পরিচ্ছেদঃ ২৪
আহলে কিতাবের উপর ধার্য জিযইয়া
মুয়াত্তা ইমাম মালিক : ৬০৪
মুয়াত্তা ইমাম মালিকহাদিস নম্বর ৬০৪
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ عَنْ أَبِيهِ أَنَّهُ قَالَ لِعُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ إِنَّ فِي الظَّهْرِ نَاقَةً عَمْيَاءَ فَقَالَ عُمَرُ ادْفَعْهَا إِلَى أَهْلِ بَيْتٍ يَنْتَفِعُونَ بِهَا قَالَ فَقُلْتُ وَهِيَ عَمْيَاءُ فَقَالَ عُمَرُ يَقْطُرُونَهَا بِالْإِبِلِ قَالَ فَقُلْتُ كَيْفَ تَأْكُلُ مِنْ الْأَرْضِ قَالَ فَقَالَ عُمَرُ أَمِنْ نَعَمْ الْجِزْيَةِ هِيَ أَمْ مِنْ نَعَمْ الصَّدَقَةِ فَقُلْتُ بَلْ مِنْ نَعَمْ الْجِزْيَةِ فَقَالَ عُمَرُ أَرَدْتُمْ وَاللهِ أَكْلَهَا فَقُلْتُ إِنَّ عَلَيْهَا وَسْمَ الْجِزْيَةِ فَأَمَرَ بِهَا عُمَرُ فَنُحِرَتْ وَكَانَ عِنْدَهُ صِحَافٌ تِسْعٌ فَلَا تَكُونُ فَاكِهَةٌ وَلَا طُرَيْفَةٌ إِلَّا جَعَلَ مِنْهَا فِي تِلْكَ الصِّحَافِ فَبَعَثَ بِهَا إِلَى أَزْوَاجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَيَكُونُ الَّذِي يَبْعَثُ بِهِ إِلَى حَفْصَةَ ابْنَتِهِ مِنْ آخِرِ ذَلِكَ فَإِنْ كَانَ فِيهِ نُقْصَانٌ كَانَ فِي حَظِّ حَفْصَةَ قَالَ فَجَعَلَ فِي تِلْكَ الصِّحَافِ مِنْ لَحْمِ تِلْكَ الْجَزُورِ فَبَعَثَ بِهِ إِلَى أَزْوَاجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَمَرَ بِمَا بَقِيَ مِنْ لَحْمِ تِلْكَ الْجَزُورِ فَصُنِعَ فَدَعَا عَلَيْهِ الْمُهَاجِرِينَ وَالْأَنْصَارَ ৯৭১-قَالَ مَالِك لَا أَرَى أَنْ تُؤْخَذَ النَّعَمُ مِنْ أَهْلِ الْجِزْيَةِ إِلَّا فِي جِزْيَتِهِمْ.
আসলাম (রা) হতে বর্ণিতঃ
উমার ইবনু খাত্তাব (রা)-কে একবার জানালাম, সরকারী উটসমূহের মধ্যে একটা অন্ধ উটও রয়েছে। উমার (রা) বললেন, অভাবী কাউকেও দিয়ে দিও। এটা হতে সে উপকার লাভ করতে পারবে। আমি বললাম, উটটি তো অন্ধ। তিনি বললেন, একে উটের দলে বেঁধে দিবে। এদের সাথে চলাফেরা করবে। আমি বললাম, কেমন করে এটা ঘাস খাবে ? তিনি বললেন, এটা জিযইয়া না যাকাতের? আমি বললাম, জিযইয়ার। তিনি বললেন, তুমি এটাকে যবেহ করার ইচ্ছা করেছ নাকি? আমি বললাম, না, এতে জিযইয়া চিহ্ন বিদ্যমান। শেষে উমার (রা)-এর নির্দেশে ঐ উটকে নাহ্র (যাবেহ) করা হল। উমার (রা)-এর নিকট নয়টি পেয়ালা ছিল। ফল বা ভাল কোন জিনিস তাঁর কাছে এলে ঐ পেয়ালাগুলো ভরে উম্মুল মু’মিনীনদের কাছে পাঠিয়ে দিতেন। সকলের শেষে তদীয় কন্যা উম্মুল মুমিনীন হাফসা (রা)-এর নিকট পাঠাতেন। কম পড়লে হাফসা (রা)-এর হিস্যাতেই পড়ত। যা হোক, উক্ত অন্ধ উটটিকে ‘নাহর’ করার পর প্রথম উল্লেখিত পেয়ালাসমূহ ভরে উম্মুল মু’মিনীনদের কাছে পাঠানো হল। বাকি যা রইল তা রান্না করে মুহাজির ও আনসারদেরকে দাওয়াত করে খাওয়ালেন। (হাদীসটি ইমাম মালিক (র) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)মালিক (র) বলেন, অমুসলিম জিযইয়া প্রদানকারীদের নিকট হতে জিযইয়া হিসাবে পশু আদায় করা হবে না। তবে মূল্য ধার্য করে নগদ অর্থের বদলে পশু নিয়া যেতে পারে।