পরিচ্ছেদঃ ৩১
শত্রু দ্বারা পথে বাধাপ্রাপ্ত হলে হজ্জ সম্পাদনে ইচ্ছুক ব্যক্তি কি করবে
মুয়াত্তা ইমাম মালিক : ৭৯৪
মুয়াত্তা ইমাম মালিকহাদিস নম্বর ৭৯৪
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّهُ قَالَ حِينَ خَرَجَ إِلَى مَكَّةَ مُعْتَمِرًا فِي الْفِتْنَةِ إِنْ صُدِدْتُ عَنْ الْبَيْتِ صَنَعْنَا كَمَا صَنَعْنَا مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَهَلَّ بِعُمْرَةٍ مِنْ أَجْلِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَهَلَّ بِعُمْرَةٍ عَامَ الْحُدَيْبِيَةِ ثُمَّ إِنَّ عَبْدَ اللهِ نَظَرَ فِي أَمْرِهِ فَقَالَ مَا أَمْرُهُمَا إِلَّا وَاحِدٌ ثُمَّ الْتَفَتَ إِلَى أَصْحَابِهِ فَقَالَ مَا أَمْرُهُمَا إِلَّا وَاحِدٌ أُشْهِدُكُمْ أَنِّي قَدْ أَوْجَبْتُ الْحَجَّ مَعَ الْعُمْرَةِ ثُمَّ نَفَذَ حَتَّى جَاءَ الْبَيْتَ فَطَافَ طَوَافًا وَاحِدًا وَرَأَى ذَلِكَ مُجْزِيًا عَنْهُ وَأَهْدَى.১৩২২-قَالَ مَالِك فَهَذَا الْأَمْرُ عِنْدَنَا فِيمَنْ أُحْصِرَ بِعَدُوٍّ كَمَا أُحْصِرَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَصْحَابُهُ فَأَمَّا مَنْ أُحْصِرَ بِغَيْرِ عَدُوٍّ فَإِنَّهُ لَا يَحِلُّ دُونَ الْبَيْتِ.
নাফি’ (র) হতে বর্ণিতঃ
বিশৃংখলার বৎসর আবদুল্লাহ্ ইবনু উমার (রা) উমরা করার নিয়তে মক্কার উদ্দেশ্যে যাত্রা করার সময় বলেছিলেন বায়তুল্লায় যাওয়ার পথে যদি আমি বাধাপ্রাপ্ত হই, তবে রসূলুল্লাহ্ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর সঙ্গে থাকাকালীন এই অবস্থায় আমরা যা করেছিলাম আজও তাই করব। রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) হুদায়বিয়ার বৎসর শুধু উমরার নিয়তেই মক্কা যাত্রা করেছিলেন এই কথা খেয়াল করে আবদুল্লাহ্ ইবনু উমার (রা)-ও শুধু উমরার ইহরাম বাঁধলেন। পরে চিন্তা করে দেখলেন, বাধাপ্রাপ্ত হওয়ার বেলায় হজ্জ ও উমরার হুকুম একই ধরনের। তোমাদেরকে সাক্ষী বানাচ্ছি যে, আমি এখন হজ্জ ও উমরা উভয়ই আমার উপর ওয়াজিব করে নিলাম। এই বলে তিনি যাত্রা শুরু করলেন এবং বায়তুল্লাহ্ এসে তাওয়াফ সমাধা করলেন, আর এইটুকুই নিজের জন্য যথেষ্ট মনে করলেন। কুরবানীর যে পশু ছিল তাও নাহর করলেন। [১] (বুখারী ১৬৩৯, মুসলিম ১২৩০)মালিক (র) বলেন, আমার মতে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এবং তাঁর সাহাবীগণ যা করেছিলেন হজ্জের পথে বাধাপ্রাপ্ত হলে তাই করা উচিত। তবে শত্রুর দ্বারা নয়, অন্য কোন কারণে বাধাপ্রাপ্ত হলে বায়তুল্লাহ্ না যাওয়া পর্যন্ত আর সে হালাল হবে না।
[১] এ সময় হাজ্জাজ ইবনু ইউসুফ আবদুল্লাহ্ ইবনু যুবায়র (রা)-এর উপর মক্কায় হামলা চালিয়েছিল। তাই এ সময়টাকে এখানে বিশৃংখলার বৎসর বলে উল্লেখ করা হয়েছে। অতঃপর তিনি সাথীদের দিকে লক্ষ করে বললেন, বাধাপ্রাপ্ত হওয়ার বেলায় হজ্জ ও উমরার হুকুম একই ধরনের।