পরিচ্ছেদঃ ৩৮
ফজর ও আসরের পর তাওয়াফের নামায আদায় করা
মুয়াত্তা ইমাম মালিক : ৮১৪
মুয়াত্তা ইমাম মালিকহাদিস নম্বর ৮১৪
- و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ الْمَكِّيِّ أَنَّهُ قَالَ: لَقَدْ رَأَيْتُ الْبَيْتَ يَخْلُو بَعْدَ صَلَاةِ الصُّبْحِ وَبَعْدَ صَلَاةِ الْعَصْرِ مَا يَطُوفُ بِهِ أَحَدٌ.১৩৬২-قَالَ مَالِك وَمَنْ طَافَ بِالْبَيْتِ بَعْضَ أُسْبُوعِهِ ثُمَّ أُقِيمَتْ صَلَاةُ الصُّبْحِ أَوْ صَلَاةُ الْعَصْرِ فَإِنَّهُ يُصَلِّي مَعَ الْإِمَامِ ثُمَّ يَبْنِي عَلَى مَا طَافَ حَتَّى يُكْمِلَ سُبْعًا ثُمَّ لَا يُصَلِّي حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ أَوْ تَغْرُبَ قَالَ وَإِنْ أَخَّرَهُمَا حَتَّى يُصَلِّيَ الْمَغْرِبَ فَلَا بَأْسَ بِذَلِكَ. ১৩৬৩-قَالَ مَالِك وَلَا بَأْسَ أَنْ يَطُوفَ الرَّجُلُ طَوَافًا وَاحِدًا بَعْدَ الصُّبْحِ وَبَعْدَ الْعَصْرِ لَا يَزِيدُ عَلَى سُبْعٍ وَاحِدٍ وَيُؤَخِّرُ الرَّكْعَتَيْنِ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ كَمَا صَنَعَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ وَيُؤَخِّرُهُمَا بَعْدَ الْعَصْرِ حَتَّى تَغْرُبَ الشَّمْسُ فَإِذَا غَرَبَتْ الشَّمْسُ صَلَّاهُمَا إِنْ شَاءَ وَإِنْ شَاءَ أَخَّرَهُمَا حَتَّى يُصَلِّيَ الْمَغْرِبَ لَا بَأْسَ بِذَلِكَ.
আবু যুবায়র মক্কী (র) হতে বর্ণিতঃ
আমি দেখেছি আসর ও ফজরের পর বায়তুল্লাহ্ খালি হয়ে পড়ত। ঐ সময় কোন তাওয়াফকারী থাকত না। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)মালিক (র) বলেন, তাওয়াফ শুরু করার পর ফজর বা আসরের জামাতের তাকবীর শুরু হলে ইহা ত্যাগ করে ইমামের সাথে নামাযে শামিল হওয়া উচিত।নামায পড়ার পর অবশিষ্ট তাওয়াফ পুরা করবে। কিন্তু তাওয়াফের দুই রাক’আত নামায ফজরের সময় সূর্যোদয় এবং আসরের সময় সূর্য অস্থ না যাওয়া পর্যন্ত আদায় করবে না। মাগরিবের পর যদি উহা পড়ে তবে উহাতেও কোন দোষ নাই।মালিক (র) বলেন, সাত চক্করের উপর বৃদ্ধি না করে যদি কোন ব্যক্তি ফজর ও আসরের পর তাওয়াফ করে এবং তাওয়াফের দুই রাক’আত নামায সূর্যোদয়ের পর আদায় করে নেয়, যেরূপ উমার ইবনু খাত্তাব (রা) করেছিলেন, তাতে কোন দোষ নেই।আর যদি আসরের পর তাওয়াফ করে থাকে তবে সূর্য অস্ত যাওয়ার পূর্বে তাওয়াফের নামায আদায় করবে না। সূর্যাস্তের পর ইচ্ছা করলে তাওয়াফের দুই রাক’আত নামায আদায় করে নিবে অথবা ইচ্ছা করলে মাগরিবের নামায সমাপ্ত করার পর আদায় করবে, এতে কোন ক্ষতি নেই।