পরিচ্ছেদ ৯
গনীমতের মাল হতে বণ্টনের পূর্বে যা ফিরিয়ে দেওয়া হয়
মুয়াত্তা ইমাম মালিক : ৯৬৭
মুয়াত্তা ইমাম মালিকহাদিস নম্বর ৯৬৭
- حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ عَبْدًا لِعَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ أَبَقَ وَأَنَّ فَرَسًا لَهُ عَارَ فَأَصَابَهُمَا الْمُشْرِكُونَ ثُمَّ غَنِمَهُمَا الْمُسْلِمُونَ فَرُدَّا عَلَى عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ وَذَلِكَ قَبْلَ أَنْ تُصِيبَهُمَا الْمَقَاسِمُ১৬৪৯-قَالَ و سَمِعْت قَوْله تَعَالَى يَقُولُ فِيمَا يُصِيبُ الْعَدُوُّ مِنْ أَمْوَالِ الْمُسْلِمِينَ إِنَّهُ إِنْ أُدْرِكَ قَبْلَ أَنْ تَقَعَ فِيهِ الْمَقَاسِمُ فَهُوَ رَدٌّ عَلَى أَهْلِهِ وَأَمَّا مَا وَقَعَتْ فِيهِ الْمَقَاسِمُ فَلَا يُرَدُّ عَلَى أَحَدٍ ১৬৫و سُئِلَ مَالِك عَنْ رَجُلٍ حَازَ الْمُشْرِكُونَ غُلَامَهُ ثُمَّ غَنِمَهُ الْمُسْلِمُونَ قَالَ مَالِك صَاحِبُهُ أَوْلَى بِهِ بِغَيْرِ ثَمَنٍ وَلَا قِيمَةٍ وَلَا غُرْمٍ مَا لَمْ تُصِبْهُ الْمَقَاسِمُ فَإِنْ وَقَعَتْ فِيهِ الْمَقَاسِمُ فَإِنِّي أَرَى أَنْ يَكُونَ الْغُلَامُ لِسَيِّدِهِ بِالثَّمَنِ إِنْ شَاءَ ১৬৫১-قَالَ مَالِك فِي أُمِّ وَلَدِ رَجُلٍ مِنْ الْمُسْلِمِينَ حَازَهَا الْمُشْرِكُونَ ثُمَّ غَنِمَهَا الْمُسْلِمُونَ فَقُسِمَتْ فِي الْمَقَاسِمِ ثُمَّ عَرَفَهَا سَيِّدُهَا بَعْدَ الْقَسْمِ إِنَّهَا لَا تُسْتَرَقُّ وَأَرَى أَنْ يَفْتَدِيَهَا الْإِمَامُ لِسَيِّدِهَا فَإِنْ لَمْ يَفْعَلْ فَعَلَى سَيِّدِهَا أَنْ يَفْتَدِيَهَا وَلَا يَدَعُهَا وَلَا أَرَى لِلَّذِي صَارَتْ لَهُ أَنْ يَسْتَرِقَّهَا وَلَا يَسْتَحِلَّ فَرْجَهَا وَإِنَّمَا هِيَ بِمَنْزِلَةِ الْحُرَّةِ لِأَنَّ سَيِّدَهَا يُكَلَّفُ أَنْ يَفْتَدِيَهَا إِذَا جَرَحَتْ فَهَذَا بِمَنْزِلَةِ ذَلِكَ فَلَيْسَ لَهُ أَنْ يُسَلِّمَ أُمَّ وَلَدِهِ تُسْتَرَقُّ وَيُسْتَحَلُّ فَرْجُهَا ১৬৫২-و سُئِلَ مَالِك عَنْ الرَّجُلِ يَخْرُجُ إِلَى أَرْضِ الْعَدُوِّ فِي الْمُفَادَاةِ أَوْ لِتِجَارَةٍ فَيَشْتَرِيَ الْحُرَّ أَوْ الْعَبْدَ أَوْ يُوهَبَانِ لَهُ فَقَالَ أَمَّا الْحُرُّ فَإِنَّ مَا اشْتَرَاهُ بِهِ دَيْنٌ عَلَيْهِ وَلَا يُسْتَرَقُّ وَإِنْ كَانَ وُهِبَ لَهُ فَهُوَ حُرٌّ وَلَيْسَ عَلَيْهِ شَيْءٌ إِلَّا أَنْ يَكُونَ الرَّجُلُ أَعْطَى فِيْهِ شَيْئًا مُكَافَأَةً فَهُوَ دَيْنٌ عَلَى الْحُرِّ بِمَنْزِلَةِ مَا اشْتُرِيَ بِهِ وَأَمَّا الْعَبْدُ فَإِنَّ سَيِّدَهُ الْأَوَّلَ مُخَيَّرٌ فِيهِ إِنْ شَاءَ أَنْ يَأْخُذَهُ وَيَدْفَعَ إِلَى الَّذِي اشْتَرَاهُ ثَمَنَهُ فَذَلِكَ لَهُ وَإِنْ أَحَبَّ أَنْ يُسْلِمَهُ أَسْلَمَهُ وَإِنْ كَانَ وُهِبَ لَهُ فَسَيِّدُهُ الْأَوَّلُ أَحَقُّ بِهِ وَلَا شَيْءَ عَلَيْهِ إِلَّا أَنْ يَكُونَ الرَّجُلُ أَعْطَى فِيهِ شَيْئًا مُكَافَأَةً فَيَكُونُ مَا أَعْطَى فِيهِ غُرْمًا عَلَى سَيِّدِهِ إِنْ أَحَبَّ أَنْ يَفْتَدِيَهُ.
মালিক (র) হতে বর্ণিতঃ
আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রা)-এর একজন গোলাম ঘোড়াসহ পালিয়ে কাফেরদের হাতে পড়ে গিয়েছিল। পরে তা গনীমতের মাল হিসেবে পুনরায় মুসলমানদের হস্তগত হয়। তখন বণ্টনের পূর্বেই ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রা)-কে এগুলো ফিরিয়া দেয়া হয়েছিল। (বুখারী ৩০৬৮)ইয়াহইয়া মালিক (র)-কে বলতে শুনেছেন যে, কাফেরদের হাতে মুসলমানদের কোন কিছু পাওয়া গেলে বণ্টনের পূর্বে তা পূর্ব মালিকের নিকট প্রত্যার্পণ করা হবে। বণ্টন হয়ে গেলে আর উহা প্রত্যার্পণ করা হবে না।মালিক (র)-কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল কোনো মুসলমানের উম্মু ওয়ালাদ [১] যদি কাফেররা নিয়ে যায়, পরে গনীমত হিসেবে যদি পুনরায় উহা মুসলমানদের হস্তগত হয়, তবে কি করা হবে? তিনি বললেন: বণ্টনের পূর্বে উহাকে কোনরূপে বিনিময় ব্যতিরেকে পূর্ব মালিকের নিকট ফিরিয়ে দেয়া হবে। আমার মতে বণ্টনের পর মালিক ইচ্ছা করলে মূল্য দিয়ে উহাকে নিয়ে যেতে পারবে।মালিক (র) বলেন : কোনো মুসলমানের উম্মে ওয়ালাদ দাসীকেও যদি কাফেরগণ ছিনিয়ে নিয়ে যায়, পরে সে গনীমতের মাল হিসেবে হস্তগত হয়, আর বণ্টন হয়ে যাওয়ার পরে যদি মালিক তাকে চিনতে পারে, তবুও তাকে দাসী বানান যাবে না। আমি মনে করি, তখন সরকারের কর্তব্য হবে তার ফিদ্আ আদায় করে তার মালিকের নিকট প্রত্যার্পণ করা। মালিক (র) বলেন : সরকার যদি এরূপ না করে তবে পূর্ব মালিক তার ফিদ্আ আদায় করে তাকে মুক্ত করে নিয়ে যাবে। বণ্টনের পর যার ভাগে সে পড়েছিল তার জন্য তাকে দাসী বানান বা তার সাথে যৌন মিলন জায়েয নয়। উম্মে ওয়ালাদ আযাদ দাসীর মতো। উম্মে ওয়ালাদ যদি কাউকেও আঘাত করে যখমী করে ফেলে তবে মালিকের উপর ফিদয়া আদায় করে তাকে মুক্ত করে দেয়া মালিকের উপর জরুরী। তাকে মুক্ত না করে ঐ অবস্থায় রেখে দেয়া এবং তাকে পুনরায় দাসী বানান ও তার সাথে যৌন সম্ভোগ কোনক্রমেই জায়েয হবে না।মালিক (র)-কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, কেউ কোন মুসলমানকে মুক্ত করে আনার উদ্দেশ্যে বা ব্যবসা করতে কাফেরদের অঞ্চলে গেল আর সেখানে আযাদ ও ক্রীতদাস উভয় ধরনের মানুষ ক্রয় করে নিয়ে এল বা কাফেরগণ তাকে হেবা হিসেবে দান করল। এখন এ ব্যক্তির বিষয়ে কি হুকুম হবে? তিনি বললেন : আযাদ ব্যক্তিকে ক্রয় করে নিয়ে এলে তাকে ক্রীতদাস বানান যাবে না। আর তার মূল্য তখন ঋণ হিসেবে ধরা হবে। হেবা হিসেবে নিয়ে এসে থাকলে ঐ ব্যক্তি আযাদ হিসেবেই বহাল থাকবে আর আনয়নকারী ব্যক্তি কিছুই পাবে না। তবে হিবার বিনিময়ে সে সেখানে কোন কিছু আদায় করে থাকলে তৎপরিমাণ টাকা দিয়ে তাকে ক্রয় করে আনল। আর ঐ ব্যক্তি যদি কোন দাস ক্রয় করে আনে, তবে পূর্ব মালিকের ইখতিয়ার থাকবে। ইচ্ছা করলে মূল্য আদায় করে তাকে সে নিয়ে যেতে পারবে আর ইচ্ছা করলে তাকে ঐ ব্যক্তির কাছে ছেড়ে দিতে পারবে।হিবা হিসেবে পেয়ে থাকলে পূর্ব মালিক তাকে এমনিই নিয়ে যেতে পারবে। হিবার বিনিময়ে কিছু ব্যয় করে থাকলে তৎপরিমাণ টাকা আদায় করে তবে পূর্ব মালিক তাকে নিতে পারবে।
[১] যে দাসীর গর্ভে মালিকের ঔরসজাত সন্তানের জন্ম হয়েছে সে দাসীকে উম্মে ওয়ালাদ বলা হয়।