পরিচ্ছেদঃ ৬৮

আইয়্যামে তাশরীকের তাকবীর

মুয়াত্তা ইমাম মালিকহাদিস নম্বর ৯০০

حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ خَرَجَ الْغَدَ مِنْ يَوْمِ النَّحْرِ حِينَ ارْتَفَعَ النَّهَارُ شَيْئًا فَكَبَّرَ فَكَبَّرَ النَّاسُ بِتَكْبِيرِهِ ثُمَّ خَرَجَ الثَّانِيَةَ مِنْ يَوْمِهِ ذَلِكَ بَعْدَ ارْتِفَاعِ النَّهَارِ فَكَبَّرَ فَكَبَّرَ النَّاسُ بِتَكْبِيرِهِ ثُمَّ خَرَجَ الثَّالِثَةَ حِينَ زَاغَتْ الشَّمْسُ فَكَبَّرَ فَكَبَّرَ النَّاسُ بِتَكْبِيرِهِ حَتَّى يَتَّصِلَ التَّكْبِيرُ وَيَبْلُغَ الْبَيْتَ فَيُعْلَمَ أَنَّ عُمَرَ قَدْ خَرَجَ يَرْمِي. قَالَ مَالِك الْأَمْرُ عِنْدَنَا أَنَّ التَّكْبِيرَ فِي أَيَّامِ التَّشْرِيقِ دُبُرَ الصَّلَوَاتِ وَأَوَّلُ ذَلِكَ تَكْبِيرُ الْإِمَامِ وَالنَّاسُ مَعَهُ دُبُرَ صَلَاةِ الظُّهْرِ مِنْ يَوْمِ النَّحْرِ وَآخِرُ ذَلِكَ تَكْبِيرُ الْإِمَامِ وَالنَّاسُ مَعَهُ دُبُرَ صَلَاةِ الصُّبْحِ مِنْ آخِرِ أَيَّامِ التَّشْرِيقِ ثُمَّ يَقْطَعُ التَّكْبِيرَ১৫১৬-قَالَ مَالِك وَالتَّكْبِيرُ فِي أَيَّامِ التَّشْرِيقِ عَلَى الرِّجَالِ وَالنِّسَاءِ مَنْ كَانَ فِي جَمَاعَةٍ أَوْ وَحْدَهُ بِمِنًى أَوْ بِالْآفَاقِ كُلُّهَا وَاجِبٌ وَإِنَّمَا يَأْتَمُّ النَّاسُ فِي ذَلِكَ بِإِمَامِ الْحَاجِّ وَبِالنَّاسِ بِمِنًى لِأَنَّهُمْ إِذَا رَجَعُوا وَانْقَضَى الْإِحْرَامُ ائْتَمُّوا بِهِمْ حَتَّى يَكُونُوا مِثْلَهُمْ فِي الْحِلِّ فَأَمَّا مَنْ لَمْ يَكُنْ حَاجًّا فَإِنَّهُ لَا يَأْتَمُّ بِهِمْ إِلَّا فِي تَكْبِيرِ أَيَّامِ التَّشْرِيقِ ১৫১৭-قَالَ مَالِك الْأَيَّامُ الْمَعْدُودَاتُ أَيَّامُ التَّشْرِيْقِ.

ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ (র) হতে বর্ণিতঃ

উমার ইবনু খাত্তাব (রা) ১০ তারিখ একটু বেলা হয়ে এলে তাকবীর পড়া শুরু করেন। তাঁর সঙ্গিগণও তাকবীর বলতে শুরু করেন। পরের দিন তিনি একটু বেলা হয়ে এলে তাকবীর পড়া শুরু করেন। এবং সঙ্গিগণও তখন পড়া শুরু করেন। তৃতীয় দিন সূর্য হেলে যাওয়ার পর তিনি তাকবীর বললেন। সঙ্গিগণও তখন তাকবীর বললেন। সমস্বরে তাকবীর বলার এই আওয়ায মক্কা পর্যন্ত গিয়ে পৌঁছায়। অন্যান্য মানুষ তখন বুঝতে পারে যে, উমার (রা) প্রস্তর নিক্ষেপের (রমীয়ে জামরাহ্) জন্য রওয়ানা হয়ে গিয়ে‎ছেন। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)মালিক (র) বলেন, আমাদের নিকট হুকুম হল, আইয়্যামে তাশরীকের সময় প্রত্যেক নামাযের পর তাকবীর পড়তে হবে। ইমাম প্রথমে তাকবীর বলবেন, মুকতাদি গণ তাঁর অনুসরণ করবেন। যিলহজ্জ মাসের ১০ তারিখের যুহর হতে তাকবীর বলা শুরু করবেন এবং ১৩ তারিখ ফজরের সময় তা শেষ করবে। ইমাম-মুকতাদি সকলেই এই তাকবীর পাঠ করবেন। নারী-পুরুষ সকলের উপরই পাঠ করা ওয়াজিব। জামাতে নামায পড়ুক বা একাকী, মিনায় অবস্থানরত থাকুক বা অন্য কোনখানে, সকল অবস্থায়ই উহা পাঠ করতে হবে। ইমামুল-হজ্জ এবং মিনার ময়দানে অবস্থিত হাজীগণের অনুসরণ করবে অন্যান্য লোক। তাকবীরের বেলায় তারা যখন মিনা হতে প্রত্যাবর্তন করবে ও ইহরাম ভঙ্গ করবে, তখন মুহলিদের (ইহরাম অবস্থায় যারা নেই) অনুসরণ করবে যাতে তাদেরই মত হয় অর্থাৎ মুহরিম ও মুহিল দুই দলের মধ্যে তাকবীর বলার ব্যাপারে পার্থক্য নেই। আর যারা হজ্জ সম্পাদনকারী নয়, তারা কেবল আইয়্যামে তাশরীকের বেলায় হাজীদের অনুসরণ করবে।মালিক (র) বলেন, কুরআনে উল্লেখিত ‘আইয়্যামে মা’দুদাত’ হল আইয়্যামে তাশরীক। [১]

[১] সূরা: আল-বাকারা, ২য় পারা ২৫ রুকূ- ==== ‘তোমরা নির্দিষ্টসংখ্যক দিনগুলোতে আল্লাহকে স্মরণ করবে।’ ২ ঃ ২০৩! মালিক (র) উক্ত আয়াতে উল্লেখিত ‘আইয়্যামিম’ মা’দুদাত’-এর তাফসীর করেছেন।

সেটিংস

ফন্ট সেটিংস

আরবি ফন্ট ফেস

আরবি ফন্ট সাইজ

২৪

অনুবাদ ফন্ট সাইজ

১৮

আল হাদিস অ্যাপ ডাউনলোড করুন

App Banner

ইসলামের জ্ঞান প্রচারে সহায়ক হোন

আপনার নিয়মিত সহায়তা আমাদের দ্বীনি ভাই-বোনের কাছে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছাতে সাহয্য করবে। আমাদের মিশনে আপনিও অংশ নিন এবং বড় পরিবর্তনের অংশীদার হোন।

সাপোর্ট করুন