পরিচ্ছেদ ২৪ :

মজুতকরা এবং মুনাফার অপেক্ষায় থাকা

মুয়াত্তা ইমাম মালিকহাদিস নম্বর ১৩২৩

حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ قَالَ لَا حُكْرَةَ فِي سُوقِنَا لَا يَعْمِدُ رِجَالٌ بِأَيْدِيهِمْ فُضُولٌ مِنْ أَذْهَابٍ إِلَى رِزْقٍ مِنْ رِزْقِ اللهِ نَزَلَ بِسَاحَتِنَا فَيَحْتَكِرُونَهُ عَلَيْنَا وَلَكِنْ أَيُّمَا جَالِبٍ جَلَبَ عَلَى عَمُودِ كَبِدِهِ فِي الشِّتَاءِ وَالصَّيْفِ فَذَلِكَ ضَيْفُ عُمَرَ فَلْيَبِعْ كَيْفَ شَاءَ اللهُ وَلْيُمْسِكْ كَيْفَ شَاءَ اللهُ.

মালিক (রহঃ) হতে বর্ণিতঃ

তাঁর নিকট রেওয়ায়ত পৌঁছেছে যে, উমার ইবনু খাত্তাব (রাঃ) বলেছেন, আমাদের বাজারে কেউ ইহতিকার [১] করবে না। যেইসকল লোকের হাতে অতিরিক্ত মুদ্রা রয়েছে সেই সব লোক যেন আল্লাহ প্রদত্ত জীবিকাসমূহ; হতে কোন জীবিকা [খাদ্যশস্য] ক্রয় করে আমাদের উপর মজুতদারী করার ইচ্ছা না করে। আর যে ব্যক্তি শীত মৌসুমে ও গ্রীষ্মকালে নিজের পিঠে বোঝা বহন করে (খাদ্যশস্য) আনবে সে উমারের মেহমান, সে যেরূপ ইচছা বিক্রয় করুক, যেরূপ ইচ্ছা মজুত করুক। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)

[১] মজুতদারী ইসলামের দৃষ্টিতে একটি সামাজিক অপরাধ, চড়া মূল্যে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে মাল মজুদ করে রাখার নাম ইহতিকার। ইহতিকার নিষিদ্ধ ও হারাম। হাদীসের দৃষ্টিতে ইহতিকারকারী অপরাধী ও অভিশপ্ত। মূল্য বৃদ্ধির অপেক্ষায় চল্লিশ দিন পর্যন্ত মাল মজুত রাখলে, সাধারণ্যে সেই মালের তীব্র প্রয়োজন থাকলে ইহতিকার নিষিদ্ধ হবে। রেওয়ায়তে বর্ণিত হয়েছে যে, যে ব্যক্তি ইহতিকার করবে সে ব্যক্তি হতে আল্লাহ তা‘আলা সম্পর্কমুক্ত, সেও আল্লাহ হতে সম্পর্ক মুক্ত (অর্থাৎ সে আল্লাহর বান্দা নয়) এবং তার কোন কিছুই গ্রহণযোগ্য হবে না। হালুয়া, মধু, তৈল, ব্যঞ্জন ইত্যাদিতে ইহতিকার নিষিদ্ধ নয়, ইহতিকার নিষিদ্ধ খাদ্যদ্রব্য। সম্পদশালী শহরে যাতে মজুতদারীতে কোন ক্ষতি হয় না এমন ইহতিকার নিষিদ্ধ নয়। -আওজাযুল মাসালিক

সেটিংস

ফন্ট সেটিংস

আরবি ফন্ট ফেস

আরবি ফন্ট সাইজ

২৪

অনুবাদ ফন্ট সাইজ

১৮

আল হাদিস অ্যাপ ডাউনলোড করুন

App Banner

ইসলামের জ্ঞান প্রচারে সহায়ক হোন

আপনার নিয়মিত সহায়তা আমাদের দ্বীনি ভাই-বোনের কাছে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছাতে সাহয্য করবে। আমাদের মিশনে আপনিও অংশ নিন এবং বড় পরিবর্তনের অংশীদার হোন।

সাপোর্ট করুন