পরিচ্ছেদঃ ২
ইশা ও ফজর-এর নামায
মুয়াত্তা ইমাম মালিক : ২৮৬
মুয়াত্তা ইমাম মালিকহাদিস নম্বর ২৮৬
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ سُلَيْمَانَ بْنِ أَبِي حَثْمَةَ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ فَقَدَ سُلَيْمَانَ بْنَ أَبِي حَثْمَةَ فِي صَلَاةِ الصُّبْحِ وَأَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ غَدَا إِلَى السُّوقِ وَمَسْكَنُ سُلَيْمَانَ بَيْنَ السُّوقِ وَالْمَسْجِدِ النَّبَوِيِّ فَمَرَّ عَلَى الشِّفَاءِ أُمِّ سُلَيْمَانَ فَقَالَ لَهَا لَمْ أَرَ سُلَيْمَانَ فِي الصُّبْحِ فَقَالَتْ إِنَّهُ بَاتَ يُصَلِّي فَغَلَبَتْهُ عَيْنَاهُ فَقَالَ عُمَرُ لَأَنْ أَشْهَدَ صَلَاةَ الصُّبْحِ فِي الْجَمَاعَةِ أَحَبُّ إِلَيَّ مِنْ أَنْ أَقُومَ لَيْلَةً و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي عَمْرَةَ الْأَنْصَارِيِّ أَنَّهُ قَالَ جَاءَ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ إِلَى صَلَاةِ الْعِشَاءِ فَرَأَى أَهْلَ الْمَسْجِدِ قَلِيلًا فَاضْطَجَعَ فِي مُؤَخَّرِ الْمَسْجِدِ يَنْتَظِرُ النَّاسَ أَنْ يَكْثُرُوا فَأَتَاهُ ابْنُ أَبِي عَمْرَةَ فَجَلَسَ إِلَيْهِ فَسَأَلَهُ مَنْ هُوَ فَأَخْبَرَهُ فَقَالَ مَا مَعَكَ مِنْ الْقُرْآنِ فَأَخْبَرَهُ فَقَالَ لَهُ عُثْمَانُ مَنْ شَهِدَ الْعِشَاءَ فَكَأَنَّمَا قَامَ نِصْفَ لَيْلَةٍ وَمَنْ شَهِدَ الصُّبْحَ فَكَأَنَّمَا قَامَ لَيْلَةً.
আবূ বাকর ইবনু সুলায়মান ইবনু আবি হাস্মা (র) হতে বর্ণিতঃ
উমার ইবনু খাত্তাব (রাঃ) একদিন ইবনু উবন আবি হাসমাকে ফজরের নামাযে উপস্থিত পাননি। উমার ইবনু খাত্তাব (রাঃ) বাজারের দিকে গেলেন। আর সুলায়মানের বাসগৃহ বাজার ও মসজিদের মাঝপথে অবস্থিত। তিনি সুলায়মানের মা ‘শিফা’-এর কাছে গেলেন। তারপর তাঁকে বললেন, আমি ফজরের নামাযে সুলায়মানকে দেখলাম না যে? তিনি (উত্তরে) বললেন, সে রাত্রে জেগে থেকে নামায আদায় করেছিল, পরে ঘুমিয়ে পড়েছে। (এটা শুনে) উমার (রাঃ) বললেন, ফজরের নামাযের জামা’আতে হাজির হওয়া আমার কাছে সারারাত (নফল) নামায আদায় হতে পছন্দনীয়। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)আবদুর রহমান ইবনু আবি আমরাহ আনসারী (র) হতে বর্ণিত; উসমান ইবনু আফফান (রাঃ) একবার ইশার নামাযে এলেন এবং মসজিদে অল্প মুসল্লি দেখতে পেলেন। তারপর তিনি অধিক লোক আসার অপেক্ষায় মসজিদের শেষভাগে শুলেন। অতঃপর তাঁর নিকট ইবনু আবি আমরা এলেন এবং তাঁর কাছে বসলেন। তিনি জানতে চাইলেন তুমি কে? তিনি পরিচয় দিলেন। আবার তিনি জিজ্ঞাসা করলেন তুমি কি পরিমাণ কুরআন কণ্ঠস্থ করেছ? তিনি তা জানালেন। তারপর উসমান (রাঃ) বললেন, যে ব্যক্তি ইশার নামাযে উপস্থিত হয়, সে যেন অর্ধরাত্র নামায আদায় করল, আর যে ফজরের নামায আদায় করল সে যেন পূর্ণ রাত্রি নামায আদায় করল। (সহীহ, ইমাম মুসলিম মারফু সনদে বর্ণনা করেছেন ৬৫৬)