পরিচ্ছেদঃ ৫৩

আরাফাত ও মুযদালিফায় অবস্থান

মুয়াত্তা ইমাম মালিকহাদিস নম্বর ৮৬২

و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ الزُّبَيْرِ أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ اعْلَمُوا أَنَّ عَرَفَةَ كُلَّهَا مَوْقِفٌ إِلَّا بَطْنَ عُرَنَةَ وَأَنَّ الْمُزْدَلِفَةَ كُلَّهَا مَوْقِفٌ إِلَّا بَطْنَ مُحَسِّرٍ ১৪৫قَالَ مَالِك قَالَ اللهُ تَبَارَكَ وَتَعَالَى { فَلَا رَفَثَ وَلَا فُسُوقَ وَلَا جِدَالَ فِي الْحَجِّ } قَالَ فَالرَّفَثُ إِصَابَةُ النِّسَاءِ وَاللهُ أَعْلَمُ قَالَ اللهُ تَبَارَكَ وَتَعَالَى { أُحِلَّ لَكُمْ لَيْلَةَ الصِّيَامِ الرَّفَثُ إِلَى نِسَائِكُمْ } قَالَ وَالْفُسُوقُ الذَّبْحُ لِلْأَنْصَابِ وَاللهُ أَعْلَمُ قَالَ اللهُ تَبَارَكَ وَتَعَالَى { أَوْ فِسْقًا أُهِلَّ لِغَيْرِ اللهِ بِهِ }.قَالَ وَالْجِدَالُ فِي الْحَجِّ أَنَّ قُرَيْشًا كَانَتْ تَقِفُ عِنْدَ الْمَشْعَرِ الْحَرَامِ بِالْمُزْدَلِفَةِ بِقُزَحَ وَكَانَتْ الْعَرَبُ وَغَيْرُهُمْ يَقِفُونَ بِعَرَفَةَ فَكَانُوا يَتَجَادَلُونَ يَقُولُ هَؤُلَاءِ نَحْنُ أَصْوَبُ وَيَقُولُ هَؤُلَاءِ نَحْنُ أَصْوَبُ فَقَالَ اللهُ تَعَالَى وَ { لِكُلِّ أُمَّةٍ جَعَلْنَا مَنْسَكًا هُمْ نَاسِكُوهُ فَلَا يُنَازِعُنَّكَ فِي الْأَمْرِ وَادْعُ إِلَى رَبِّكَ إِنَّكَ لَعَلَى هُدًى مُسْتَقِيمٍ } فَهَذَا الْجِدَالُ فِيمَا نُرَى وَاللهُ أَعْلَمُ وَقَدْ سَمِعْتُ ذَلِكَ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ

আবদুল্লাহ্‌ ইবনু যুবায়র (রা) হতে বর্ণিতঃ

তোমরা বিশ্বাস কর ‘বাতনে উরানা’ ব্যতীত সমগ্র আরাফাতের ময়দানই অবস্থান করার স্থান, এমনভাবে বাতনে মুহাসসির ব্যতীত মুযদালিফার সারাটা ময়দানেই অবস্থান করা যায়। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)মালিক (র) বলেন, আল্লাহ্ তা’আলা ইরশাদ করেছেনفَلَا رَفَثَ وَلَا فُسُوقَ وَلَا جِدَالَ فِي الْحَجِّ [১] ‘রাফাস’ অর্থ হল স্ত্রীসম্ভোগ। আল্লাহই অধিক জ্ঞাত। আল্লাহ্ তা’আলা অন্যত্র ইরশাদ করেনأُحِلَّ لَكُمْ لَيْلَةَ الصِّيَامِ الرَّفَثُ إِلَى نِسَائِكُمْ [২]মালিক (র) বলেন, ফুসুক অর্থ হল, দেব- দেবীর নামে পশু উৎসর্গ করা, আল্লাহই অধিক জ্ঞাত। আল্লাহ্ তাআলা ইরশাদ করেন,أَوْ فِسْقًا أُهِلَّ لِغَيْرِ اللهِ بِهِ [৩] মালিক (র) বলেন, হজ্জে জিদাল বা ঝগড়া-বিবাদ হল, কুরাইশ গোত্রের লোকজন তৎকালে হজ্জের সময় মুযদালিফার কুযাহ্ নামক স্থানে অবস্থান করত। আর অন্যরা আরাফাতে অবস্থান করত। উভয় দল তখন পরস্পর ঝগড়ায় লিপ্ত হত, একদল বলত, আমরাই সত্যপথের অনুসারী; অপর দল বলত, আমরাই কেবল সত্যপথের অনুসারী। আল্লাহ্ তা’আলা আয়াত নাযিল করে ইরশাদ করলেন,لِكُلِّ أُمَّةٍ جَعَلْنَا مَنْسَكًا هُمْ نَاسِكُوهُ فَلَا يُنَازِعُنَّكَ فِي الْأَمْرِ وَادْعُ إِلَى رَبِّكَ إِنَّكَ لَعَلَى هُدًى مُسْتَقِيمٍ [৪] হজ্জের সময় ঝগড়া-বিবাদ বলতে এই কথাই বোঝানো হয়েছে। আল্লাহ্ অধিক জ্ঞাত। আলিমগণের নিকটও আমি এই ব্যাখ্যা শুনেছি।

[১] হজ্জের সময়ে স্ত্রীসম্ভোগ অন্যায় আচরণ ও কলহ-বিবাদ বিধেয় নয়। ২ ঃ ১৯৭[২] সিয়ামের রাত্রে তোমাদের জন্য স্ত্রীসম্ভোগ বৈধ করা হয়েছে। (সূরা: আল-বাকারাহ, ১৮৭)[৩] অথবা যা অবৈধ, আল্লাহ্ ছাড়া অন্যের নামে উৎসর্গের কারণে। (সূরা: আল-মায়িদাহ, ১৪৫)[৪] আমি প্রত্যেক সম্প্রদায়ের জন্য নির্ধারিত করে দিয়েছি ‘ইবাদত পদ্ধতি’ যা তারা অনুসরণ করে সুতরাং তারা যেন তোমার সাথে বিতর্ক না করে এই ব্যাপারে। তুমি তাদেরকে তোমার প্রতিপালকের দিকে আহবান কর। তুমিতো সরল পথেই প্রতিষ্ঠিত। (সূরা: হাজ্জ, ৬৭)

সেটিংস

ফন্ট সেটিংস

আরবি ফন্ট ফেস

আরবি ফন্ট সাইজ

২৪

অনুবাদ ফন্ট সাইজ

১৮

আল হাদিস অ্যাপ ডাউনলোড করুন

App Banner

ইসলামের জ্ঞান প্রচারে সহায়ক হোন

আপনার নিয়মিত সহায়তা আমাদের দ্বীনি ভাই-বোনের কাছে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছাতে সাহয্য করবে। আমাদের মিশনে আপনিও অংশ নিন এবং বড় পরিবর্তনের অংশীদার হোন।

সাপোর্ট করুন