পরিচ্ছেদঃ ১
সালাতুল-খাওফ বা ভয়কালীন নামায
মুয়াত্তা ইমাম মালিক : ৪২৮
মুয়াত্তা ইমাম মালিকহাদিস নম্বর ৪২৮
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ كَانَ إِذَا سُئِلَ عَنْ صَلَاةِ الْخَوْفِ قَالَ يَتَقَدَّمُ الْإِمَامُ وَطَائِفَةٌ مِنْ النَّاسِ فَيُصَلِّي بِهِمْ الْإِمَامُ رَكْعَةً وَتَكُونُ طَائِفَةٌ مِنْهُمْ بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْعَدُوِّ لَمْ يُصَلُّوا فَإِذَا صَلَّى الَّذِينَ مَعَهُ رَكْعَةً اسْتَأْخَرُوا مَكَانَ الَّذِينَ لَمْ يُصَلُّوا وَلَا يُسَلِّمُونَ وَيَتَقَدَّمُ الَّذِينَ لَمْ يُصَلُّوا فَيُصَلُّونَ مَعَهُ رَكْعَةً ثُمَّ يَنْصَرِفُ الْإِمَامُ وَقَدْ صَلَّى رَكْعَتَيْنِ فَتَقُومُ كُلُّ وَاحِدَةٍ مِنْ الطَّائِفَتَيْنِ فَيُصَلُّونَ لِأَنْفُسِهِمْ رَكْعَةً رَكْعَةً بَعْدَ أَنْ يَنْصَرِفَ الْإِمَامُ فَيَكُونُ كُلُّ وَاحِدَةٍ مِنْ الطَّائِفَتَيْنِ قَدْ صَلَّوْا رَكْعَتَيْنِ فَإِنْ كَانَ خَوْفًا هُوَ أَشَدَّ مِنْ ذَلِكَ صَلَّوْا رِجَالًا قِيَامًا عَلَى أَقْدَامِهِمْ أَوْ رُكْبَانًا مُسْتَقْبِلِي الْقِبْلَةِ أَوْ غَيْرَ مُسْتَقْبِلِيهَا قَالَ مَالِك قَالَ نَافِعٌ لَا أَرَى عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ حَدَّثَهُ إِلَّا عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.
নাফি’ (র) হতে বর্ণিতঃ
আবদুল্লাহ্ ইবনু উমার (রা)-কে সালাতুল খাওফ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বললেনঃ ইমাম অগ্রসর হবেন (স্বীয় স্থানে), তাঁর সাথে থাকবে লোকের একাংশ। তিনি তাদের এক রাক’আত আদায় করাবেন। আর একদল লোক নিয়োজিত হবে ইমাম ও শত্র“দের মাঝখানে এবং সে দল তখন নামায আদায় করবে না। যখন ইমাম তাঁর সাথে যে দল আছে সে দলকে এক রাক’আত আদায় করাবেন, তখন তারা পেছনে সরে যে দল নামায আদায় করেনি, সে দলের স্থানে চলে যাবে, তারা সালাম ফিরাইবে না। অতঃপর যারা নামায আদায় করেনি তারা এগিয়ে আসবে। ইমাম তাদের সাথে এক রাক’আত আদায় করবেন। তৎপর ইমাম দু রাক’আত পূর্ণ পড়িয়াছেন বিধায় তিনি প্রত্যাবর্তন করবেন। অতঃপর উভয় দলের প্রত্যেকে দাঁড়িয়ে এক রাক’আত আদায় করবে ইমামের প্রত্যাবর্তন করার পর। এইভাবে উভয় দলের প্রত্যেকের দুই দুই রাক’আত পড়া হবে। আর যদি খাওফ বা ভীতি এর চাইতে প্রচণ্ড হয়, তবে যে যেভাবে সম্ভব নামায আদায় করে নিবে; চলমান অবস্থায় হোক বা দাঁড়িয়ে অথবা সওয়ারীর উপর হোক, কিবলামুখী হোক বা না হোক। (সহীহ্, বুখারী ৪৫৩৫)মালিক (র) বললেন, নাফি’ (র) বলেছেন, আমি মনে করি, আবদুল্লাহ (রা) এটা (সালাতুল-খাওফের নিয়ম) রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেন।