْعَرَايَا عَلَى وَجْهِ الْمَعْرُوفِ لَا مُكَايَسَةَ فِيْهِ قَالَ مَالِك وَلَا يَنْبَغِي أَنْ يَشْتَرِيَ رَجُلٌ طَعَامًا بِرُبُعٍ أَوْ ثُلُثٍ أَوْ كِسْرٍ مِنْ دِرْهَمٍ عَلَى أَنْ يُعْطَى بِذَلِكَ طَعَامًا إِلَى أَجَلٍ وَلَا بَأْسَ أَنْ يَبْتَاعَ الرَّجُلُ طَعَامًا بِكِسْرٍ مِنْ دِرْهَمٍ إِلَى أَجَلٍ ثُمَّ يُعْطَى دِرْهَمًا وَيَأْخُذُ بِمَا بَقِيَ لَهُ مِنْ دِرْهَمِهِ سِلْعَةً مِنْ السِّلَعِ لِأَنَّهُ أَعْطَى الْكِسْرَ الَّذِي عَلَيْهِ فِضَّةً وَأَخَذَ بِبَقِيَّةِ دِرْهَمِهِ سِلْعَةً فَهَذَا لَا بَأْسَ بِهقَالَ مَالِك وَلَا بَأْسَ أَنْ يَضَعَ الرَّجُلُ عِنْدَ الرَّجُلِ دِرْهَمًا ثُمَّ يَأْخُذُ مِنْهُ بِرُبُعٍ أَوْ بِثُلُثٍ أَوْ بِكِسْرٍ مَعْلُومٍ سِلْعَةً مَعْلُومَةً فَإِذَا لَمْ يَكُنْ فِي ذَلِكَ سِعْرٌ مَعْلُومٌ وَقَالَ الرَّجُلُ آخُذُ مِنْكَ بِسِعْرِ كُلِّ يَوْمٍ فَهَذَا لَا يَحِلُّ لِأَنَّهُ غَرَرٌ يَقِلُّ مَرَّةً وَيَكْثُرُ مَرَّةً وَلَمْ يَفْتَرِقَا عَلَى بَيْعٍ مَعْلُومقَالَ مَالِك وَمَنْ بَاعَ طَعَامًا جِزَافًا وَلَمْ يَسْتَثْنِ مِنْهُ شَيْئًا ثُمَّ بَدَا لَهُ أَنْ يَشْتَرِيَ مِنْهُ شَيْئًا فَإِنَّهُ لَا يَصْلُحُ لَهُ أَنْ يَشْتَرِيَ مِنْهُ شَيْئً إِلَّا مَا كَانَ يَجُوزُ لَهُ أَنْ يَسْتَثْنِيَهُ مِنْهُ وَذَلِكَ الثُّلُثُ فَمَا دُونَهُ فَإِنْ زَادَ عَلَى الثُّلُثِ صَارَ ذَلِكَ إِلَى الْمُزَابَنَةِ وَإِلَى مَا يُكْرَهُ فَلَا يَنْبَغِي لَهُ أَنْ يَشْتَرِيَ مِنْهُ شَيْئًا إِلَّا مَا كَانَ يَجُوزُ لَهُ أَنْ يَسْتَثْنِيَ مِنْهُ وَلَا يَجُوزُ لَهُ أَنْ يَسْتَثْنِيَ مِنْهُ إِلَّا الثُّلُثَ فَمَا دُونَهُ وَهَذَا الْأَمْرُ الَّذِي لَا اخْتِلَافَ فِيهِ عِنْدَنَا.
মালিক (রহঃ) হতে বর্ণিতঃ
এরই সদৃশ দৃষ্টান্ত হচ্ছে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুযাবানাকে নিষেধ করেছেন, (অথচ) আরায়াতে উহার খেজুরের অনুমান করে বিক্রয় করার অনুমতি দিয়েছেন। এই পার্থক্যের কারণ এই, মুযাবানাতে ক্রয়-বিক্রয় হচ্ছে পরস্পর বুদ্ধিমত্তা প্রকাশ ও ব্যবসা করার প্রয়াসের ধারায়। আর আরায়ায় বিক্রয় হচ্ছে অনুগ্রহস্বরূপ, এতে পরস্পর বুদ্ধি খাটানোর কোন প্রতিযোগিতা নেই।মালিক (রহঃ) বলেনঃ কোন ব্যক্তি খাদ্যদ্রব্য ক্রয় করল দিরহামের এক-চতুর্থাংশ বা এক-তৃতীয়াংশ কিংবা উহার যেকোন অংশের বিনিময়ে এই শর্তে যে, এই মূল্যের বিনিময়ে খাদ্যদ্রব্য দেয়া হবে মেয়াদে। [উদাহরণস্বরূপ যেমন-এক মাস পর] ইহা সঙ্গত (জায়েয) নয়। আর কোন ব্যক্তি খাদ্যদ্রব্য ক্রয় করল দিরহামের এক অংশের বিনিময়ে মেয়াদে। তারপর সে (পূর্ণ) এক দিরহাম প্রদান করল এবং তার দিরহামের যেটুকু অবশিষ্ট রইল উহার বিনিময়ে সে অন্য কোন সামগ্রী ক্রয় করল, এতে কোন দোষ নেই। কারণ সে দিরহামের অংশ যা তার জিম্মায় (ওয়াজিব) ছিল তা প্রদান করেছে এবং অবশিষ্ট দিরহামের বিনিময়ে (অন্য) সামগ্রী ক্রয় করেছ, এতে কোন দোষ নেই [অর্থাৎ ইটা জায়েয আছে]।মালিক (রহঃ) বলেনঃ এক ব্যক্তি আর এক ব্যক্তির নিকট একটি দিরহাম রাখল। অতঃপর সেই ব্যক্তির নিকট হতে দিরহামের এক-তৃতীয়াংশ অথবা এক-চতুর্থাংশ কিংবা নির্দিষ্ট কোন অংশে নির্দিষ্ট কোন সামগ্রী খরিদ করল, এতে কোন দোষ নেই। পক্ষান্তরে যদি উহাতে মূল্য জ্ঞাত না থাকে এবং (দিরহামওয়ালা) ব্যক্তি বলল- আমি প্রতিদিনকার যা মূল্য হবে তার বিনিময়ে ক্রয় করব। এটা জায়েয হবে না। কারণ এটা (এক প্রকার) ধোঁকা, দাম একবার কমবে, আবার একবার বাড়বে। তারা উভয়ে কোন সুনির্দিষ্ট ক্রয়-বিক্রয় হতে পরস্পর পৃথক হয়নি।মালিক (রহঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি আন্দাজ করে খাদ্যদ্রব্য বিক্রয় করেছে এবং উহা হতে কোন কিছু বাদ বা আলাদা করেনি। অতঃপর [বিক্রিত বস্তু হতে] কিছুটা ক্রেতা হতে খরিদ করতে সে ইচ্ছা করল, তবে বিক্রিত বস্তু হতে কিছুটা ক্রেতা হতে খরিদ করে রাখা তার জন্য জায়েয নয়। কিন্তু কেবলমাত্র সেই পরিমাণ ক্রয় করা জায়েয যেই পরিমাণ সেই বস্তু হতে বাদ করা বা পৃথক করে রাখা তহার জন্য জায়েয রয়েছে। আর সেই পরিমাণ হচ্ছে এক-তৃতীয়াংশ বা উহা হতে কম, এক-তৃতীয়াংশ হতে বেশি হলে তা মুযাবানার দিকে এবং মাকরূহ (বেচাকেনা)-এর দিকে যাবে। কাজেই (বিক্রেতার জন্য) উহা হতে কিছুটা ক্রয় করা সঙ্গত নয় কিন্তু যে পরিমাণ উহা হতে পৃথক করা (বাদ দেয়া) তার জন্য জায়েয আছে সেই পরিমাণ (ক্রয় করতে পারবে)। আর এক-তৃতীয়াংশ বা উহা হতে কম ছাড়া পৃথক করা তার জন্য জায়েয নয়।মালিক (রহঃ) বলেনঃ এই বিষয়ে আমাদের মধ্যে কোন মতানৈক্য নেই।