পরিচ্ছেদ ০৫.
কুরআনের সিজদাসমূহ
মুয়াত্তা ইমাম মালিক : ৪৭০
মুয়াত্তা ইমাম মালিকহাদিস নম্বর ৪৭০
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ قَرَأَ سَجْدَةً وَهُوَ عَلَى الْمِنْبَرِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ فَنَزَلَ فَسَجَدَ وَسَجَدَ النَّاسُ مَعَهُ ثُمَّ قَرَأَهَا يَوْمَ الْجُمُعَةِ الْأُخْرَى فَتَهَيَّأَ النَّاسُ لِلسُّجُودِ فَقَالَ عَلَى رِسْلِكُمْ إِنَّ اللهَ لَمْ يَكْتُبْهَا عَلَيْنَا إِلَّا أَنْ نَشَاءَ فَلَمْ يَسْجُدْ وَمَنَعَهُمْ أَنْ يَسْجُدُوا ৭قَالَ مَالِك لَيْسَ الْعَمَلُ عَلَى أَنْ يَنْزِلَ الْإِمَامُ إِذَا قَرَأَ السَّجْدَةَ عَلَى الْمِنْبَرِ فَيَسْجُدَ ৭قَالَ مَالِك الْأَمْرُ عِنْدَنَا أَنَّ عَزَائِمَ سُجُودِ الْقُرْآنِ إِحْدَى عَشْرَةَ سَجْدَةً لَيْسَ فِي الْمُفَصَّلِ مِنْهَا شَيْءٌ ৭قَالَ مَالِك لَا يَنْبَغِي لِأَحَدٍ يَقْرَأُ مِنْ سُجُودِ الْقُرْآنِ شَيْئًا بَعْدَ صَلَاةِ الصُّبْحِ وَلَا بَعْدَ صَلَاةِ الْعَصْرِ وَذَلِكَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنْ الصَّلَاةِ بَعْدَ الصُّبْحِ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ وَعَنْ الصَّلَاةِ بَعْدَ الْعَصْرِ حَتَّى تَغْرُبَ الشَّمْسُ وَالسَّجْدَةُ مِنْ الصَّلَاةِ فَلَا يَنْبَغِي لِأَحَدٍ أَنْ يَقْرَأَ سَجْدَةً فِي تَيْنِكَ السَّاعَتَيْنِ ৭سُئِلَ مَالِك عَمَّنْ قَرَأَ سَجْدَةً وَامْرَأَةٌ حَائِضٌ تَسْمَعُ هَلْ لَهَا أَنْ تَسْجُدَ قَالَ مَالِك لَا يَسْجُدُ الرَّجُلُ وَلَا الْمَرْأَةُ إِلَّا وَهُمَا طَاهِرَانِ ৭و سُئِلَ عَنْ امْرَأَةٍ قَرَأَتْ سَجْدَةً وَرَجُلٌ مَعَهَا يَسْمَعُ أَعَلَيْهِ أَنْ يَسْجُدَ مَعَهَا قَالَ مَالِك لَيْسَ عَلَيْهِ أَنْ يَسْجُدَ مَعَهَا إِنَّمَا تَجِبُ السَّجْدَةُ عَلَى الْقَوْمِ يَكُونُونَ مَعَ الرَّجُلِ فَيَأْتَمُّونَ بِهِ فَيَقْرَأُ السَّجْدَةَ فَيَسْجُدُونَ مَعَهُ وَلَيْسَ عَلَى مَنْ سَمِعَ سَجْدَةً مِنْ إِنْسَانٍ يَقْرَؤُهَا لَيْسَ لَهُ بِإِمَامٍ أَنْ يَسْجُدَ تِلْكَ السَّجْدَةَ.
উরওয়াহ (র) হতে বর্ণিতঃ
উমার ইবনু খাত্তাব (রা) একটি সিজদার আয়াত পাঠ করলেন জুম’আ দিবসে। আর তিনি ছিলেন মিম্বরের উপর। অতঃপর তিনি অবতরণ করলেন এবং সিজদা করলেন এবং তাঁর সঙ্গে লোকেরাও সিজদা করলেন। (সহীহ, বুখারী ১০৭৭)পরবর্তী জুম’আয় তিনি সে সূরা পাঠ করলেন। লোকেরা সিজদার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করতে লাগলেন। উমার (রা) তখন বললেন, আপনারা অপেক্ষা করুন। আল্লাহ তা’আলা আমাদের উপর সিজদা ফরয করেননি, তবে আমরা যদি ইচ্ছা করি তা স্বতন্ত্র কথা। (এটা শুনে) তাঁরা আর সিজদা করলেন না। তিনি তাঁদেরকে সিজদা হতে বিরত রাখলেন।মালিক (র) বলেন, সিজদার আয়াত মিম্বরের উপর পাঠ করলে, ইমামের মিম্বর হতে অবতরণ করে সিজদা করার প্রতি (আমাদের) আমল নেই (অর্থাৎ মিম্বর হতে অবতরণ জরুরী নয়)।মালিক (র) বলেন, আমাদের অভিমত এই যে, কুরআন শরীফে সিজদাসমূহের মধ্যে তাকিদী সিজদা হচ্ছে এগারটি। এগুলোর একটিও মুফাস্সালাতে নেই।মালিক (র) বলেন, সুজুদুল কুরআন (কুরআন শরীফে সিজদাসমূহের) হতে কোন সিজদার আয়াত ফজরের নামাযের এবং আসরের নামাযের পর পাঠ করা কারো পক্ষে উচিত নয়। কারণ ফজরের পর সূর্য উদিত হওয়া পর্যন্ত এবং আসরের পর (সূর্য) অস্ত যাওয়া পর্যন্ত নামায পড়িতে রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিষেধ করেন। আর সিজদাও নামাযে গণ্য, কাজেই কারো পক্ষে উচিত নয় যে, সেই দুই সময়ে কোন সিজদার আয়াত পাঠ করা।মালিক (র)-কে প্রশ্ন করা হয়েছে ঐ ব্যক্তি সম্বন্ধে যিনি একটি সিজদার আয়াত পাঠ করেন, আর একজন ঋতুমতী মহিলা তা শুনল। তবে সে মহিলা কি সিজদা করবে ? (উত্তরে) মালিক (র) বললেন, পুরুষ বা নারী, পবিত্রাবস্থা ব্যতীত সিজদা করবে না।ইয়াহ্ইয়া (র) বলেন, মালিক (র)-কে প্রশ্ন করা হয় একজন মহিলা সম্পর্কে যিনি সিজদার আয়াত পাঠ করেন, অন্য এক ব্যক্তি তা শুনতেছে। সে ব্যক্তির জন্য সিজদা করা জরুরী কি ? (উত্তরে) মালিক (র) বলেন, সিজদা করা এ ব্যক্তির জন্য জরুরী নয়। সিজদা ওয়াজিব হয় সে লোকের উপর যেসব লোক কোন ব্যক্তির সাথে নামাযে শরীক থাকেন এবং তাঁর পেছনে ইকতিদা করেন। অতঃপর তাঁদের ইমাম সিজদার আয়াত পাঠ করলে তাঁরাও তাঁর সাথে সিজদা করবেন। আর যে ব্যক্তি সিজদার আয়াত শুনেছে কোন লোকের মুখে (যিনি তা পাঠ করতেছেন), কিন্তু সে ব্যক্তি এ লোকের ইমাম নন, তাঁর জন্য এ সিজদা জরুরী নয়।