পরিচ্ছেদ ০১.
সালাতুল কুসূফ-এর (সূর্যগ্রহণের নামায) বিবরণ
মুয়াত্তা ইমাম মালিক : ৪৩১
মুয়াত্তা ইমাম মালিকহাদিস নম্বর ৪৩১
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبَّاسٍ أَنَّهُ قَالَ خَسَفَتْ الشَّمْسُ فَصَلَّى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالنَّاسُ مَعَهُ فَقَامَ قِيَامًا طَوِيلًا نَحْوًا مِنْ سُورَةِ الْبَقَرَةِ قَالَ ثُمَّ رَكَعَ رُكُوعًا طَوِيلًا ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ مِنْ الرُّكُوعِ فَقَامَ قِيَامًا طَوِيلًا وَهُوَ دُونَ الْقِيَامِ الْأَوَّلِ ثُمَّ رَكَعَ رُكُوعًا طَوِيلًا وَهُوَ دُونَ الرُّكُوعِ الْأَوَّلِ ثُمَّ سَجَدَ ثُمَّ قَامَ قِيَامًا طَوِيلًا وَهُوَ دُونَ الْقِيَامِ الْأَوَّلِ ثُمَّ رَكَعَ رُكُوعًا طَوِيلًا وَهُوَ دُونَ الرُّكُوعِ الْأَوَّلِ ثُمَّ رَفَعَ فَقَامَ قِيَامًا طَوِيلًا وَهُوَ دُونَ الْقِيَامِ الْأَوَّلِ ثُمَّ رَكَعَ رُكُوعًا طَوِيلًا وَهُوَ دُونَ الرُّكُوعِ الْأَوَّلِ ثُمَّ سَجَدَ ثُمَّ انْصَرَفَ وَقَدْ تَجَلَّتْ الشَّمْسُ فَقَالَ إِنَّ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ آيَتَانِ مِنْ آيَاتِ اللهِ لَا يَخْسِفَانِ لِمَوْتِ أَحَدٍ وَلَا لِحَيَاتِهِ فَإِذَا رَأَيْتُمْ ذَلِكَ فَاذْكُرُوا اللهَ قَالُوا يَا رَسُولَ اللهِ رَأَيْنَاكَ تَنَاوَلْتَ شَيْئًا فِي مَقَامِكَ هَذَا ثُمَّ رَأَيْنَاكَ تَكَعْكَعْتَ فَقَالَ إِنِّي رَأَيْتُ الْجَنَّةَ فَتَنَاوَلْتُ مِنْهَا عُنْقُودًا وَلَوْ أَخَذْتُهُ لَأَكَلْتُمْ مِنْهُ مَا بَقِيَتْ الدُّنْيَا وَرَأَيْتُ النَّارَ فَلَمْ أَرَ كَالْيَوْمِ مَنْظَرًا قَطُّ وَرَأَيْتُ أَكْثَرَ أَهْلِهَا النِّسَاءَ قَالُوا لِمَ يَا رَسُولَ اللهِ قَالَ لِكُفْرِهِنَّ قِيلَ أَيَكْفُرْنَ بِاللهِ قَالَ وَيَكْفُرْنَ الْعَشِيرَ وَيَكْفُرْنَ الْإِحْسَانَ لَوْ أَحْسَنْتَ إِلَى إِحْدَاهُنَّ الدَّهْرَ كُلَّهُ ثُمَّ رَأَتْ مِنْكَ شَيْئًا قَالَتْ مَا رَأَيْتُ مِنْكَ خَيْرًا قَطُّ.
আবদুল্লাহ্ ইবনু আব্বাস (রা) হতে বর্ণিতঃ
একবার সূর্যগ্রহণ হল, রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নামায আদায় করলেন এবং তিনি তাঁর নামাযে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়ালেন। রাবী বলেন, সূরা বাকারা পাঠ করার কাছাকাছি সময় (দাঁড়ালেন)। তিনি বলেন, অতঃপর লম্বা রুকূ করলেন। তারপর মাথা উঠালেন এবং দীর্ঘক্ষণ দাঁড়ালেন কিন্তু প্রথম দাঁড়ানো অপেক্ষা কম। তারপর লম্বা রুকূ করলেন, প্রথম রুকূ অপেক্ষা কম। অতঃপর তিনি সিজদা করলেন। তারপর দীর্ঘক্ষণ দাঁড়ালেন। কিন্তু পূর্বের দাঁড়ানো অপেক্ষা কম। তারপর রুকূ করলেন, দীর্ঘ রুকূ কিন্তু পূর্বের রুকূ অপেক্ষা কম। আবার মাথা তুললেন এবং দীর্ঘক্ষণ দাঁড়ালেন, কিন্তু পূর্বের দাঁড়ানো অপেক্ষা কম, তারপর দীর্ঘ রুকূ করলেন, তবে পূর্বের রুকূ অপেক্ষা কম, তারপর সিজদা করলেন। এর পর নামায সমাপ্ত করলেন। আর ততক্ষণে সূর্য দীপ্যমান ও উজ্জ্বল হয়ে গিয়েছে। তারপর তিনি বললেন, সূর্য ও চন্দ্র আল্লাহর নিদর্শনসমূহের মধ্যে দু’টি নিদর্শন, কোন লোকের মৃত্যু অথবা জন্মের কারণে এর গ্রহণ হয় না। যখন তোমরা উহা দেখতে পাও, তখন সকলে আল্লাহকে স্মরণ করো। সাহাবীগণ বললেন, হে আল্লাহর রসূল! এই জায়গায় আপনাকে আমরা কোন কিছু গ্রহণ করতে দেখতে পেলাম, আবার আপনাকে পেছনে সরিতে দেখলাম (এর তাৎপর্য বুঝিয়ে দিন)। উত্তরে তিনি বললেন, আমি বেহেশত দেখতে পেলাম এবং সেখান হতে একটি আঙ্গুরের ছড়া গ্রহণ করতে চেয়েছিলাম, আমি উহা গ্রহণ করলে পৃথিবী কায়েম থাকা পর্যন্ত তোমরা উহা হতে আহার করতে পারতে। আর আমি দোযখকেও দেখতে পেলাম, যার মত ভয়ঙ্কর দৃশ্য আমি কখনও দেখিনি। আর আমি দেখতে পেলাম যে, উহার অধিকাংশ অধিবাসীই নারী। সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন এর কারণ কি? হে আল্লাহর রসূল! াতিনি বললেন, তাদের কুফরীর কারণে। প্রশ্ন করা হল তারা কি আল্লাহ তা’আলার সাথে কুফরী করে থাকে? তিনি বললেন, (না, বরং) স্বামীর অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে থাকে এবং ইহসান অস্বীকার করে বসে। তুমি যদি তাদের কারো সাথে যুগ যুগ ধরে ইহসান করতে থাক, অতঃপর সে যদি কোন একদিন তোমার নিকট হতে তার অপছন্দনীয় কিছু দেখে, তবে বলবে, ‘আমি কোন মঙ্গল তোমার কাছ থেকে লাভ করিনি।’ (বুখারী ১০৫২, মুসলিম ৯০৭)