পরিচ্ছেদ ১৪ :

ফল বিক্রয় সম্পর্কীয় বিবিধ বর্ণনা

মুয়াত্তা ইমাম মালিকহাদিস নম্বর ১২৯২

قَالَ مَالِك مَنْ اشْتَرَى ثَمَرًا مِنْ نَخْلٍ مُسَمَّاةٍ أَوْ حَائِطٍ مُسَمًّى أَوْ لَبَنًا مِنْ غَنَمٍ مُسَمَّاةٍ إِنَّهُ لَا بَأْسَ بِذَلِكَ إِذَا كَانَ يُؤْخَذُ عَاجِلًا يَشْرَعُ الْمُشْتَرِي فِي أَخْذِهِ عِنْدَ دَفْعِهِ الثَّمَنَ وَإِنَّمَا مَثَلُ ذَلِكَ بِمَنْزِلَةِرَاوِيَةِ زَيْتٍ يَبْتَاعُ مِنْهَا رَجُلٌ بِدِينَارٍ أَوْ دِينَارَيْنِ وَيُعْطِيهِ ذَهَبَهُ وَيَشْتَرِطُ عَلَيْهِ أَنْ يَكِيلَ لَهُ مِنْهَا فَهَذَا لَا بَأْسَ بِهِ فَإِنْ انْشَقَّتْ الرَّاوِيَةُ فَذَهَبَ زَيْتُهَا فَلَيْسَ لِلْمُبْتَاعِ إِلَّا ذَهَبُهُ وَلَا يَكُونُ بَيْنَهُمَا بَيْعٌ وَأَمَّا كُلُّ شَيْءٍ كَانَ حَاضِرًا يُشْتَرَى عَلَى وَجْهِهِ مِثْلُ اللَّبَنِ إِذَا حُلِبَ وَالرُّطَبِ يُسْتَجْنَى فَيَأْخُذُ الْمُبْتَاعُ يَوْمًا بِيَوْمٍ فَلَا بَأْسَ بِهِ فَإِنْ فَنِيَ قَبْلَ أَنْ يَسْتَوْفِيَ الْمُشْتَرِي مَا اشْتَرَى رَدَّ عَلَيْهِ الْبَائِعُ مِنْ ذَهَبِهِ بِحِسَابِ مَا بَقِيَ لَهُ أَوْ يَأْخُذُ مِنْهُ الْمُشْتَرِي سِلْعَةً بِمَا بَقِيَ لَهُ يَتَرَاضَيَانِ عَلَيْهَا وَلَا يُفَارِقُهُ حَتَّى يَأْخُذَهَا فَإِنْ فَارَقَهُ فَإِنَّ ذَلِكَ مَكْرُوهٌ لِأَنَّهُ يَدْخُلُهُ الدَّيْنُ بِالدَّيْنِ وَقَدْ نُهِيَ عَنْ الْكَالِئِ بِالْكَالِئِ فَإِنْ وَقَعَ فِي بَيْعِهِمَا أَجَلٌ فَإِنَّهُ مَكْرُوهٌ وَلَا يَحِلُّ فِيهِ تَأْخِيرٌ وَلَا نَظِرَةٌ وَلَا يَصْلُحُ إِلَّا بِصِفَةٍ مَعْلُومَةٍ إِلَى أَجَلٍ مُسَمًّى فَيَضْمَنُ ذَلِكَ الْبَائِعُ لِلْمُبْتَاعِ وَلَا يُسَمَّى ذَلِكَ فِي حَائِطٍ بِعَيْنِهِ وَلَا فِي غَنَمٍ بِأَعْيَانِهَاو سُئِلَ مَالِك عَنْ الرَّجُلِ يَشْتَرِي مِنْ الرَّجُلِ الْحَائِطَ فِيهِ أَلْوَانٌ مِنْ النَّخْلِ مِنْ الْعَجْوَةِ وَالْكَبِيسِ وَالْعَذْقِ وَغَيْرِ ذَلِكَ مِنْ أَلْوَانِالتَّمْرِ فَيَسْتَثْنِي مِنْهَا ثَمَرَ النَّخْلَةِ أَوْ النَّخَلَاتِ يَخْتَارُهَا مِنْ نَخْلِهِ فَقَالَ مَالِك ذَلِكَ لَا يَصْلُحُ لِأَنَّهُ إِذَا صَنَعَ ذَلِكَ تَرَكَ ثَمَرَ النَّخْلَةِ مِنْ الْعَجْوَةِ وَمَكِيلَةُ ثَمَرِهَا خَمْسَةَ عَشَرَ صَاعًا وَأَخَذَ مَكَانَهَا ثَمَرَ نَخْلَةٍ مِنْ الْكَبِيسِ وَمَكِيلَةُ ثَمَرِهَا عَشَرَةُ أَصْوُعٍ أَوْ أَخَذَ الْعَجْوَةَ الَّتِي فِيهَا خَمْسَةَ عَشَرَ صَاعًا وَتَرَكَ الَّتِي فِيهَا عَشْرَةُ أَصْوُعٍ مِنْ الْكَبِيسِ فَكَأَنَّهُ اشْتَرَى الْعَجْوَةَ بِالْكَبِيسِ مُتَفَاضِلًا وَذَلِكَ مِثْلُ أَنْ يَقُولَ الرَّجُلُ لِلرَّجُلِ بَيْنَ يَدَيْهِ صُبَرٌ مِنْ التَّمْرِ قَدْ صَبَّرَ الْعَجْوَةَ فَجَعَلَهَا خَمْسَةَ عَشَرَ صَاعًا وَجَعَلَ صُبْرَةَ الْكَبِيسِ عَشَرَةَ آصُعٍ وَجَعَلَ صُبْرَةَ الْعَذْقِ اثْنَيْ عَشَرَ صَاعًا فَأَعْطَى صَاحِبَ التَّمْرِ دِينَارًا عَلَى أَنَّهُ يَخْتَارُ فَيَأْخُذُ أَيَّ تِلْكَ الصُّبَرِ شَاءَ قَالَ مَالِك فَهَذَا لَا يَصْلُحُو سُئِلَ مَالِك عَنْ الرَّجُلِ يَشْتَرِي الرُّطَبَ مِنْ صَاحِبِ الْحَائِطِ فَيُسْلِفُهُ الدِّينَارَ مَاذَا لَهُ إِذَا ذَهَبَ رُطَبُ ذَلِكَ الْحَائِطِ قَالَ مَالِك يُحَاسِبُ صَاحِبَ الْحَائِطِ ثُمَّ يَأْخُذُ مَا بَقِيَ لَهُ مِنْدِينَارِهِ إِنْ كَانَ أَخَذَ بِثُلُثَيْ دِينَارٍ رُطَبًا أَخَذَ ثُلُثَ الدِّينَارِ الَّذِي بَقِيَ لَهُ وَإِنْ كَانَ أَخَذَ ثَلَاثَةَ أَرْبَاعِ دِينَارِهِ رُطَبًا أَخَذَ الرُّبُعَ الَّذِي بَقِيَ لَهُ أَوْ يَتَرَاضَيَانِ بَيْنَهُمَا فَيَأْخُذُ بِمَا بَقِيَ لَهُ مِنْ دِينَارِهِ عِنْدَ صَاحِبِ الْحَائِطِ مَا بَدَا لَهُ إِنْ أَحَبَّ أَنْ يَأْخُذَ تَمْرًا أَوْ سِلْعَةً سِوَى التَّمْرِ أَخَذَهَا بِمَا فَضَلَ لَهُ فَإِنْ أَخَذَ تَمْرًا أَوْ سِلْعَةً أُخْرَى فَلَا يُفَارِقْهُ حَتَّى يَسْتَوْفِيَ ذَلِكَ مِنْهُقَالَ مَالِك وَإِنَّمَا هَذَا بِمَنْزِلَةِ أَنْ يُكْرِيَ الرَّجُلُ الرَّجُلَ رَاحِلَةً بِعَيْنِهَا أَوْ يُؤَاجِرَ غُلَامَهُ الْخَيَّاطَ أَوْ النَّجَّارَ أَوْ الْعَمَّالَ لِغَيْرِ ذَلِكَ مِنْ الْأَعْمَالِ أَوْ يُكْرِيَ مَسْكَنَهُ وَيَسْتَلِفَ إِجَارَةَ ذَلِكَ الْغُلَامِ أَوْ كِرَاءَ ذَلِكَ الْمَسْكَنِ أَوْ تِلْكَ الرَّاحِلَةِ ثُمَّ يَحْدُثُ فِي ذَلِكَ حَدَثٌ بِمَوْتٍ أَوْ غَيْرِ ذَلِكَ فَيَرُدُّ رَبُّ الرَّاحِلَةِ أَوْ الْعَبْدِ أَوْ الْمَسْكَنِ إِلَى الَّذِي سَلَّفَهُ مَا بَقِيَ مِنْ كِرَاءِ الرَّاحِلَةِ أَوْ إِجَارَةِ الْعَبْدِ أَوْ كِرَاءِ الْمَسْكَنِ يُحَاسِبُ صَاحِبَهُ بِمَا اسْتَوْفَى مِنْ ذَلِكَ إِنْ كَانَ اسْتَوْفَى نِصْفَ حَقِّهِ رَدَّ عَلَيْهِ النِّصْفَ الْبَاقِيَ الَّذِي لَهُ عِنْدَهُ وَإِنْ كَانَ أَقَلَّ مِنْ ذَلِكَ أَوْ أَكْثَرَ فَبِحِسَابِ ذَلِكَ يَرُدُّ إِلَيْهِ مَا بَقِيَ لَهُقَالَ مَالِك وَلَا يَصْلُحُ التَّسْلِيفُ فِي شَيْءٍ مِنْ هَذَا يُسَلَّفُ فِيهِ بِعَيْنِهِ إِلَّا أَنْ يَقْبِضَ الْمُسَلِّفُ مَا سَلَّفَ فِيهِ عِنْدَ دَفْعِهِ الذَّهَبَ إِلَى صَاحِبِهِ يَقْبِضُ الْعَبْدَ أَوْ الرَّاحِلَةَ أَوْ الْمَسْكَنَ أَوْ يَبْدَأُ فِيمَا اشْتَرَى مِنْ الرُّطَبِ فَيَأْخُذُ مِنْهُ عِنْدَ دَفْعِهِ الذَّهَبَ إِلَى صَاحِبِهِ لَا يَصْلُحُ أَنْ يَكُونَ فِي شَيْءٍ مِنْ ذَلِكَ تَأْخِيرٌ وَلَا أَجَلٌقَالَ مَالِك وَتَفْسِيرُ مَا كُرِهَ مِنْ ذَلِكَ أَنْ يَقُولَ الرَّجُلُ لِلرَّجُلِ أُسَلِّفُكَ فِي رَاحِلَتِكَ فُلَانَةَ أَرْكَبُهَا فِي الْحَجِّ وَبَيْنَهُ وَبَيْنَ الْحَجِّ أَجَلٌ مِنْ الزَّمَانِ أَوْ يَقُولَ مِثْلَ ذَلِكَ فِي الْعَبْدِ أَوْ الْمَسْكَنِ فَإِنَّهُ إِذَا صَنَعَ ذَلِكَ كَانَ إِنَّمَا يُسَلِّفُهُ ذَهَبًا عَلَى أَنَّهُ إِنْ وَجَدَ تِلْكَ الرَّاحِلَةَ صَحِيحَةً لِذَلِكَ الْأَجَلِ الَّذِي سَمَّى لَهُ فَهِيَ لَهُ بِذَلِكَ الْكِرَاءِ وَإِنْ حَدَثَ بِهَا حَدَثٌ مِنْ مَوْتٍ أَوْ غَيْرِهِ رَدَّ عَلَيْهِ ذَهَبَهُ وَكَانَتْ عَلَيْهِ عَلَى وَجْهِ السَّلَفِ عِنْدَهُقَالَ مَالِك وَإِنَّمَا فَرَقَ بَيْنَ ذَلِكَ الْقَبْضُ مَنْ قَبَضَ مَا اسْتَأْجَرَ أَوْ اسْتَكْرَى فَقَدْ خَرَجَ مِنْ الْغَرَرِ وَالسَّلَفِ الَّذِي يُكْرَهُ وَأَخَذَ أَمْرًا مَعْلُومًا وَإِنَّمَا مَثَلُ ذَلِكَ أَنْ يَشْتَرِيَ الرَّجُلُ الْعَبْدَ أَوْ الْوَلِيدَةَ فَيَقْبِضَهُمَا وَيَنْقُدَأَثْمَانَهُمَا فَإِنْ حَدَثَ بِهِمَا حَدَثٌ مِنْ عُهْدَةِ السَّنَةِ أَخَذَ ذَهَبَهُ مِنْ صَاحِبِهِ الَّذِي ابْتَاعَ مِنْهُ فَهَذَا لَا بَأْسَ بِهِ وَبِهَذَا مَضَتْ السُّنَّةُ فِي بَيْعِ الرَّقِيقِقَالَ مَالِك وَمَنْ اسْتَأْجَرَ عَبْدًا بِعَيْنِهِ أَوْ تَكَارَى رَاحِلَةً بِعَيْنِهَا إِلَى أَجَلٍ يَقْبِضُ الْعَبْدَ أَوْ الرَّاحِلَةَ إِلَى ذَلِكَ الْأَجَلِ فَقَدْ عَمِلَ بِمَا لَا يَصْلُحُ لَا هُوَ قَبَضَ مَا اسْتَكْرَى أَوْ اسْتَأْجَرَ وَلَا هُوَ سَلَّفَ فِي دَيْنٍ يَكُونُ ضَامِنًا عَلَى صَاحِبِهِ حَتَّى يَسْتَوْفِيَهُأَنْ أُعْطِيَكَهُ وَمَا زَادَ فَهُوَ لِي فَهَذَا كُلُّهُ وَمَا أَشْبَهَهُ مِنْ الْأَشْيَاءِ أَوْ ضَارَعَهُ مِنْ الْمُزَابَنَةِ الَّتِي لَا تَصْلُحُ وَلَا تَجُوزُ وَكَذَلِكَ أَيْضًا إِذَا قَالَ الرَّجُلُ لِلرَّجُلِ لَهُ الْخَبَطُ أَوْ النَّوَى أَوْ الْكُرْسُفُ أَوْ الْكَتَّانُ أَوْ الْقَضْبُ أَوْ الْعُصْفُرُ أَبْتَاعُ مِنْكَ هَذَا الْخَبَطَ بِكَذَا وَكَذَا صَاعًا مِنْ خَبَطٍ يُخْبَطُ مِثْلَ خَبَطِهِ أَوْ هَذَا النَّوَى بِكَذَا وَكَذَا صَاعًا مِنْ نَوًى مِثْلِهِ وَفِي الْعُصْفُرِ وَالْكُرْسُفِ وَالْكَتَّانِ وَالْقَضْبِ مِثْلَ ذَلِكَ فَهَذَا كُلُّهُ يَرْجِعُ إِلَى مَا وَصَفْنَا مِنْ الْمُزَابَنَةِ

মালিক (রহঃ) বলেনঃ হতে বর্ণিতঃ

যে ব্যক্তি নির্দিষ্ট খেজুর গাছের খেজুর খরিদ করেছে কিংবা নির্দিষ্ট বাগানের ফল খরিদ করেছে অথবা নির্দিষ্ট বকরীর দুধ ক্রয় করেছে, নগদ অর্থে গ্রহণ করা হলে এতে কোন নিষেধ নেই। ক্রেতা মূল্য যখন আদায় করবে তখন অধিকারেও আনবে।এর সদৃশ (বিষয়) এই, যেমন একটি তৈলপাত্র রয়েছে। উহা হতে এক ব্যক্তি এক দীনার কিংবা দুই দীনারের তৈল খরিদ করল এবং উহার মূল্য বিক্রেতাকে আদায় করল, তার উপর শর্তারোপ করল যে, এই তৈলপাত্র হতে ক্রেতাকে তৈল ওজন করে দেবে। এতে কোন নিষেধ নেই। তারপর যদি তৈলপাত্র ফেটে যায় এবং উহার তৈল নিঃশেষ হয়ে যায়, তবে ক্রেতা শুধু মূল্য ফেরত পাবে। তাদের উভয়ের মধ্যে ক্রয়-বিক্রয় সাব্যস্ত হবে না। [১]মালিক (রহঃ) বলেনঃ যেকোন উপস্থিত দ্রব্য যাকে উহার রীতি অনুযায়ী ক্রয় করা হয়, যেমন-দুধ দোহন করার পর, খেজুর পরিপক্ব হওয়ার পর ক্রেতা দৈনিক উহা গ্রহণ করবে। এতে কোন ক্ষতি নেই। যদি বিক্রিত মাল পুরাপুরি কব্জা করার পূর্বে নিঃশেষ হয়ে যায়, তবে যেই পরিমাণ অবশিষ্ট রয়েছে হিসাব মতো উহার মূল্য বিক্রেতা ক্রেতাকে ফেরত দিবে, কিংবা উভয়ের সন্তুষ্টিতে অবশিষ্ট দ্রব্যের মূল্য বাবদ অন্য কোন বস্তু ক্রেতা গ্রহণ করবে এবং সেই বস্তু কব্জা না করে ক্রেতা পৃথক হবে না। পৃথক হলে মাকরূহ হবে, কারণ সে এক ঋণের মধ্যে অন্য এক ঋণ প্রবেশ করাল। রসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ধারের বিনিময়ে ধার বিক্রয় করতে নিষেধ করেছেন।উহাদের ক্রয়-বিক্রয়ে যদি সময় দেয়া থাকে তবে উহা মাকরূহ হবে। এতে কোন প্রকার বিলম্ব জায়েয হবে না এবং সময় দেয়া যাবে না। বিলম্বে বিক্রয়ে সময় এবং দ্রব্য নির্দিষ্ট হবে। বিক্রেতা সেই নির্দিষ্ট দ্রব্য ক্রেতাকে সোপর্দ করার জন্য দায়ী থাকবে। বিশেষ বাগান বা বিশেষ বকরী নির্দিষ্ট করা চলবে না। [২]মালিক (রহঃ)-কে প্রশ্ন করা হল সেই ব্যক্তি সম্পর্কে, যে ব্যক্তি কোন লোক হতে একটি বাগান ক্রয় করল যাতে রয়েছে বিভিন্ন জাতের খেজুর বৃক্ষ, ‘আজওয়াহ’ [৩], কবীস [৪] ‘আজক’ [৫] ইত্যাদি নানা রকমের খেজুরের গাছ। বিক্রেতা আপন বাগান হতে একটি কিংবা কয়েকটি খেজুর গাছ (নিজের জন্য) আলাদা করে রাখল। [এই কয়টি খেজুর বৃক্ষ নিজে রাখবে] মালিক (রহঃ) বলেনঃ এটা তার জন্য জায়েয হবে না। কারণ সে যদি এইরূপ করে তবে সে ‘আজওয়াহ’ খেজুর বৃক্ষ ছেড়ে দিল যার খেজুরের পরিমাণ হল পনের সা’ এবং উহার স্থলে কবীস গ্রহণ করল যার খেজুরের পরিমাণ হল দশ সা’ [৬]। আর যদি ‘আজওয়াহ্ গ্রহণ করল যার পরিমাণ পনের সা’ এবং যেই বৃক্ষে দশ সা’ কবীস রয়েছে উহা ছেড়ে দিল [ক্রেতার জন্য]। তবে সে যেন কবীসের বিনিময়ে ‘আজওয়াহ্ ক্রয় করল, এতে পরিমাণে বেশ-কম হয়ে গেল।মালিক (রহঃ) বলেনঃ এর দৃষ্টান্ত এইরূপ, যেমন এক ব্যক্তি অপর ব্যক্তিকে বলল, যার সম্মুখে কয়েকটি খেজুরের স্তূপ রয়েছে; ‘আজওয়ার স্তূপ করেছে পনের সা’, আর কবীসের স্তূপ করেছে দশ সা’, ‘আজক-এর স্তূপ করেছে বার সা’-ক্রেতা খেজুরের মালিককে এক দীনার প্রদান করলেন এবং শর্ত করলেন যে, যেই স্তূপ তার ইচ্ছা সে পছন্দ করে নিবে। মালিক (রহঃ) বলেন, এটা জায়েয হবে না। [৭]মালিক (রহঃ)-কে প্রশ্ন করা হল এক ব্যক্তি সম্বন্ধে, যে ব্যক্তি খেজুর ক্রয় করেছে বাগানের মালিকের নিকট হতে, অতঃপর উহাকে এক দীনার অগ্রিম দিল। যদি সেই বাগানের খেজুর নষ্ট হয়ে যায়, তবে ক্রেতা (তার দীনারের বিনিময়ে) কি পাবে? মালিক (রহঃ) উত্তরে বললেন- ক্রেতা বাগানের মালিকের সাথে হিসাব করবে, তারপর দীনার হতে যা প্রাপ্য থাকে তা বিক্রেতা হতে আদায় করবে। (দৃষ্টান্তস্বরূপ) ক্রেতা যদি (খেজুর নষ্ট হওয়ার পূর্বে) দীনারের দুই-তৃতীয়াংশ পরিমাণ খেজুর আদায় করে থাকেন তবে (এখন নষ্ট হওয়ার পর) দীনারের অবশিষ্ট এক-তৃতীয়াংশ উশুল করবে। আর যদি দীনারের তিন-চতুর্থাংশ পরিমাণ খেজুর আদায় করে থাকে তবে অবশিষ্ট এক-চতুর্থাংশ [বিক্রেতা হতে] উশুল করবে। কিংবা তারা উভয়ে পরস্পরের সন্তুষ্টিতে (বিষয়) নিষ্পত্তি করে নিবে; ক্রেতা অবশিষ্ট দীনারের বিনিময়ে বাগানের মালিক হতে তার খুশীমত দ্রব্য গ্রহণ করবে; খেজুর পছন্দ হলে খেজুর গ্রহণ করবে অথবা খেজুর ব্যতীত অন্য কোন দ্রব্য অবশিষ্ট দীনারের বিনিময়ে উহা গ্রহণ করবে। ক্রেতা যদি খেজুর কিংবা অন্য দ্রব্য গ্রহণ করে তবে উহা পূর্ণ অধিকারে না আনা পর্যন্ত ক্রেতা বিক্রেতা হতে পৃথক হবে না।মালিক (রহঃ) বলেনঃ এটা এইরূপ যেমন এক ব্যক্তি অপর ব্যক্তির নিকট ভারবাহী বা যাত্রীবাহী নির্দিষ্ট উট ভাড়াতে দিল অথবা নিজের দর্জি কিংবা ছুতার কিংবা শ্রমিক ক্রীতদাসকে ভিন্ন কাজের জন্য ভাড়ায় দিল। অথবা নিজের ঘর ভাড়ায় দিল এবং গোলাম ইজারাতে দেয়ার অর্থ কিংবা ঘরভাড়া কিংবা ভারবাহী বা যাত্রীবাহী সেই উটের ভাড়া অগ্রিম আদায় করল, তারপর এতে মৃত্যু বা অন্য কোন দুর্যোগ ঘটল। তবে উটের মালিক কিংবা গোলামের কর্তা অথবা বাড়ীর মালিক, উটের ভাড়া, কিংবা গোলামের ইজারা অথবা বাড়ি ভাড়ার অবশিষ্ট অর্থ অগ্রিমদাতাকে ফেরত দিবে। ভাড়াদাতা ভাড়া গ্রহীতার সাথে হিসাব করে দেখবে কি পরিমাণ সে গ্রহণ করেছে; যদি সে তার অর্ধেক হক গ্রহণ করিয়া থাকে তবে ভাড়াদাতা অবশিষ্ট অর্ধেক ভাড়া গ্রহীতাকে ফেরত দিবে। আর যদি অর্ধেক কিংবা বেশি হয় তবে সেই হিসাব মত যা অবশিষ্ট রয়েছে উহা ভাড়া গ্রহীতাকে ফেরত দিবে।মালিক (রহঃ) বলেনঃ উপরোল্লিখিত এই সবের কোনটিতে অগ্রিম দেয়া জায়েয নয়, নির্দিষ্ট কোন বস্তুতে অগ্রিম প্রদান করল (এটা জায়েয নয়) কিন্তু যে বস্তুর জন্য অগ্রিম দিচ্ছে অগ্রিম অর্থ দেয়ার সময় অগ্রিমদাতা যদি সেই বস্তু অধিকার করে থাকে; ক্রীতদাস, কিংবা ভারবাহী বা যাত্রীবাহী উট কিংবা বাড়ির দখল নেয় অথবা বিক্রেতার নিকট অর্থ দেয়ার সময় অগ্রিমদাতা যে খেজুর ক্রয় করেছে উহা অধিকার করে। এই সবের কোনটির ব্যাপারে বিলম্ব করা বা সময় দান করা জায়েয হবে না।মালিক (রহঃ) বলেনঃ (অগ্রিম প্রদানে) মাকরূহ, এর ব্যাখ্যা হল এই, একজন লোক অন্য একজনকে বলল, আপনার অমুক সাওয়ারীর উট বাবদ আমি আপনাকে (এত টাকা) অগ্রিম দিচ্ছি উদ্দেশ্য হচ্ছে হজ্জে যাওয়া। (তখন) হজ্জের সময় অনেক দূরে রয়েছে অথবা অনুরূপ বলল, ক্রীতদাস কিংবা ঘর সম্পর্কে। এইরূপ করলে সে ব্যক্তি যেন স্বর্ণ (অর্থ) অগ্রিম দিচ্ছে এই শর্তের উপর যদি সেই সওয়ারীর উট নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত নিখুঁত থাকে তবে উহা অগ্রিমদাতার হবে সেই ভাড়াতে। আর যদি সেই সওয়ারীর মৃত্যু হয় বা অন্য কোন দুর্ঘটনা ঘটে, তবে উহার মালিক অগ্রিমদাতার অর্থ ফেরত দিবে। এই অর্থ তার নিকট নির্দিষ্ট সময় উপস্থিত হওয়া পর্যন্ত ঋণস্বরূপ ছিল।মালিক (রহঃ) বলেনঃ উপরিউক্ত অধিকার ও এই অধিকারের মধ্যে পার্থক্য বিদ্যমান; তা হল ইজারায় গৃহীত বস্তু বা ভাড়াকৃত বস্তু (সাথে সাথে) কব্জা করে নেয়, এতে ধোঁকা হতে এবং অবৈধ ঋণ হতে নিরাপদে থাকা যায় এবং সে একটি নির্দিষ্ট বস্তু গ্রহণ করল। এর দৃষ্টান্ত এইরূপ- এক ব্যক্তি কোন ক্রীতদাস বা ক্রীতদাসী খরিদ করল এবং উভয়ে দখল নিল। (সাথে সাথে) উভয়ের মূল্য পরিশোধ করে দিল। (এর পর) যদি উভয়ের মধ্যে বার্ষিক জিম্মাদারী সংক্রান্ত কোন আপদ দেখা দেয়, তবে বিক্রেতা হতে অর্থ ফেরত নিবে। এতে কোন দোষ নেই। ক্রীতদাস বিক্রয়ের বিষয়ে এটাই প্রচলিত সুন্নাত (নিয়ম)।মালিক (রহঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি কোন নির্দিষ্ট ক্রীতদাস ইজারা নিয়েছে, অথবা কোন পশু ভাড়াতে গ্রহণ করেছে, কব্জার জন্য সময় নির্ধারিত করেছে, ইহা সে অবৈধ কার্য সম্পাদন করেছে, কারণ গ্রহীতা ইজারা নেওয়া ক্রীতদাস বা ভাড়া করা পশুকে দখলে আনেনি। আর সে এমন কোন ঋণও দেয়নি যে ঋণের জন্য ইজারা বা ভাড়াদাতা তাবৎ জামিন থাকে যাবত গ্রহীতা পূর্ণরূপে উহাকে অধিকারে না আনে।

[১] এটি এমন যে, বিক্রিত পণ্যদ্রব্যের মূল্য বিক্রেতার জন্য ঋণস্বরূপ রয়েছে। আর বিক্রিত পণ্যদ্রব্য যাকে ক্রেতা নিজ অধিকারে আনেনি সেটা বিক্রেতার নিকট ঋণস্বরূপ রয়েছে। এটাই হল এক ঋণের মধ্যে আরেক ঋণ।[২] কারণ হয়ত সে বাগানের ফল দুর্যোগের কারণে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। বকরীর দুধ নিঃশেষ হয়ে যেতে পারে।[৩] মাজমা’-এ বর্ণিত হইয়াছেÑ মদীনার খেজুরের মধ্যে সর্বোত্তম খেজুর ‘আজওয়াহ্। ইহা জান্নাতী খেজুর। রাসূলে করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পবিত্র হস্তে এই জাতের খেজুর বৃক্ষ রোপণ করা হয়। ইহা ঈষৎ কালো বর্ণের হয়।[৪] এটা উত্তম খেজুরের এক জাত। কেউ কেউ উহাকে ‘আজওয়ার উর্ধ্বে স্থান দিয়েছেন।[৫] এটাও খেজুরের এক জাত। ‘আজ্ক কয়েক প্রকারের হয় যেমন- ক. ‘আজ্ক-এ ইবনুল হুবাইক, খ. ‘আজ্ক-এ ইব্ন তাবাত, গ. ‘আজ্ক-এ ইব্ন যায়দ।[৬] এটি সুদ হল, কারণ সে পরিমাণে বেশ-কম করে ‘আজওয়ার বিনিময়ে কবীস গ্রহণ করেছে।[৭] পরিমাণে বেশি-কম হওয়ার কারণে।

সেটিংস

ফন্ট সেটিংস

আরবি ফন্ট ফেস

আরবি ফন্ট সাইজ

২৪

অনুবাদ ফন্ট সাইজ

১৮

আল হাদিস অ্যাপ ডাউনলোড করুন

App Banner

ইসলামের জ্ঞান প্রচারে সহায়ক হোন

আপনার নিয়মিত সহায়তা আমাদের দ্বীনি ভাই-বোনের কাছে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছাতে সাহয্য করবে। আমাদের মিশনে আপনিও অংশ নিন এবং বড় পরিবর্তনের অংশীদার হোন।

সাপোর্ট করুন