পরিচ্ছেদঃ ৮০
ফিদ্য়া সম্পর্কিত বিবিধ আহকাম
মুয়াত্তা ইমাম মালিক : ৯৩৬
মুয়াত্তা ইমাম মালিকহাদিস নম্বর ৯৩৬
قَالَ مَالِك فِيمَنْ أَرَادَ أَنْ يَلْبَسَ شَيْئًا مِنْ الثِّيَابِ الَّتِي لَا يَنْبَغِي لَهُ أَنْ يَلْبَسَهَا وَهُوَ مُحْرِمٌ أَوْ يُقَصِّرَ شَعَرَهُ أَوْ يَمَسَّ طِيبًا مِنْ غَيْرِ ضَرُورَةٍ لِيَسَارَةِ مُؤْنَةِ الْفِدْيَةِ عَلَيْهِ قَالَ لَا يَنْبَغِي لِأَحَدٍ أَنْ يَفْعَلَ ذَلِكَ وَإِنَّمَا أُرْخِصَ فِيهِ لِلضَّرُورَةِ وَعَلَى مَنْ فَعَلَ ذَلِكَ الْفِدْيَةُ و سُئِلَ مَالِك عَنْ الْفِدْيَةِ مِنْ الصِّيَامِ أَوْ الصَّدَقَةِ أَوْ النُّسُكِ أَصَاحِبُهُ بِالْخِيَارِ فِي ذَلِكَ وَمَا النُّسُكُ وَكَمْ الطَّعَامُ وَبِأَيِّ مُدٍّ هُوَ وَكَمْ الصِّيَامُ وَهَلْ يُؤَخِّرُ شَيْئًا مِنْ ذَلِكَ أَمْ يَفْعَلُهُ فِي فَوْرِهِ ذَلِكَ قَالَ مَالِك كُلُّ شَيْءٍ فِي كِتَابِ اللهِ فِي الْكَفَّارَاتِ كَذَا أَوْ كَذَا فَصَاحِبُهُ مُخَيَّرٌ فِي ذَلِكَ أَيَّ شَيْءٍ أَحَبَّ أَنْ يَفْعَلَ ذَلِكَ فَعَلَ قَالَ وَأَمَّا النُّسُكُ فَشَاةٌ وَأَمَّا الصِّيَامُ فَثَلَاثَةُ أَيَّامٍ وَأَمَّا الطَّعَامُ فَيُطْعِمُ سِتَّةَ مَسَاكِينَ لِكُلِّ مِسْكِينٍ مُدَّانِ بِالْمُدِّ الْأَوَّلِ مُدِّ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ১৫৮৮-قَالَ مَالِك وَسَمِعْتُ بَعْضَ أَهْلِ الْعِلْمِ يَقُولُ إِذَا رَمَى الْمُحْرِمُ شَيْئًا فَأَصَابَ شَيْئًا مِنْ الصَّيْدِ لَمْ يُرِدْهُ فَقَتَلَهُ إِنَّ عَلَيْهِ أَنْ يَفْدِيَهُ وَكَذَلِكَ الْحَلَالُ يَرْمِي فِي الْحَرَمِ شَيْئًا فَيُصِيبُ صَيْدًا لَمْ يُرِدْهُ فَيَقْتُلُهُ إِنَّ عَلَيْهِ أَنْ يَفْدِيَهُ لِأَنَّ الْعَمْدَ وَالْخَطَأَ فِي ذَلِكَ بِمَنْزِلَةٍ سَوَاءٌ.১৫৮৯- قَالَ مَالِك فِي الْقَوْمِ يُصِيبُونَ الصَّيْدَ جَمِيعًا وَهُمْ مُحْرِمُونَ أَوْ فِي الْحَرَمِ قَالَ أَرَى أَنَّ عَلَى كُلِّ إِنْسَانٍ مِنْهُمْ جَزَاءَهُ إِنْ حُكِمَ عَلَيْهِمْ بِالْهَدْيِ فَعَلَى كُلِّ إِنْسَانٍ مِنْهُمْ هَدْيٌ وَإِنْ حُكِمَ عَلَيْهِمْ بِالصِّيَامِ كَانَ عَلَى كُلِّ إِنْسَانٍ مِنْهُمْ الصِّيَامُ وَمِثْلُ ذَلِكَ الْقَوْمُ يَقْتُلُونَ الرَّجُلَ خَطَأً فَتَكُونُ كَفَّارَةُ ذَلِكَ عِتْقَ رَقَبَةٍ عَلَى كُلِّ إِنْسَانٍ مِنْهُمْ أَوْ صِيَامَ شَهْرَيْنِ مُتَتَابِعَيْنِ عَلَى كُلِّ إِنْسَانٍ مِنْهُمْ.قَالَ مَالِك مَنْ رَمَى صَيْدًا أَوْ صَادَهُ بَعْدَ رَمْيِهِ الْجَمْرَةَ وَحِلَاقِ رَأْسِهِ غَيْرَ أَنَّهُ لَمْ يُفِضْ إِنَّ عَلَيْهِ جَزَاءَ ذَلِكَ الصَّيْدِ لِأَنَّ اللهَ تَبَارَكَ وَتَعَالَى قَالَ { وَإِذَا حَلَلْتُمْ فَاصْطَادُوا } وَمَنْ لَمْ يُفِضْ فَقَدْ بَقِيَ عَلَيْهِ مَسُّ الطِّيبِ وَالنِّسَاءِ.১৫৯১-قَالَ مَالِك لَيْسَ عَلَى الْمُحْرِمِ فِيمَا قَطَعَ مِنْ الشَّجَرِ فِي الْحَرَمِ شَيْءٌ وَلَمْ يَبْلُغْنَا أَنَّ أَحَدًا حَكَمَ عَلَيْهِ فِيهِ بِشَيْءٍ وَبِئْسَ مَا صَنَعَ. ১৫৯২-قَالَ مَالِك فِي الَّذِي يَجْهَلُ أَوْ يَنْسَى صِيَامَ ثَلَاثَةِ أَيَّامٍ فِي الْحَجِّ أَوْ يَمْرَضُ فِيهَا فَلَا يَصُومُهَا حَتَّى يَقْدَمَ بَلَدَهُ قَالَ لِيُهْدِ إِنْ وَجَدَ هَدْيًا وَإِلَّا فَلْيَصُمْ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ فِي أَهْلِهِ وَسَبْعَةً بَعْدَ ذَلِكَ.
মালিক (র) হতে বর্ণিতঃ
ফিদ্য়া দেওয়া সহজ মনে করে যদি কেউ ইহরাম অবস্থায় পড়া নাজায়েয এমন ধরনের কাপড় পরে বা চুল কেটে ফেলে বা বিনা প্রয়োজনে সুগন্ধি দ্রব্য ব্যবহার করে, তবে এটা তার জন্য অনুচিত হবে। একান্ত প্রয়োজনের খাতিরেই একজন ঐ সমস্ত কাজ করতে পারে তা করলে তাকে অবশ্যই ফিদ্য়া দিতে হবে।মালিক (র)-কে জিজ্ঞেস করা হল আল্লাহ্ তা’আলা ইরশাদ করেছেন যে ব্যক্তি ফিদ্য়া দিবে তার পক্ষে রোযা বা সদকা বা নুসুক’ এই তিনটির যেকোন একটি দ্বারা ফিদ্য়া দেওয়ার ইখতিয়ার আছে কিনা? নুসুক অর্থ কি? সদকা বা মিসকীনদের কতটুকু খাদ্য প্রদান করতে হবে এবং কোন ধরনের ‘মুদের’ (এক প্রকার মাপ) মাপে উহা আদায় করতে হবে? রোযা কয়টি রাখতে হবে? সঙ্গে সঙ্গে রাখতে হবে, না বিলম্ব করলেও চলবে? মালিক (রা) উত্তরে বললেন, আল্লাহ্ তা’আলা যত জায়গায় কাফফারা সম্পর্কে ‘ইহা’ বা ‘উহা’ এই ধরনের শব্দ ব্যবহার করেছেন সকল স্থানেই উল্লিখিত বিষয়সমূহের যেকোন একটি আদায় করার ইখতিয়ার থাকে। ‘নুসুক’ অর্থ এইখানে একটি বকরী কুরবানী করা। রোযা তিনটি রাখতে হবে। ছয়জন মিসকীনকে খাদ্য প্রদান করতে হবে। প্রত্যেক মিসকীনকেই নাবী (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর মুদে দুই মুদ পরিমাণ খাদ্য প্রদান করতে হবে।মালিক (র) বলেন, কতিপয় আলিমের নিকট শুনেছি তাঁরা বলেন, কোন বস্তুকে লক্ষ করে মুহরিম ব্যক্তি যদি কিছু নিক্ষেপ করে আর উহা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে কোন পশু বা পাখির গায়ে আঘাত করার ফলে যদি তা মারা যায়, তবে উক্ত প্রাণী হত্যা করার ইচছা না থাকা সত্ত্বেও ঐ ব্যক্তিকে ফিদ্য়া দিতে হবে। এমনিভাবে মুহরিম নয় এরূপ কোন ব্যক্তি হারমের ভিতর কোন বস্তুর প্রতি লক্ষ করে কিছু ছুঁড়লে আর উহা কোন প্রাণীর গায়ে লেগে যদি তা মারা যায়, তবে উহার উপরও ফিদ্য়া ধার্য হবে। এই বিষয়টির ইচ্ছাকৃতভাবে মারা বা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে মারা যাওয়া উভয় অবস্থার হুকুমই এক।মালিক (র) বলেন, কয়েকজন ব্যক্তি মিলে যদি একটি শিকার হত্যা করে আর সকলেই যদি মুহরিম হয় অথবা হারাম শরীফে থাকে তবে প্রত্যেককেই সম্পূর্ণভাবে এক একটি ফিদ্য়া আদায় করতে হবে। কুরবানী দিতে হলে প্রত্যেককেই একটি করে দিতে হবে। আর রোযা রাখতে হলে প্রত্যেককেই রোযা রাখতে হবে। যেমন কয়েক ব্যক্তি যদি ভুলক্রমে একজনকে হত্যা করে ফেলে, তবে হত্যার কাফফারা (অর্থাৎ একটি গোলাম আযাদ করা) প্রত্যেকের উপর আলাদাভাবে ওয়াজিব হয় বা প্রত্যেককেই একাধারে দুই মাস রোযা রাখতে হয়। এইখানেও তদ্রূপ হুকুম হবে।মালিক (র) বলেন, কেউ যদি তাওয়াফে যিয়ারতের পূর্বে এবং কঙ্কর নিক্ষেপ ও মাথার চুল কাটার পর কোন কিছু শিকার করে তবে তাকেও ফিদ্য়া দিতে হবে। কেননা আল্লাহ্ তা’আলা ইরশাদ করেছেন,وَإِذَا حَلَلْتُمْ فَاصْطَادُوا ‘ তোমরা ইহরাম হতে যখন হালাল হও তখন শিকার করতে পার।’ আর তাওয়াফে যিয়ারত না করা পর্যন্ত মুহরিম থাকে, পুরাপুরি হালাল হয় না। তাওয়াফে ইফাযার পূর্বে স্ত্রীসহবাস ও সুগন্ধি দ্রব্য ব্যবহার করা বৈধ নয়।মালিক (র) বলেন, হারাম শরীফের গাছপালা উপড়ান মুহরিমের জন্য ভাল নয়। তবে এর জন্য কোন ফিদ্য়া দিতে হবে না। কেউ এই কাজের জন্য ফিদ্য়া দিতে বলেছেন এমন কথা আমরা শুনি নাই।মালিক (র) বলেন, হজ্জের সময় যদি তিনদিন রোযা রাখতে কেউ (যার উপর উহা রাখা ওয়াজিব) ভুলে যায় বা অসুস্থতার দরুন রাখতে না পারে আর সে নিজ বাড়ি চলে আসে, তবে সম্ভব হলে সে কুরবানী করবে। আর তা না পারলে বাড়িতে প্রথমে তিনদিন রোযা রেখে পরে সাতদিন রোযা রাখবে।