পরিচ্ছেদ ০৪.
কুরআন সম্পর্কীয় বর্ণনা
মুয়াত্তা ইমাম মালিক : ৪৬৩
মুয়াত্তা ইমাম মালিকহাদিস নম্বর ৪৬৩
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ عَنْ أَبِيهِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَسِيرُ فِي بَعْضِ أَسْفَارِهِ وَعُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ يَسِيرُ مَعَهُ لَيْلًا فَسَأَلَهُ عُمَرُ عَنْ شَيْءٍ فَلَمْ يُجِبْهُ ثُمَّ سَأَلَهُ فَلَمْ يُجِبْهُ ثُمَّ سَأَلَهُ فَلَمْ يُجِبْهُ فَقَالَ عُمَرُ ثَكِلَتْكَ أُمُّكَ عُمَرُ نَزَرْتَ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ كُلُّ ذَلِكَ لَا يُجِيبُكَ قَالَ عُمَرُ فَحَرَّكْتُ بَعِيرِي حَتَّى إِذَا كُنْتُ أَمَامَ النَّاسِ وَخَشِيتُ أَنْ يُنْزَلَ فِيَّ قُرْآنٌ فَمَا نَشِبْتُ أَنْ سَمِعْتُ صَارِخًا يَصْرُخُ بِي قَالَ فَقُلْتُ لَقَدْ خَشِيتُ أَنْ يَكُونَ نَزَلَ فِيَّ قُرْآنٌ قَالَ فَجِئْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ فَقَالَ لَقَدْ أُنْزِلَتْ عَلَيَّ هَذِهِ اللَّيْلَةَ سُورَةٌ لَهِيَ أَحَبُّ إِلَيَّ مِمَّا طَلَعَتْ عَلَيْهِ الشَّمْسُ ثُمَّ قَرَأَ إِنَّا فَتَحْنَا لَكَ فَتْحًا مُبِينًا.
যায়দ ইবনু আসলাম (র) হতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সফরসমূহের কোন এক সফরে পথ চলছিলেন। রাত্রে উমার ইবনু খাত্তাব (রা)-ও তাঁর সাথে চলছিলেন। তখন উমার (রা) কোন বিষয়ে তাঁকে প্রশ্ন করলেন। রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে কোন উত্তর দিলেন না। উমার (রা) পুনরায় সওয়াল করলেন। কিন্তু তিনি তার জবাব দিলেন না। অতঃপর তাঁর কাছে (উমার) আবার সওয়াল করলেন, কিন্তু (এইবারও) তিনি তার জবাব দিলেন না। তখন উমার (রা) (মনে মনে) বললেন, উমার, তোমার মাতা তোমাকে হারিয়ে ফেলুন (এবং কাঁদতে থাকুন অর্থাৎ তোমার সর্বনাশ)। তুমি বিনয় সহকারে রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে সওয়াল করলে, আর তিনি তোমাকে কোন জবাব দিলেন না।উমার (রা) বলেন, তারপর আমার উটকে আমি চালিত করলাম, এমন কি আমি লোকের আগে আগে চলে গেলাম। আমি আশংকা করলাম আমার বিষয়ে কুরআন আবতীর্ণ হতে পারে। তারপর আমি (বেশিক্ষণ) অবস্থান করিনি, (হঠাৎ) এর উচ্চৈঃস্বরে আহ্বানকারী আমাকে ডাকছিল। তিনি (উমার) বলেন, আমি আশংকা করছিলাম আমার বিষয়ে হয় তো কুরআন নাযিল হয়েছে। (উমার) বলেন, অতঃপর আমি রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এলাম এবং সালাম করলাম। অতঃপর তিনি বললেন, অবশ্য এই রাত্রে আমার উপর একটি সূরা অবতীর্ণ হয়েছে। নিঃসন্দেহে সে সূরাটি আমার কাছে অধিক প্রিয়, সে সব বস্তু অপেক্ষা যার উপর সূর্য উদিত হয়েছে। অতঃপর তিনি পাঠ করলেন إِنَّا فَتَحْنَا لَكَ فَتْحًا مُبِينًا এই সূরাটি। (সহীহ, বুখারী ৪১৭৭)