পরিচ্ছেদঃ ৫
নামাযের সময় সম্পর্কীয় বিবিধ রেওয়ায়ত
মুয়াত্তা ইমাম মালিক : ২৩
মুয়াত্তা ইমাম মালিকহাদিস নম্বর ২৩
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ، إِنَّ الْمُصَلِّيَ لَيُصَلِّي الصَّلَاةَ وَمَا فَاتَهُ وَقْتُهَا وَلَمَا فَاتَهُ مِنْ وَقْتِهَا أَعْظَمُ أَوْ أَفْضَلُ مِنْ أَهْلِهِ وَمَالِهََََِ قَالَ يَحْيَى قَالَ مَالِك مَنْ أَدْرَكَ الْوَقْتَ وَهُوَ فِي سَفَرٍ فَأَخَّرَ الصَّلَاةَ سَاهِيًا أَوْ نَاسِيًا حَتَّى قَدِمَ عَلَى أَهْلِهِ أَنَّهُ إِنْ كَانَ قَدِمَ عَلَى أَهْلِهِ وَهُوَ فِي الْوَقْتِ فَلْيُصَلِّ صَلَاةَ الْمُقِيمِ وَإِنْ كَانَ قَدْ قَدِمَ وَقَدْ ذَهَبَ الْوَقْتُ فَلْيُصَلِّ صَلَاةَ الْمُسَافِرِ لِأَنَّهُ إِنَّمَا يَقْضِي مِثْلَ الَّذِي كَانَ عَلَيْهِ قَالَ مَالِك وَهَذَا الْأَمْرُ هُوَ الَّذِي أَدْرَكْتُ عَلَيْهِ النَّاسَ وَأَهْلَ الْعِلْمِ بِبَلَدِنَا و قَالَ مَالِك الشَّفَقُ الْحُمْرَةُ الَّتِي فِي الْمَغْرِبِ فَإِذَا ذَهَبَتْ الْحُمْرَةُ فَقَدْ وَجَبَتْ صَلَاةُ الْعِشَاءِ وَخَرَجْتَ مِنْ وَقْتِ الْمَغْرِبِ.
ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ (র) হতে বর্ণিতঃ
মুসল্লি এমন সময়ে নামায আদায় করবে, যখন তাঁর নামাযের ওয়াক্ত ফাউত হয় নি, তাই খুবই উত্তম, কিন্তু মুসল্লির নামাযের যে সময় ফাউত হয়ে গিয়াছে (অর্থাৎ মুস্তাহাব সময় ফাউত হয়ে মাকরূহ ওয়াক্ত উপস্থিত হয়েছে) তবে সেই (ফাউত হওয়া মুস্তাহাব) সময় তাঁর পরিজন ও মাল অপেক্ষাও খুবই উত্তম।মালিক (র) বলেন, সফরকালে (যেই সফরে নামায কসর আদায় করতে হয় সেইরূপ সফর) যে ব্যক্তির নামাযের সময় উপস্থিত হয়েছে, সে যদি ভুলে অথবা ব্যস্ততাবশত নামায আদায়ে দেরি করে এবং এই অবস্থায় নিজের কাছে ফিরে আসে, তবে সে যদি নামাযের সময় থাকিতে পরিজনের কাছে ফিরে আসে সে মুকীমের নামায আদায় করবে, আর যদি নামাযের সময় চলে যাওয়ার পর ফিরে আসে, সে মুসাফিরের নামায আদায় করবে। কারণ যেরূপ তার উপর ফরয হয়েছিল সেইরূপ সে কাযা আদায় করবে।মালিক (র) বলেন, আমাদের নগরীর লোকজন ও আহলে ইলমকে আমি এর উপরই পেয়েছি (অর্থাৎ তাঁদের আমল ও অভিমতও ঐরূপই ছিল)।মালিক (র) বলেন, অস্তাচলে যে লালিমা দৃষ্ট হয় তাই শফক। লালিমা চলে গেলে ইশার নামায ওয়াজিব হল এবং তুমি মাগরিবের সময় হতে বের হলে। [১] (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)
[১] ইমাম মালিক, শাফিয়ী. আহমাদ, আবূ ইউসুফ, মুহাম্মদ (র)-এর মাযহাব অনুরূপ। ইমাম আবূ হানীফা (র) বলেন, লালিমা অস্ত যাওয়ার পর সাদা বর্ণ দেখা যায়, ওটাই শফক। এটা অদৃশ্য হলে ইশার নামাযের সময় শুরু হয়। ইশার সময় শুরু না হওয়া পর্যন্ত মাগরিবের সময় থাকে।