পরিচ্ছেদঃ ৫২
কুরবানী হাদ্য়ী-র বিভিন্ন আহকাম
মুয়াত্তা ইমাম মালিক : ৮৫৯
মুয়াত্তা ইমাম মালিকহাদিস নম্বর ৮৫৯
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ سَمِعَ بَعْضَ أَهْلِ الْعِلْمِ يَقُولُ لَا يَشْتَرِكُ الرَّجُلُ وَامْرَأَتُهُ فِي بَدَنَةٍ وَاحِدَةٍ لِيُهْدِ كُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا بَدَنَةً بَدَنَةً ৪৪৪-و سُئِلَ مَالِك عَمَّنْ بُعِثَ مَعَهُ بِهَدْيٍ يَنْحَرُهُ فِي حَجٍّ وَهُوَ مُهِلٌّ بِعُمْرَةٍ هَلْ يَنْحَرُهُ إِذَا حَلَّ أَمْ يُؤَخِّرُهُ حَتَّى يَنْحَرَهُ فِي الْحَجِّ وَيُحِلُّ هُوَ مِنْ عُمْرَتِهِ فَقَالَ بَلْ يُؤَخِّرُهُ حَتَّى يَنْحَرَهُ فِي الْحَجِّ وَيُحِلُّ هُوَ مِنْ عُمْرَتِهِ.১৪৪৫-قَالَ مَالِك وَالَّذِي يُحْكَمُ عَلَيْهِ بِالْهَدْيِ فِي قَتْلِ الصَّيْدِ أَوْ يَجِبُ عَلَيْهِ هَدْيٌ فِي غَيْرِ ذَلِكَ فَإِنَّ هَدْيَهُ لَا يَكُونُ إِلَّا بِمَكَّةَ كَمَا قَالَ اللهُ تَبَارَكَ وَتَعَالَى { هَدْيًا بَالِغَ الْكَعْبَةِ } وَأَمَّا مَا عُدِلَ بِهِ الْهَدْيُ مِنْ الصِّيَامِ أَوْ الصَّدَقَةِ فَإِنَّ ذَلِكَ يَكُونُ بِغَيْرِ مَكَّةَ حَيْثُ أَحَبَّ صَاحِبُهُ أَنْ يَفْعَلَهُ فَعَلَهُ.
মালিক (র) হতে বর্ণিতঃ
কতিপয় আলিমের কাছে শুনেছেন স্বামী-স্ত্রী কুরবানীতে একই উটে শরীক হবে না। প্রত্যেকেরই আলাদা উট কুরবানী করা উচিত।মালিক (র)-এর নিকট জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, হজ্জের সময় ‘নাহর’ করার জন্য যদি কারো সঙ্গে মক্কায় হাদ্য়ী পাঠিয়ে দেয় আর সে নিজে উমরার ইহরাম বেঁধে আসে তবে উমরা শেষ হতেই সে ঐ হাদ্য়ীটি ‘নাহর’ করতে পারবে কি অথবা উহা ‘নাহর’ করার জন্য হজ্জ শেষ না হওয়া পর্যন্ত সে কি অপেক্ষা করবে? তিনি উত্তরে বললেন, উমরা করে সে ইহরাম খুলে ফেলবে এবং কুরবানীর জন্য হজ্জ শেষ না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবে। এবং ‘ইয়াওমুন-নাহরের সময় উহাকে সে ‘নাহর’ করবে এবং এই কুরবানীকে তার উমরারই অংশবিশেষ জানবে।মালিক (র) বলেন, ইহরাম অবস্থায় শিকার করার কারণে বা অন্য কোন কারণে যদি কারো উপর কুরবানী করা ওয়াজিব হয়ে যায়, তবে উহাকে মক্কায় নিয়ে আসা উচিত। কারণ আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেন, هَدْيًا بَالِغَ الْكَعْبَةِ এমন হাদ্য়ী যা কা’বায় পৌঁছায়।’ শিকার করার কারণে বা কুরবানীর পরিবর্তে রোযা বা সাদকা করতে হলে তার ইখতিয়ার থাকবে হারাম্ বা হারাম্ শরীফের বাহিরে যেকোন স্থানে ইচ্ছা সে উহা করতে পারবে।