পরিচ্ছেদঃ ৭৮
কুরবানী করার পূর্বে মাথার চুল কামিয়ে ফেললে উহার ফিদ্য়া
মুয়াত্তা ইমাম মালিক : ৯৩৪
মুয়াত্তা ইমাম মালিকহাদিস নম্বর ৯৩৪
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ عَطَاءِ بْنِ عَبْدِ اللهِ الْخُرَاسَانِيِّ أَنَّهُ قَالَ: حَدَّثَنِي شَيْخٌ بِسُوقِ الْبُرَمِ بِالْكُوفَةِ عَنْ كَعْبِ بْنِ عُجْرَةَ أَنَّهُ قَالَ: جَاءَنِي رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَنَا أَنْفُخُ تَحْتَ قِدْرٍ لِأَصْحَابِي وَقَدْ امْتَلَأَ رَأْسِي وَلِحْيَتِي قَمْلًا فَأَخَذَ بِجَبْهَتِي ثُمَّ قَالَ احْلِقْ هَذَا الشَّعَرَ وَصُمْ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ أَوْ أَطْعِمْ سِتَّةَ مَسَاكِينَ وَقَدْ كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلِمَ أَنَّهُ لَيْسَ عِنْدِي مَا أَنْسُكُ بِهِ. قَالَ مَالِك فِي فِدْيَةِ الْأَذَى إِنَّ الْأَمْرَ فِيهِ أَنَّ أَحَدًا لَا يَفْتَدِي حَتَّى يَفْعَلَ مَا يُوجِبُ عَلَيْهِ الْفِدْيَةَ وَإِنَّ الْكَفَّارَةَ إِنَّمَا تَكُونُ بَعْدَ وُجُوبِهَا عَلَى صَاحِبِهَا وَأَنَّهُ يَضَعُ فِدْيَتَهُ حَيْثُ مَا شَاءَ النُّسُكَ أَوْ الصِّيَامَ أَوْ الصَّدَقَةَ بِمَكَّةَ أَوْ بِغَيْرِهَا مِنْ الْبِلَادِ.১৫৭৯-قَالَ مَالِك لَا يَصْلُحُ لِلْمُحْرِمِ أَنْ يَنْتِفَ مِنْ شَعَرِهِ شَيْئًا وَلَا يَحْلِقَهُ وَلَا يُقَصِّرَهُ حَتَّى يَحِلَّ إِلَّا أَنْ يُصِيبَهُ أَذًى فِي رَأْسِهِ فَعَلَيْهِ فِدْيَةٌ كَمَا أَمَرَهُ اللهُ تَعَالَى وَلَا يَصْلُحُ لَهُ أَنْ يُقَلِّمَ أَظْفَارَهُ وَلَا يَقْتُلَ قَمْلَةً وَلَا يَطْرَحَهَا مِنْ رَأْسِهِ إِلَى الْأَرْضِ وَلَا مِنْ جِلْدِهِ وَلَا مِنْ ثَوْبِهِ فَإِنْ طَرَحَهَا الْمُحْرِمُ مِنْ جِلْدِهِ أَوْ مِنْ ثَوْبِهِ فَلْيُطْعِمْ حَفْنَةً مِنْ طَعَامٍ. قَالَ مَالِك مَنْ نَتَفَ شَعَرًا مِنْ أَنْفِهِ أَوْ مِنْ إِبْطِهِ أَوْ اطَّلَى جَسَدَهُ بِنُورَةٍ أَوْ يَحْلِقُ عَنْ شَجَّةٍ فِي رَأْسِهِ لِضَرُورَةٍ أَوْ يَحْلِقُ قَفَاهُ لِمَوْضِعِ الْمَحَاجِمِ وَهُوَ مُحْرِمٌ نَاسِيًا أَوْ جَاهِلًا إِنَّ مَنْ فَعَلَ شَيْئًا مِنْ ذَلِكَ فَعَلَيْهِ الْفِدْيَةُ فِي ذَلِكَ كُلِّهِ وَلَا يَنْبَغِي لَهُ أَنْ يَحْلِقَ مَوْضِعَ الْمَحَاجِمِ وَمَنْ جَهِلَ فَحَلَقَ رَأْسَهُ قَبْلَ أَنْ يَرْمِيَ الْجَمْرَةَ افْتَدَى
কা’ব ইবনু ‘উজরা (রা) হতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমার কাছে এলেন। আমি চুলায় আগুন ধরিয়ে সঙ্গীদের জন্য রান্ন-বান্নায় ব্যস্ত ছিলাম। আমার মাথা ও দাড়ি উকুনে ভরা ছিল। রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমার পেরেশানী অনুভব করে আমার ললাটে হাত রাখলেন এবং বললেন, চুল কেটে ফেল এবং তিনদিন রোযা রাখ বা ছয় জন মিসকীনকে খাদ্য দিয়ে দাও। আর আমার নিকট কুরবানী করার মত কিছু ছিল না, এ কথা তিনি জানতেন। (বুখারী ৪১৯০, মুসলিম ১২০১, ইমাম মালিক (র)-এর সনদে মুবহাম রয়েছে)মালিক (র) বলেন, অপরাধ না হওয়া পর্যন্ত কেউ কিছু ফিদ্য়া দিবে না। কারণ অপরাধ করার পরই শুধু কাফ্ফারা ওয়াজিব হয়ে থাকে। কাফ্ফারার বেলায় কুরবানী বা রোযা বা মিসকীনকে খাদ্য প্রদান, এই তিনটির যেকোন একটি এবং মক্কা বা মক্কার বাহিরে যেকোন শহরে উহা আদায় করার ইখতিয়ার রয়েছে।মালিক (র) বলেন, ইহরাম না খোলা পর্যন্ত মুহরিমের জন্য চুল উপড়ান বা কামানো বা ছাঁটা কিছুই জায়েয নয়। চুলে উকুন ইত্যাদি হয়ে গেলে তা জায়েয। কিন্তু উহার পরিবর্তে আল্লাহর নির্দেশমত ফিদ্য়া দিতে হবে। মুহরিমের জন্য নখ কাটা, উকুন মারা বা মাথার চুল হতে উকুন বের করে মাটিতে ফেলে দেওয়া বা শরীর ও কাপড়ের উকুন বের করা জায়েয নয়। এইরূপ করলে এক মুষ্টি খাদ্য খয়রাত করবে।মালিক (র) বলেন, যদি ইহরাম অবস্থায় কোন ব্যক্তি নাকের চুল বা বগলতলা বা নাভীর নিচের লোম চিমটি দ্বারা উপড়ায় অথবা মাথায় যখম হওয়ার দরুন প্রয়োজনের খাতিরে চুল কামায় বা শিঙ্গা লাগাবার উদ্দেশ্যে গর্দানের চুল কাটে, এসব জেনে করুক বা ভুলবশত করুক, সকল অবস্থায়ই তার জন্য ফিদ্য়া দেওয়া ওয়াজিব। শিঙ্গা লাগানো স্থানের চুল কামানো মুহরিমের জন্য জায়েয নয়।মালিক (র) বলেন, অজ্ঞতার দরুন যদি কেউ কঙ্কর নিক্ষেপের পূর্বেই মাথার চুল কামায়ে ফেলে তবে তাকে ফিদ্য়া দিতে হবে।