পরিচ্ছেদঃ ৬
নামায হতে নিদ্রায় থাকা
মুয়াত্তা ইমাম মালিক : ২৬
মুয়াত্তা ইমাম মালিকহাদিস নম্বর ২৬
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ أَنَّهُ قَالَ عَرَّسَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيْلَةً بِطَرِيقِ مَكَّةَ وَوَكَّلَ بِلَالًا أَنْ يُوقِظَهُمْ لِلصَّلَاةِ فَرَقَدَ بِلَالٌ وَرَقَدُوا حَتَّى اسْتَيْقَظُوا وَقَدْ طَلَعَتْ عَلَيْهِمْ الشَّمْسُ فَاسْتَيْقَظَ الْقَوْمُ وَقَدْ فَزِعُوا فَأَمَرَهُمْ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يَرْكَبُوا حَتَّى يَخْرُجُوا مِنْ ذَلِكَ الْوَادِي وَقَالَ إِنَّ هَذَا وَادٍ بِهِ شَيْطَانٌ فَرَكِبُوا حَتَّى خَرَجُوا مِنْ ذَلِكَ الْوَادِي ثُمَّ أَمَرَهُمْ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يَنْزِلُوا وَأَنْ يَتَوَضَّئُوا وَأَمَرَ بِلَالًا أَنْ يُنَادِيَ بِالصَّلَاةِ أَوْ يُقِيمَ فَصَلَّى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالنَّاسِ ثُمَّ انْصَرَفَ إِلَيْهِمْ وَقَدْ رَأَى مِنْ فَزَعِهِمْ فَقَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّ اللهَ قَبَضَ أَرْوَاحَنَا وَلَوْ شَاءَ لَرَدَّهَا إِلَيْنَا فِي حِينٍ غَيْرِ هَذَا فَإِذَا رَقَدَ أَحَدُكُمْ عَنْ الصَّلَاةِ أَوْ نَسِيَهَا ثُمَّ فَزِعَ إِلَيْهَا فَلْيُصَلِّهَا كَمَا كَانَ يُصَلِّيهَا فِي وَقْتِهَا ثُمَّ الْتَفَتَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى أَبِي بَكْرٍ فَقَالَ إِنَّ الشَّيْطَانَ أَتَى بِلَالًا وَهُوَ قَائِمٌ يُصَلِّي فَأَضْجَعَهُ فَلَمْ يَزَلْ يُهَدِّئُهُ كَمَا يُهَدَّأُ الصَّبِيُّ حَتَّى نَامَ ثُمَّ دَعَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِلَالًا فَأَخْبَرَ بِلَالٌ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَ الَّذِي أَخْبَرَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَبَا بَكْرٍ فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ أَشْهَدُ أَنَّكَ رَسُولُ اللهِ.
যায়দ ইবনু আসলাম (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
মক্কার পথে রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (একবার বিশ্রাম গ্রহণের জন্য) রাত্রিতে অবতরণ করলেন এবং বিলালকে নামাযের জন্য জাগিয়ে দেয়ার দায়িত্বে নিযুক্ত করলেন। তারপর বিলাল ঘুমালেন এবং অন্য সকলেও ঘুমালেন। এমন কি তাঁরা জেগে উঠলেন সূর্য ওঠার পর। হতচকিত অবস্থায় দলের লোকজন জাগ্রত হলেন। রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁদেরকে সওয়ার হওয়ার এবং সেই উপত্যকা হতে বাহিরে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিলেন। আর তিনি বললেন, এই উপত্যকায় অবশ্যই শয়তান রয়েছে। তারপর তাঁরা সওয়ার হলেন এবং সেই উপত্যকা হতে বের হয়ে গেলেন। অতঃপর রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁদেরকে অবতরণ এবং ওযূ করার নির্দেশ দিলেন। আর বিলালকে নামাযের জন্য আযান অথবা ইকামত বলার হুকুম করলেন। তারপর রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লোকজনকে নামায আদায় করালেন। তারপর তাঁদের দিকে মুখ ফিরালেন এবং তাঁদের ঘাবড়ানোর অবস্থা অনুধাবন করলেন। তখন তিনি বললেন, হে লোকসমাজ! আল্লাহ আমাদের আত্মাসমূহকে কাবু করেছিলেন, আর তিনি যদি ইচ্ছা করতেন এই সময় ব্যতীত ভিন্ন সময়ে আত্মাসমূহকে আমাদের নিকট ফেরত দিতে পারতেন। যদি তোমাদের কেউ নামায হতে ঘুমিয়ে পড় অথবা উহাকে ভুলে যাও, অতঃপর হঠাৎ নামাযের কথা স্মরণ হয়, তবে সেই নামাযকে উহার নির্ধারিত সময়ে যেভাবে আদায় করতে সেভাবে আদায় করবে। তারপর রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবূ বকর (রা)-এর দিকে দৃষ্টি করলেন। তারপর বললেন, বিলাল যখন দাঁড়িয়ে নামায আদায় করতেছিল তখন তাঁর কাছে শয়তান আসিল এবং তাঁকে ঠেস দেওয়াইয়া বসাইল এবং শিশুকে যেভাবে (থাপি দিয়া) শান্ত করা হয় ও ঘুম পাড়ানো হয় সেইভাবে তাঁর সঙ্গে বারবার করতে থাকিল। এমন কি (শেষ পর্যন্ত) বিলাল ঘুমিয়ে পড়ল। তাঁরপর রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিলালকে আহ্বান করলেন। অতঃপর রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবূ বকর (রাঃ)-কে যেরূপ বলেছিলেন বিলালও অনুরূপ রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট বর্ণনা করলেন। উহা শুনে আবূ বকর (রা;) বললেন, আমি সাক্ষ্য দিতেছি যে, আপনি নিশ্চয়ই আল্লাহর রসূল। (মালিক (রঃ) একাই বর্ণনা করেছেন তবে এই হাদীসকে পূর্বের হাদীস ছাড়াও অন্যান্য হাদীস এর সমর্থনে পাওয়া যায়)