পরিচ্ছেদঃ ২
স্বর্ণ-রৌপ্যের যাকাত
মুয়াত্তা ইমাম মালিক : ৫৬৪
মুয়াত্তা ইমাম মালিকহাদিস নম্বর ৫৬৪
- حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عُقْبَةَ مَوْلَى الزُّبَيْرِ أَنَّهُ سَأَلَ الْقَاسِمَ بْنَ مُحَمَّدٍ عَنْ مُكَاتَبٍ لَهُ قَاطَعَهُ بِمَالٍ عَظِيمٍ هَلْ عَلَيْهِ فِيهِ زَكَاةٌ فَقَالَ الْقَاسِمُ إِنَّ أَبَا بَكْرٍ الصِّدِّيقَ لَمْ يَكُنْ يَأْخُذُ مِنْ مَالٍ زَكَاةً حَتَّى يَحُولَ عَلَيْهِ الْحَوْلُ قَالَ الْقَاسِمُ بْنُ مُحَمَّدٍ وَكَانَ أَبُو بَكْرٍ إِذَا أَعْطَى النَّاسَ أَعْطِيَاتِهِمْ يَسْأَلُ الرَّجُلَ هَلْ عِنْدَكَ مِنْ مَالٍ وَجَبَتْ عَلَيْكَ فِيهِ الزَّكَاةُ فَإِذَا قَالَ نَعَمْ أَخَذَ مِنْ عَطَائِهِ زَكَاةَ ذَلِكَ الْمَالِ وَإِنْ قَالَ لَا أَسْلَمَ إِلَيْهِ عَطَاءَهُ وَلَمْ يَأْخُذْ مِنْهُ شَيْئًا.
বর্ণনাকারী হতে বর্ণিতঃ
মুহাম্মদ ইবনু উকবা (র) কাসিম ইবনু মুহাম্মদ (র)-কে জিজ্ঞেস করলেন, আমার মুকাতাব (কোন কিছুর বিনিময়ে আযাদ হওয়ার চুক্তি সম্পাদনকারী ক্রীতদাসকে ‘মুকাতাব’ বলা হয়) চুক্তিকৃত দাসের সঙ্গে একটি বিরাট অংকের টাকার বিনিময়ে ‘মুকতাআ’ [১] করে ফেলেছি। এতেও কি যাকাত দিতে হবে ?কাসিম (র) উত্তরে বললেন, পূর্ণ এক বৎসর অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত আবূ বক্র (রা) কোন মালের যাকাত নিতেন না। কাসিম ইবনু মুহাম্মদ (র) বলেন, কাউকেও সরকারী ভাতা প্রদানের সময় আবূ বক্র সিদ্দীক (রা) জিজ্ঞেস করে নিতেন, আপনার এমন ধন-সম্পদ আছে কি যাতে যাকাত দেয়া ওয়াজিব হয় ? ঐ ব্যক্তি স্বীকারোক্তি করলে তিনি দেয় ভাতা হতে এটা কেটে রাখতেন। স্বীকার না করলে ভাতা সম্পূর্ণটাই দিয়ে যেতেন। কিছুই রেখে দিতেন না। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)
[১] চুক্তি করার সময় কিস্তিবন্দী অনুসারে টাকা দেওয়ার শর্ত হয়েছিল কিন্তু পরে মালিকের সম্মতিতে ‘মুকাতিব’-কে দেয় মোট অংক হতে কমে এককালীন টাকা আদায় করে আযাদ হয়ে গেলে ইহাকে ‘মুকতাআ’ বলা হয়।