পরিচ্ছেদঃ ৪৮
মুহরিম ব্যক্তি স্ত্রী সহবাস করলে তার কুরবানী
মুয়াত্তা ইমাম মালিক : ৮৪৭
মুয়াত্তা ইমাম মালিকহাদিস নম্বর ৮৪৭
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ أَنَّهُ سَمِعَ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ يَقُوْلُ: مَا تَرَوْنَ فِي رَجُلٍ وَقَعَ بِامْرَأَتِهِ وَهُوَ مُحْرِمٌ فَلَمْ يَقُلْ لَهُ الْقَوْمُ شَيْئًا فَقَالَ سَعِيدٌ إِنَّ رَجُلًا وَقَعَ بِامْرَأَتِهِ وَهُوَ مُحْرِمٌ فَبَعَثَ إِلَى الْمَدِينَةِ يَسْأَلُ عَنْ ذَلِكَ فَقَالَ بَعْضُ النَّاسِ يُفَرَّقُ بَيْنَهُمَا إِلَى عَامٍ قَابِلٍ فَقَالَ سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ لِيَنْفُذَا لِوَجْهِهِمَا فَلْيُتِمَّا حَجَّهُمَا الَّذِي أَفْسَدَاهُ فَإِذَا فَرَغَا رَجَعَا فَإِنْ أَدْرَكَهُمَا حَجٌّ قَابِلٌ فَعَلَيْهِمَا الْحَجُّ وَالْهَدْيُ وَيُهِلَّانِ مِنْ حَيْثُ أَهَلَّا بِحَجِّهِمَا الَّذِي أَفْسَدَاهُ وَيَتَفَرَّقَانِ حَتَّى يَقْضِيَا حَجَّهُمَا قَالَ مَالِك يُهْدِيَانِ جَمِيعًا بَدَنَةً بَدَنَةً.১৪২৩-قَالَ مَالِك فِي رَجُلٍ وَقَعَ بِامْرَأَتِهِ فِي الْحَجِّ مَا بَيْنَهُ وَبَيْنَ أَنْ يَدْفَعَ مِنْ عَرَفَةَ وَيَرْمِيَ الْجَمْرَةَ إِنَّهُ يَجِبُ عَلَيْهِ الْهَدْيُ وَحَجُّ قَابِلٍ قَالَ فَإِنْ كَانَتْ إِصَابَتُهُ أَهْلَهُ بَعْدَ رَمْيِ الْجَمْرَةِ فَإِنَّمَا عَلَيْهِ أَنْ يَعْتَمِرَ وَيُهْدِيَ وَلَيْسَ عَلَيْهِ حَجُّ قَابِلٍ. ১৪২৪-قَالَ مَالِك وَالَّذِي يُفْسِدُ الْحَجَّ أَوْ الْعُمْرَةَ حَتَّى يَجِبَ عَلَيْهِ فِي ذَلِكَ الْهَدْيُ فِي الْحَجِّ أَوْ الْعُمْرَةِ الْتِقَاءُ الْخِتَانَيْنِ وَإِنْ لَمْ يَكُنْ مَاءٌ دَافِقٌ قَالَ وَيُوجِبُ ذَلِكَ أَيْضًا الْمَاءُ الدَّافِقُ إِذَا كَانَ مِنْ مُبَاشَرَةٍ فَأَمَّا رَجُلٌ ذَكَرَ شَيْئًا حَتَّى خَرَجَ مِنْهُ مَاءٌ دَافِقٌ فَلَا أَرَى عَلَيْهِ شَيْئًا ১৪২৫-وَلَوْ أَنَّ رَجُلًا قَبَّلَ امْرَأَتَهُ وَلَمْ يَكُنْ مِنْ ذَلِكَ مَاءٌ دَافِقٌ لَمْ يَكُنْ عَلَيْهِ فِي الْقُبْلَةِ إِلَّا الْهَدْيُ ১৪২৬-وَلَيْسَ عَلَى الْمَرْأَةِ الَّتِي يُصِيبُهَا زَوْجُهَا وَهِيَ مُحْرِمَةٌ مِرَارًا فِي الْحَجِّ أَوْ الْعُمْرَةِ وَهِيَ لَهُ فِي ذَلِكَ مُطَاوِعَةٌ إِلَّا الْهَدْيُ وَحَجُّ قَابِلٍ إِنْ أَصَابَهَا فِي الْحَجِّ وَإِنْ كَانَ أَصَابَهَا فِي الْعُمْرَةِ فَإِنَّمَا عَلَيْهَا قَضَاءُ الْعُمْرَةِ الَّتِي أَفْسَدَتْ وَالْهَدْيُ .
ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ (র) হতে বর্ণিতঃ
তিনি সমবেত লোকদেরকে লক্ষ করে বলতেছিলেন ইহরাম অবস্থায় যে ব্যক্তি স্ত্রী-সহবাস করে তার সম্পর্কে তোমরা কি বল? উপস্থিত সকলেই চুপ হয়ে রইলেন। শেষে সাঈদ (রা) নিজেই বললেন, এক ব্যক্তি ইহরাম অবস্থায় স্ত্রী সহবাস করেছিল। পরে সে এই সম্পর্কে মাসআলা জিজ্ঞেস করার জন্য এক ব্যক্তিকে মদীনা শরীফে প্রেরণ করে। কেউ কেউ জবাব দিলেন স্বামী-স্ত্রী এক বৎসর পর্যন্ত দু’জনেই আলাদা হয়ে থাকবে।কিন্তু সাঈদ (র) বললেন, এই বৎসর তারা হজ্জে অবশিষ্ট কাজসমূহ পুরা করবে। পরের বৎসর জীবিত থাকলে পুনরায় হজ্জ করবে এবং কুরবানী দিবে। প্রথম হজ্জের ইহরাম যে স্থান হতে বেঁধেছিল এই হজ্জের ইহরামও সেই স্থান হতে বাঁধবে। আর কাযা হজ্জ করতে যখন আসবে তখন দু’জনেই তারা হজ্জ পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত আলাদা আলাদা থাকবে। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)মালিক (র) বলেন, উভয়কেই এক একটি করে কুরবানী করতে হবে।মালিক (র) বলেন, আরাফাতে অবস্থানের পর এবং প্রস্তর নিক্ষেপের পূর্বে যদি কেউ স্ত্রী সহবাস করে তবে তার উপর কুরবানী করা ওয়াজিব হবে এবং আগামী বৎসর পুনরায় তাকে হজ্জ করতে হবে। রমিয়ে হাজর বা প্রস্তর নিক্ষেপের পর যদি স্ত্রী সহবাস করে, তবে তাকে একটি উমরা এবং একটি কুরবানী করতে হবে। পরেরবার পুনরায় হজ্জ করতে হবে না।মালিক (র) বলেন, স্খলন না হয়ে শুধু পুরুষাঙ্গ প্রবিষ্ট হলেও হজ্জ ও উমরা বিনষ্ট হয়ে যাবে এবং হাদ্য়ী ওয়াজিব হবে। প্রবিষ্ট না হয়েও যদি রতিলীলায় স্খলন হয়ে যায় তবুও হজ্জ বিনষ্ট হয়ে যাবে।আর কল্পনা করার দরুন যদি কারো স্খলন হয়ে যায় তবে এতে কিছুই ওয়াজিব হবে না।মালিক (র) বলেন, কেউ স্ত্রীকে চুমা খেলে স্খলন না হলেও তার উপর কুরবানী ওয়াজিব হবে।মালিক (র) বলেন, কোন মুহরিম মহিলার স্বামী যদি তার সম্মতিক্রমে তার সঙ্গে হজ্জ ও উমরার মধ্যে কয়েকবার সহবাস করে তবে ঐ মহিলাকে পরের বৎসর এই হজ্জের কাযা আদায় করতে হবে এবং কুরবানী দিতে হবে। আর এইরূপ সহবাস উমরার মধ্যে হলেও অতি সত্বর উমরা কাযা করতে হবে ও কুরবানী দিতে হবে।