পরিচ্ছেদঃ ৪২
সা’য়ী সম্পর্কে বিবিধ হাদীস
মুয়াত্তা ইমাম মালিক : ৮২৫
মুয়াত্তা ইমাম মালিকহাদিস নম্বর ৮২৫
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ أَنَّ سَوْدَةَ بِنْتَ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ كَانَتْ عِنْدَ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ فَخَرَجَتْ تَطُوفُ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ فِي حَجٍّ أَوْ عُمْرَةٍ مَاشِيَةً وَكَانَتْ امْرَأَةً ثَقِيلَةً فَجَاءَتْ حِينَ انْصَرَفَ النَّاسُ مِنْ الْعِشَاءِ فَلَمْ تَقْضِ طَوَافَهَا حَتَّى نُودِيَ بِالْأُولَى مِنْ الصُّبْحِ فَقَضَتْ طَوَافَهَا فِيمَا بَيْنَهَا وَبَيْنَهُ وَكَانَ عُرْوَةُ إِذَا رَآهُمْ يَطُوفُونَ عَلَى الدَّوَابِّ يَنْهَاهُمْ أَشَدَّ النَّهْيِ فَيَعْتَلُّونَ بِالْمَرَضِ حَيَاءً مِنْهُ فَيَقُولُ لَنَا فِيمَا بَيْنَنَا وَبَيْنَهُ لَقَدْ خَابَ هَؤُلَاءِ وَخَسِرُوا.১৩৮৩-قَالَ مَالِك مَنْ نَسِيَ السَّعْيَ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ فِي عُمْرَةٍ فَلَمْ يَذْكُرْ حَتَّى يَسْتَبْعِدَ مِنْ مَكَّةَ أَنَّهُ يَرْجِعُ فَيَسْعَى وَإِنْ كَانَ قَدْ أَصَابَ النِّسَاءَ فَلْيَرْجِعْ فَلْيَسْعَ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ حَتَّى يُتِمَّ مَا بَقِيَ عَلَيْهِ مِنْ تِلْكَ الْعُمْرَةِ ثُمَّ عَلَيْهِ عُمْرَةٌ أُخْرَى وَالْهَدْيُ ১৩৮৪-و سُئِلَ مَالِك عَنْ الرَّجُلِ يَلْقَاهُ الرَّجُلُ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ فَيَقِفُ مَعَهُ يُحَدِّثُهُ فَقَالَ لَا أُحِبُّ لَهُ ذَلِكَ ১৩৮৫-قَالَ مَالِك وَمَنْ نَسِيَ مِنْ طَوَافِهِ شَيْئًا أَوْ شَكَّ فِيهِ فَلَمْ يَذْكُرْ إِلَّا وَهُوَ يَسْعَى بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ فَإِنَّهُ يَقْطَعُ سَعْيَهُ ثُمَّ يُتِمُّ طَوَافَهُ بِالْبَيْتِ عَلَى مَا يَسْتَيْقِنُ وَيَرْكَعُ رَكْعَتَيْ الطَّوَافِ ثُمَّ يَبْتَدِئُ سَعْيَهُ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ.
হিশাম ইবনু উরওয়াহ্ (র) হতে বর্ণিতঃ
হিশাম ইবনু উরওয়াহ্ (র) বর্ণনা করেন আবদুল্লাহ্ ইবনু উমার (রা)-এর কন্যা সাওদা (র) ছিলেন উরওয়াহ্ ইবনু যুবায়র (র)-এর স্ত্রী। একবার হজ্জ বা উমরার সময় তিনি সাফা-মারওয়ার সা’য়ীর জন্য বের হন। তিনি মোটা ধরনের মহিলা ছিলেন। ইশার নামায পড়ে মানুষ যখন বের হয়েছিল তখন তিনি হেঁটে হেঁটে হজ্জ অথবা উমরার তাওয়াফ ও সা’য়ী শুরু করেছিলেন। কিন্তু তখনও সা’য়ী শেষ হতে পারেনি, আর এইদিকে ফজরের আযান হয়ে যায়। সা’য়ী শেষ করতে তাঁর ইশা হতে ফজর পর্যন্ত সময় লেগেছিল। উরওয়াহ্ কাউকেও কোন কিছুতে আরোহণ করে সায়ী করতে দেখলে কঠোরভাবে নিষেধ করতেন। [১] লোকেরা তাঁকে দেখলে অসুস্থতার বাহানা করত। তিনি পরে আমাদের নিকট আলাপে বলতেন, এরা (যারা সওয়ার হয়ে সা’য়ী করে) ক্ষতিগ্রস্থ, তারা স্বীয় উদ্দেশ্য হাসিল করতে পারেনি। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)মালিক (র) বলেন, উমরা করার সময় সাফা-মারওয়ার সা’য়ী করতে যদি ভুলে যায় এবং মক্কা হতে দূরে চলে যাওয়ার পর এটা স্মরণ হলে তাকে পুনরায় মক্কায় এসে সা’য়ী করতে হবে। আর এর মধ্যে স্ত্রী সহবাস করে থাকলে তবে ফিরে এসে সা’য়ী করবে এবং দ্বিতীয়বার উমরা করবে এবং হাদয়ী কুরবানী দেবে।মালিক (র)-কে জিজ্ঞেস করা হল সা’য়ী করার সময় যদি কেউ কারো সাথে দাঁড়িয়ে কথা বলতে শুরু করে তবে কেমন হবে ? তিনি বললেন, আমি এটাকে পছন্দ করি না।মালিক (র) বলেন, কেউ যদি তাওয়াফ করতে গিয়ে কোন চক্কর ভুলে যায় বা এই সম্পর্কে তার সন্দেহ হয়, পরে সা’য়ী করার সময় যদি তার উহা খেয়াল হয় তবে সা’য়ী মওকুফ করে দেবে এবং প্রথমে য়াকীনের উপর ভিত্তি করে তাওয়াফ পুরা করে দুই রাক’আত তাওয়াফের নামায আদায় করে নূতনভাবে সা’য়ী করবে।
[১] পায়ে হেঁটে সা’য়ী করা আফজল এবং সুন্নত। সা’য়ী করতে গিয়ে স্ত্রীর ফজর পর্যন্ত সময় লাগলেও উরওয়াহ্ (র) তাঁকে সওয়ার হতে অনুমতি দেননি।