পরিচ্ছেদ ১০
আযাদীর ইখতিয়ার অর্থাৎ স্ত্রী কর্তৃক তালাকের অধিকার প্রাপ্তির পর নিজের অধিকার প্রয়োগ সম্পর্কিত
মুয়াত্তা ইমাম মালিক : ১১৬৪
মুয়াত্তা ইমাম মালিকহাদিস নম্বর ১১৬৪
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ عَنْ عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ أَنَّهَا قَالَتْ: كَانَ فِي بَرِيرَةَ ثَلَاثُ سُنَنٍ فَكَانَتْ إِحْدَى السُّنَنِ الثَّلَاثِ أَنَّهَا أُعْتِقَتْ فَخُيِّرَتْ فِي زَوْجِهَا وَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْوَلَاءُ لِمَنْ أَعْتَقَ وَدَخَلَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالْبُرْمَةُ تَفُورُ بِلَحْمٍ فَقُرِّبَ إِلَيْهِ خُبْزٌ وَأُدْمٌ مِنْ أُدْمِ الْبَيْتِ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَلَمْ أَرَ بُرْمَةً فِيهَا لَحْمٌ فَقَالُوا بَلَى يَا رَسُولَ اللهِ وَلَكِنْ ذَلِكَ لَحْمٌ تُصُدِّقَ بِهِ عَلَى بَرِيرَةَ وَأَنْتَ لَا تَأْكُلُ الصَّدَقَةَ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هُوَ عَلَيْهَا صَدَقَةٌ وَهُوَ لَنَا هَدِيَّةٌ.
কাসিম ইবনু মুহাম্মাদ (র) হতে বর্ণিতঃ
‘আয়িশা উম্মুল মু’মিনীন (রা) বলেছেন : বারীরা (রা) সম্পর্কে তিনটি আহকাম জারি করা হয়েছিল। তিনটির সুন্নত বা আহকামের একটি ছিল :তাকে আযাদ করা হয় এবং তাকে আযাদীর পর স্বামীর সাথে থাকার ব্যাপারে ইখতিয়ার প্রদান করা হয়। (দ্বিতীয় সুন্নত এই) রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : যে কর্তা আযাদ করবে সেই সম্পত্তির উত্তরাধিকার লাভ করবে। (তৃতীয় সুন্নত এই) রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বারীরা (রা)-এর গৃহে প্রবেশ করলেন। তখন ডেকচিতে গোশত সিদ্ধ হচ্ছিল। রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর খিদমতে রুটি এবং গৃহে মওজুদ ব্যঞ্জন উপস্থিত করা হল। রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন : আমি কি ডেকচিতে গোশত সিদ্ধ হতে দেখিনি? (তবে আমার নিকট গোশত পেশ না করার কারণ কি?) তারা বললেন : হ্যাঁ হে রসূলুল্লাহ! তবে উহা ছিল এমন গোশত যা বরীরাকে সদকা স্বরূপ দেওয়া হয়েছিল। আপনি তো সদকার বস্তু আহার করেন না। অতঃপর রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন : উহা বারীরার জন্য ছিল সদকা কিন্তু (বারীরা মালিক হওয়ার পর) উহা আমাদের জন্য হচ্ছে হাদিয়া। (বুখারী ৫২৭৯, মুসলিম ১৫০৪)