পরিচ্ছেদঃ ২৪
কোন ধরনের শিকারকৃত বস্তু মুহরিম খেতে পারে
মুয়াত্তা ইমাম মালিক : ৭৭৭
মুয়াত্তা ইমাম মালিকহাদিস নম্বর ৭৭৭
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ أَنَّ كَعْبَ الْأَحْبَارِ أَقْبَلَ مِنْ الشَّامِ فِي رَكْبٍ حَتَّى إِذَا كَانُوا بِبَعْضِ الطَّرِيقِ وَجَدُوا لَحْمَ صَيْدٍ فَأَفْتَاهُمْ كَعْبٌ بِأَكْلِهِ قَالَ فَلَمَّا قَدِمُوا عَلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ بِالْمَدِينَةِ ذَكَرُوا ذَلِكَ لَهُ فَقَالَ مَنْ أَفْتَاكُمْ بِهَذَا قَالُوا كَعْبٌ قَالَ فَإِنِّي قَدْ أَمَّرْتُهُ عَلَيْكُمْ حَتَّى تَرْجِعُوا ثُمَّ لَمَّا كَانُوا بِبَعْضِ طَرِيقِ مَكَّةَ مَرَّتْ بِهِمْ رِجْلٌ مِنْ جَرَادٍ فَأَفْتَاهُمْ كَعْبٌ أَنْ يَأْخُذُوهُ فَيَأْكُلُوهُ فَلَمَّا قَدِمُوا عَلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ ذَكَرُوا لَهُ ذَلِكَ فَقَالَ مَا حَمَلَكَ عَلَى أَنْ تُفْتِيَهُمْ بِهَذَا قَالَ هُوَ مِنْ صَيْدِ الْبَحْرِ قَالَ وَمَا يُدْرِيكَ قَالَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ إِنْ هِيَ إِلَّا نَثْرَةُ حُوتٍ يَنْثُرُهُ فِي كُلِّ عَامٍ مَرَّتَيْنِ ১২৮৫-و سُئِلَ مَالِك عَمَّا يُوجَدُ مِنْ لُحُومِ الصَّيْدِ عَلَى الطَّرِيقِ هَلْ يَبْتَاعُهُ الْمُحْرِمُ فَقَالَ أَمَّا مَا كَانَ مِنْ ذَلِكَ يُعْتَرَضُ بِهِ الْحَاجُّ وَمِنْ أَجْلِهِمْ صِيدَ فَإِنِّي أَكْرَهُهُ وَأَنْهَى عَنْهُ فَأَمَّا أَنْ يَكُونَ عِنْدَ رَجُلٍ لَمْ يُرِدْ بِهِ الْمُحْرِمِينَ فَوَجَدَهُ مُحْرِمٌ فَابْتَاعَهُ فَلَا بَأْسَ بِهِ.১২৮৬-قَالَ مَالِك فِيمَنْ أَحْرَمَ وَعِنْدَهُ صَيْدٌ قَدْ صَادَهُ أَوْ ابْتَاعَهُ فَلَيْسَ عَلَيْهِ أَنْ يُرْسِلَهُ وَلَا بَأْسَ أَنْ يَجْعَلَهُ عِنْدَ أَهْلِهِ ১২৮৭- قَالَ مَالِك فِي صَيْدِ الْحِيتَانِ فِي الْبَحْرِ وَالْأَنْهَارِ وَالْبِرَكِ وَمَا أَشْبَهَ ذَلِكَ إِنَّهُ حَلَالٌ لِلْمُحْرِمِ أَنْ يَصْطَادَهُ.
বর্ণনাকারী হতে বর্ণিতঃ
কা’ব আহবার (র) যখন সিরিয়া হতে আসেন কতিপয় ইহরাম বাঁধা আরোহীও তখন তাঁর সঙ্গী হয়। পথে তাঁরা কিছু শিকারের গোশত পেলেন। কা’ব (র) তাদেরকে তা খেতে অনুমতি দিলেন। ঐ আরোহী দল মদীনায় এসে উমার ইবনু খাত্তাব (রা)-কে উক্ত ঘটনা জানালেন। তিনি বললেন, তোমাদেরকে উক্ত গোশত খেতে কে ফতওয়া দিয়েছিলেন ? তাঁরা বললেন, কা’ব (র)। তিনি বললেন, ফিরে না আসা পর্যন্ত কা’বকে আমি তোমাদের আমীর বানিয়ে দিলাম। পরে মক্কার পথে তাঁরা অনেক পঙ্গপাল দেখতে পেলেন। কা’ব তাদেরকে তা খেতে বলে দিলেন। তাঁরা ফিরে উমার ইবনু খাত্তাব (রা)-কে তা জানালেন। তিনি কা’বকে বললেন, কি বিষয়ের উপর ভিত্তি করে তুমি এই ধরনের ফতওয়া দিলে ? কা’ব বললেন, এ জাতীয় পঙ্গপাল (টিড্ডী) সামুদ্র্রিক প্রাণীর অন্তর্ভুক্ত (আর মুহরিমের জন্য সামুদ্রিক প্রাণী খাওয়া জায়েয)। উমার (রা) বললেন, এটা কেমন করে কা’ব বললেন, আমীরুল মু’মিনীন ! সেই সত্তার কসম যাঁর হাতে আমার প্রাণ, এ জাতীয় পঙ্গপাল এক প্রকার সামুদ্রিক মাছের হাঁচি হতে জন্ম হয়ে থাকে। উহা বৎসরে মাত্র দু’বারই হাঁচি দিয়া থাকে। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)ইয়াহইয়া (র) বলেন, মালিক (র)-কে জিজ্ঞেস করা হল পথে শিকারের গোশত পাওয়া গেলে মুহরিম ব্যক্তি তা ক্রয় করতে পারে কি? তিনি বললেন, হজ্জযাত্রীদের নিয়তে শিকার করে থাকলে তা আমার কাছে মাকরূহ বলে মনে হয়, তবে সাধারণভাবে বিশেষ কোন নিয়ত ব্যতিরেকে শিকার করা হয়ে থাকলে উহা ক্রয় করায় দোষের কিছুই নেই।মালিক (র) বলেন, ইহরাম বাঁধার সময় কোন ব্যক্তির নিকট তৎকর্তৃক শিকারকৃত কোন পশু ছিল অথবা শিকারকৃত কোন পশু ক্রয় করল। তবে তা ছেড়ে দেয়া তার জন্য জরুরী নয়, বরং বাড়িতে তা রেখে যাবে।মালিক (র) বলেন, সমুদ্র, নদী-নালা এবং পুকুর ইত্যাদির মাছ মুহরিমগণ শিকার করতে পারবে।