পরিচ্ছেদ ১৩ :
মুযাবানা [১] এবং মুহাকালা [২]
[১] কারো মতে, খোসাবিহীন এক প্রকার যব যা হিজাযে উৎপন্ন হয়।মুযাবানা হচ্ছে সুপক্ব খুর্মার বিনিময়ে তাজা খেজুরকে আন্দাজ করে ক্রয় করা।[২] মুহাকালা হচ্ছে শুষ্ক শস্যের বিনিময়ে ক্ষেতের তাজা শস্য ক্রয় করা।
মুয়াত্তা ইমাম মালিক : ১২৯১
মুয়াত্তা ইমাম মালিকহাদিস নম্বর ১২৯১
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنْ الْمُزَابَنَةِ وَالْمُحَاقَلَةِ وَالْمُزَابَنَةُ اشْتِرَاءُ الثَّمَرِ بِالتَّمْرِ وَالْمُحَاقَلَةُ اشْتِرَاءُ الزَّرْعِ بِالْحِنْطَةِ وَاسْتِكْرَاءُ الْأَرْضِ بِالْحِنْطَةِ قَالَ ابْنُ شِهَابٍ فَسَأَلْتُ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ عَنْ اسْتِكْرَاءِ الْأَرْضِ بِالذَّهَبِ وَالْوَرِقِ فَقَالَ لَا بَأْسَ بِذَلِكَقَالَ مَالِك نَهَى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ الْمُزَابَنَةِ وَتَفْسِيرُ الْمُزَابَنَةِ أَنَّ كُلَّ شَيْءٍ مِنْ الْجِزَافِ الَّذِي لَا يُعْلَمُ كَيْلُهُ وَلَا وَزْنُهُ وَلَا عَدَدُهُ ابْتِيعَ بِشَيْءٍ مُسَمًّى مِنْ الْكَيْلِ أَوْ الْوَزْنِ أَوْ الْعَدَدِ وَذَلِكَ أَنْ يَقُولَ الرَّجُلُ لِلرَّجُلِ يَكُونُ لَهُ الطَّعَامُ الْمُصَبَّرُ الَّذِي لَا يُعْلَمُ كَيْلُهُ مِنْ الْحِنْطَةِ أَوْ التَّمْرِ أَوْ مَا أَشْبَهَ ذَلِكَ مِنْ الْأَطْعِمَةِ أَوْ يَكُونُ لِلرَّجُلِ السِّلْعَةُ مِنْ الْحِنْطَةِ أَوْ النَّوَى أَوْ الْقَضْبِ أَوْ الْعُصْفُرِ أَوْ الْكُرْسُفِ أَوْ الْكَتَّانِ أَوْ الْقَزِّ أَوْ مَا أَشْبَهَ ذَلِكَ مِنْ السِّلَعِ لَا يُعْلَمُ كَيْلُ شَيْءٍ مِنْ ذَلِكَ وَلَا وَزْنُهُ وَلَا عَدَدُهُ فَيَقُولُ الرَّجُلُ لِرَبِّ تِلْكَ السِّلْعَةِ كِلْ سِلْعَتَكَ هَذِهِ أَوْ مُرْ مَنْ يَكِيلُهَا أَوْ زِنْ مِنْ ذَلِكَ مَا يُوزَنُ أَوْ عُدَّ مِنْ ذَلِكَ مَا كَانَ يُعَدُّ فَمَا نَقَصَ عَنْ كَيْلِ كَذَا وَكَذَا صَاعًا لِتَسْمِيَةٍ يُسَمِّيهَا أَوْ وَزْنِ كَذَا وَكَذَا رِطْلًا أَوْ عَدَدِ كَذَا وَكَذَا فَمَا نَقَصَ مِنْ ذَلِكَ فَعَلَيَّ غُرْمُهُ لَكَ حَتَّى أُوفِيَكَ تِلْكَ التَّسْمِيَةَ فَمَا زَادَ عَلَى تِلْكَ التَّسْمِيَةِ فَهُوَ لِي أَضْمَنُ مَا نَقَصَ مِنْ ذَلِكَ عَلَى أَنْ يَكُونَ لِي مَا زَادَ فَلَيْسَ ذَلِكَ بَيْعًا وَلَكِنَّهُ الْمُخَاطَرَةُ وَالْغَرَرُ وَالْقِمَارُ يَدْخُلُ هَذَا لِأَنَّهُ لَمْ يَشْتَرِ مِنْهُ شَيْئًا بِشَيْءٍ أَخْرَجَهُ وَلَكِنَّهُ ضَمِنَ لَهُ مَا سُمِّيَ مِنْ ذَلِكَ الْكَيْلِ أَوْ الْوَزْنِ أَوْ الْعَدَدِ عَلَى أَنْ يَكُونَ لَهُ مَا زَادَ عَلَى ذَلِكَ فَإِنْ نَقَصَتْ تِلْكَ السِّلْعَةُ عَنْ تِلْكَ التَّسْمِيَةِ أَخَذَ مِنْ مَالِ صَاحِبِهِ مَا نَقَصَ بِغَيْرِ ثَمَنٍ وَلَا هِبَةٍ طَيِّبَةٍ بِهَا نَفْسُهُ فَهَذَا يُشْبِهُ الْقِمَارَ وَمَا كَانَ مِثْلُ هَذَا مِنْ الْأَشْيَاءِ فَذَلِكَ يَدْخُلُهُ-قَالَ مَالِك وَمِنْ ذَلِكَ أَيْضًا أَنْ يَقُولَ الرَّجُلُ لِلرَّجُلِ لَهُ الثَّوْبُ أَضْمَنُ لَكَ مِنْ ثَوْبِكَ هَذَا كَذَا وَكَذَا ظِهَارَةَ قَلَنْسُوَةٍ قَدْرُ كُلِّ ظِهَارَةٍ كَذَا وَكَذَا لِشَيْءٍ يُسَمِّيهِ فَمَا نَقَصَ مِنْ ذَلِكَ فَعَلَيَّ غُرْمُهُ حَتَّى أُوفِيَكَ وَمَا زَادَ فَلِي أَوْ أَنْ يَقُولَ الرَّجُلُ لِلرَّجُلِ أَضْمَنُ لَكَ مِنْ ثِيَابِكَ هَذِي كَذَا وَكَذَا قَمِيصًا ذَرْعُ كُلِّ قَمِيصٍ كَذَا وَكَذَا فَمَا نَقَصَ مِنْ ذَلِكَ فَعَلَيَّ غُرْمُهُ وَمَا زَادَ عَلَى ذَلِكَ فَلِي أَوْ أَنْ يَقُولَ الرَّجُلُ لِلرَّجُلِ لَهُ الْجُلُودُ مِنْ جُلُودِ الْبَقَرِ أَوْ الْإِبِلِ أُقَطِّعُ جُلُودَكَ هَذِهِ نِعَالًا عَلَى إِمَامٍ يُرِيهِ إِيَّاهُ فَمَا نَقَصَ مِنْ مِائَةِ زَوْجٍ فَعَلَيَّ غُرْمُهُ وَمَا زَادَ فَهُوَ لِي بِمَا ضَمِنْتُ لَكَ وَمِمَّا يُشْبِهُ ذَلِكَ أَنْ يَقُولَ الرَّجُلُ لِلرَّجُلِ عِنْدَهُ حَبُّ الْبَانِ اعْصُرْ حَبَّكَ هَذَا فَمَا نَقَصَ مِنْ كَذَا وَكَذَا رِطْلًا فَعَلَيَّ أَنْ يَقُولَ الرَّجُلُ لِلرَّجُلِ عِنْدَهُ حَبُّ الْبَانِ اعْصُرْ حَبَّكَ هَذَا فَمَا نَقَصَ مِنْ كَذَا وَكَذَا رِطْلًا فَعَلَيَّ أَنْ أُعْطِيَكَهُ وَمَا زَادَ فَهُوَ لِي فَهَذَا كُلُّهُ وَمَا أَشْبَهَهُ مِنْ الْأَشْيَاءِ أَوْ ضَارَعَهُ مِنْ الْمُزَابَنَةِ الَّتِي لَا تَصْلُحُ وَلَا تَجُوزُ وَكَذَلِكَ أَيْضًا إِذَا قَالَ الرَّجُلُ لِلرَّجُلِ لَهُ الْخَبَطُ أَوْ النَّوَى أَوْ الْكُرْسُفُ أَوْ الْكَتَّانُ أَوْ الْقَضْبُ أَوْ الْعُصْفُرُ أَبْتَاعُ مِنْكَ هَذَا الْخَبَطَ بِكَذَا وَكَذَا صَاعًا مِنْ خَبَطٍ يُخْبَطُ مِثْلَ خَبَطِهِ أَوْ هَذَا النَّوَى بِكَذَا وَكَذَا صَاعًا مِنْ نَوًى مِثْلِهِ وَفِي الْعُصْفُرِ وَالْكُرْسُفِ وَالْكَتَّانِ وَالْقَضْبِ مِثْلَ ذَلِكَ فَهَذَا كُلُّهُ يَرْجِعُ إِلَى مَا وَصَفْنَا مِنْ الْمُزَابَنَةِ.
সায়ীদ ইবন মুসায়্যাব (রহঃ) হতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুযাবানা ও মুহাকালা হতে নিষেধ করেছেন। মুযাবানা হচ্ছে সুপক্ব খেজুরের বিনিময়ে তাজা খেজুর ক্রয় করা। আর মুহাকালা হচ্ছে গমের বিনিময়ে ক্ষেত ক্রয় করা। এবং গমের বিনিময়ে শস্যক্ষেত্র ভাড়া (ভাগ) নেয়া। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)ইবন শিহাব (রহঃ) বলেনঃ আমি সায়ীদ ইবন মুসায়্যাবের নিকট প্রশ্ন করলাম স্বর্ণ ও রৌপ্যের বিনিময়ে ভূমি ভাড়া (ভাগ) গ্রহণ করা সম্পর্কে। তিনি (উত্তরে) বললেনঃ এতে কোন ক্ষতি নেই (অর্থাৎ জায়েয আছে)।মালিক (রহঃ) বলেনঃ রসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুযাবানাকে নিষেধ করেছেন।আর মুযাবানার তাফসীর হচ্ছে এই যে, অনুমানের যে কোন বস্তু যার পরিমাণ, ওজন ও সংখ্যা অজ্ঞাত, উহাকে ক্রয় করা হয়েছে পরিমাণ, ওজন ও সংখ্যা দ্বারা সুনির্দিষ্ট বস্তুর বিনিময়ে। যেমন এক ব্যক্তির গাদা করা খাদ্যদ্রব্য রয়েছে; গম, খুরমা অথবা ইহার সদৃশ অন্যান্য খাদ্যদ্রব্য যেগুলোর পরিমাণ অজ্ঞাত কিংবা এক ব্যক্তির নিকট রয়েছে আসবাব-বৃক্ষপত্র ও ঘাস গুটলী [ফলের আঁটি] ডাল-পালা, কুমকুম, তুলা, কাতান বস্ত্র, কাঁচা রেশম, কিংবা এদের সদৃশ অন্য কোন সামগ্রী যেসবের কোন কিছুরই পরিমাণ, ওজন ও সংখ্যা জ্ঞাত নয়, (উপরিউক্ত) খাদ্যদ্রব্য কিংবা আসবাবের মালিককে এক ব্যক্তি বলল, আপনি কোন ব্যক্তিকে আপনার আসবাব পরিমাণ করার নির্দেশ দিন। কিংবা যা ওজন করার যোগ্য তাকে ওজন করুন, অথবা যা গণনা করার উপযোগী তাকে গণনা করুন। এত এত সা’ হতে [১] যা নির্ধারিত করা হয় উহা হতে যা কম হবে, কিংবা এত এত রতল [২] (অর্ধসের) ওজন হতে যা ঘটে যাবে অথবা এত এত [৩] সংখ্যা হতে যত কম হবে উহার ক্ষতিপূরণ আমি করব সেই পরিমাণ বা ওজন, কিংবা সংখ্যা যা নির্ধারিত হয়েছে তার। সেই পরিমাণ, ওজন কিংবা সংখ্যা পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ আমার দায়িত্ব থাকবে। আর নির্ধারিত পরিমাণ, ওজন কিংবা সংখ্যা হতে যা বাড়তি হবে তা হবে আমার প্রাপ্য। যে পরিমাণ কম হবে সে পরিমাণের ক্ষতিপূরণের আমি জিম্মাদার থাকব এই শর্তে যে, যা বাড়তি হবে তা পরিমাণ কম হবে সে পরিমাণ ক্ষতিপূরণের আমি জিম্মাদার থাকিব এই শর্তে যে, যাহা বাড়তি হবে তা আমার প্রাপ্য হবে। এটা কোন বিক্রয় নয়। বরং এতে রয়েছে ঝুঁকি ও প্রতারণা আর জুয়াও এর অন্তর্ভুক্ত। মুযাবানার মতো এটাও নিষিদ্ধ। কারণ নিজ হতে কোন মূল্য প্রদান করে কোন বস্তু বিক্রেতা হতে ক্রয় করা হয়নি। কিন্তু সে আসবাবের মালিকের জন্য জামিন হয়েছে। যে পরিমাণ, ওজন এবং সংখ্যা সে নির্ধারণ করেছে তা হতে বাড়তি হলে উহা সে পাবে, আর নির্ধারিত পরিমাণ হতে সামান্য ঘাটতি হলে তবে ঘাটতি পূরণার্থে জামিনদারের মাল হতে ঘাটতি পরিমাণ মাল গ্রহণ করবে। অথচ ইহা মূল্যও নয় এমন দানও নয় যা হৃষ্টচিত্তে দান করা হয়েছে। তাই এটা জুয়া তুল্য, যেকোন (ক্রয়-বিক্রয় আদান-প্রদান) এইরূপ হবে, উহা জুয়ার মতো হবে (এবং মুযাবানার মতো নিষিদ্ধ হবে)।মালিক (রহঃ) বলেনঃ মুযাবানার অন্তর্গত এটাও- যে ব্যক্তির নিকট কাপড় আছে তাকে আর এক ব্যক্তি বললঃ আপনার এই কাপড় হতে এত এত [ধরা যাক একশত কিংবা দুইশত] জামার বেষ্টনী ও টুপী তৈরীর দায়িত্ব নিচ্ছি। প্রতিটি বেষ্টনীর পরিমাণ এত এত হবে যা নির্দিষ্ট রূপে উল্লেখ করল। [৪] এই সংখ্যা হতে যা কম হবে তার জরিমানা আমার জিম্মায়। আমি উহা আপনাকে পূর্ণ করে দিব, আর যা বাড়তি হবে তা হবে আমার। কিংবা এক ব্যক্তি অপর ব্যক্তিকে বলল, আপনার এই কাপড় হতে এত এত কামিজ তৈরির ব্যাপারে আমি জামিন আছি, প্রতিটি কামিজের আয়তন এত এত হবে, উহা হতে যতটুকু কমতি হবে উহার জরিমানা আমার উপর। আর যা বাড়তি হবে তা আমার প্রাপ্য হবে। কিংবা যার কাছে গরু অথবা উটের চামড়া রয়েছে তাকে কেউ বলল, আমি আপনার এইসব চামড়া হতে এই পরিমাণের যা দেখান হয়েছে জুতা তৈয়ার করব। একশত জোড়ার কম যা হবে তার ক্ষতিপূরণ আমি করব। এই ক্ষতিপূরণের দায়িত্ব গ্রহণের বিনিময়ে যা বাড়তি হবে উহা আমার হবে। অনুরূপ এক ব্যক্তির নিকট রয়েছে হাব্বুল-বানা [এক প্রকারের গাছ যার পাতা নিম গাছের পাতার মত উহার ফলের বীজ দ্বারা তৈল প্রস্তুত করা হয়।] তাকে আর এক ব্যক্তি বলল, আপনার এই বীজ আমি নিঙরিয়ে [তৈল বের করে] দিব। এত এত রাতল [অর্ধসের ওজনের একটি পরিমাপ মাত্র] পরিমাণ হতে যা কমতি হবে উহার ক্ষতিপূরণ আমি আপনাকে আদায় করব। আর যা অতিরিক্ত হবে তা আমার প্রাপ্য হবে। এই সব (যা উল্লেখ হয়েছে) এবং উহার সদৃশ বস্তুসমূহ কিংবা যা এই সবের মতন হয় সব মুযাবানার অন্তর্ভুক্ত এবং তা অবৈধ। অনুরূপ এক ব্যক্তির নিকট রয়েছে ঘাস-পাতা, ফলের আঁটি, তুলা, কাতান বস্ত্র, ডাল পালা, কুমকুম ইত্যাদি। অন্য এক ব্যক্তি সেই ব্যক্তিকে বলল, আমি আপনার নিকট এই ঘাসপাতা এত এত সা’ অনুরূপ ঘাসের বিনিময়ে ক্রয় করলাম, কিংবা এই ফলের আঁটিগুলো এত এত সা’ অনুরূপ ফলের আঁটির বিনিময়ে ক্রয় করলাম। এইরূপভাবে কুমকুম, তুলা, কাতান এবং ডাল-পালার ব্যাপারেও বলা হল। এই সবই আমাদের (সাবেক) বর্ণিত মুযাবানার অন্তর্ভুক্ত হবে।
[১] দৃষ্টান্তস্বরূপ পাঁচ সা’ হতে যা কম হবে।[২] কিংবা দশ রতল হতে যা কম হবে।[৩] একশত ডিম হতে কম হলে। দুইশত চৌত্রিশ তোলাতে এক সা’ হয়, এহা একটি পরিমাণ পাত্র। রতল একটি পাত্র বিশেষ, অর্ধসের পরিমাণ ওজনের কম বা অন্যান্য বস্তুর উহাতে গুনজায়েশ হয়। -লুগাতে-কিশওয়ারী.[৪] যেমন দশ আঙ্গুল বা বিশ আঙ্গুল।