পরিচ্ছেদঃ ২
উভয় ঈদে খুত্বার পূর্বে নামায আদায়ের নির্দেশ
মুয়াত্তা ইমাম মালিক : ৪১৭
মুয়াত্তা ইমাম মালিকহাদিস নম্বর ৪১৭
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ أَبِي عُبَيْدٍ مَوْلَى ابْنِ أَزْهَرَ قَالَ شَهِدْتُ الْعِيدَ مَعَ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ فَصَلَّى ثُمَّ انْصَرَفَ فَخَطَبَ النَّاسَ فَقَالَ إِنَّ هَذَيْنِ يَوْمَانِ نَهَى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ صِيَامِهِمَا يَوْمُ فِطْرِكُمْ مِنْ صِيَامِكُمْ وَالْآخَرُ يَوْمٌ تَأْكُلُونَ فِيهِ مِنْ نُسُكِكُمْ قَالَ أَبُو عُبَيْدٍ ثُمَّ شَهِدْتُ الْعِيدَ مَعَ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ فَجَاءَ فَصَلَّى ثُمَّ انْصَرَفَ فَخَطَبَ وَقَالَ إِنَّهُ قَدْ اجْتَمَعَ لَكُمْ فِي يَوْمِكُمْ هَذَا عِيدَانِ فَمَنْ أَحَبَّ مِنْ أَهْلِ الْعَالِيَةِ أَنْ يَنْتَظِرَ الْجُمُعَةَ فَلْيَنْتَظِرْهَا وَمَنْ أَحَبَّ أَنْ يَرْجِعَ فَقَدْ أَذِنْتُ لَهُ قَالَ أَبُو عُبَيْدٍ ثُمَّ شَهِدْتُ الْعِيدَ مَعَ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ وَعُثْمَانُ مَحْصُورٌ فَجَاءَ فَصَلَّى ثُمَّ انْصَرَفَ فَخَطَبَ.
ইবনু আযহারের মাওলা আবূ উবায়দ (র) হতে বর্ণিতঃ
আমি ঈদের নামাযে উমার ইবনু খাত্তাব (রাঃ)-এর সাথে শরীক হয়েছি। তিনি ঈদের নামায আদায় করালেন, অতঃপর (মিম্বরে) প্রত্যাগমন করলেন এবং লোকের উদ্দেশ্যে খুতবা প্রদান করলেন। খুতবায় তিনি বললেন, এ দুটি [ঈদের] দিবস এমন যে, রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উভয় দিবসে রোযা রাখতে নিষেধ করেন, তোমাদের রোযা খোলার (অর্থাৎ ঈদুল ফিতরের) দিন আর তোমাদের কুরবানীর গোশত আহার করার দিন। (বুখারী ১৯৯০, মুসলিম ১১৩৭)আবূ উবায়দ (র) বলেন, অতঃপর আমি উসমান ইবনু আফফান (রাঃ)-এর সাথেও ঈদে হাযির হয়েছি। তিনি (ঈদগাহে) আসার পর নামায আদায় করলেন, তারপর (মুসল্লা হতে) ফিরে খুতবা করলেন, ‘আজকের এই দিনে তোমাদের জন্য দুটি ঈদ একত্র হয়েছে (শুক্রবার হওয়ার কারণে।) মদীনার বাহিরের লোকেরা ইচ্ছা করলে জুম’আর নামাযের জন্য অপেক্ষা করতে পারে অথবা ইচ্ছা করলে নিজেদের এলাকায় ফিরেও যেতে পারে, আমি তাদেরকে এ অনুমতি দিলাম।আবূ উবায়দ (র) বলেন, আলী ইবনু আবি তালিব (রাঃ)-এর সঙ্গে আমি উপস্থিত ছিলাম, যখন উসমান (রাঃ) অবরুদ্ধ ছিলেন। আলী (রাঃ) আসলেন এবং নামায আদায় করলেন, তারপর লোকদের দিকে মুখ করলেন ও খুতবা দিলেন।