পরিচ্ছেদঃ ১৫
দুই রাক’আত পড়ার পর ভুলবশত কেউ সালাম ফিরালে তার কি করা কর্তব্য
মুয়াত্তা ইমাম মালিক : ২০৫
মুয়াত্তা ইমাম মালিকহাদিস নম্বর ২০৫
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ سُلَيْمَانَ بْنِ أَبِي حَثْمَةَ قَالَ بَلَغَنِي أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَكَعَ رَكْعَتَيْنِ مِنْ إِحْدَى صَلَاتَيْ النَّهَارِ الظُّهْرِ أَوْ الْعَصْرِ فَسَلَّمَ مِنَ اثْنَتَيْنِ فَقَالَ لَهُ ذُو الشِّمَالَيْنِ أَقَصُرَتْ الصَّلَاةُ يَا رَسُولَ اللهِ أَمْ نَسِيتَ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا قَصُرَتْ الصَّلَاةُ وَمَا نَسِيتُ فَقَالَ ذُو الشِّمَالَيْنِ قَدْ كَانَ بَعْضُ ذَلِكَ يَا رَسُولَ اللهِ فَأَقْبَلَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى النَّاسِ فَقَالَ أَصَدَقَ ذُو الْيَدَيْنِ فَقَالُوا نَعَمْ يَا رَسُولَ اللهِ فَأَتَمَّ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا بَقِيَ مِنْ الصَّلَاةِ ثُمَّ سَلَّمَ.
আবূ বাকর ইবনু সুলায়মান ইবনু আবি হাসমা (র) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেছেন, আমার নিকট রেওয়ায়ত পৌঁছেছে যে, রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দিনের কোন এক নামায- যোহর কিংবা আসরে দু’রাকা’আত আদায় করে সালাম ফিরলেন, তখন বনি যোহরা ইবনু কিলাব গোত্রের যুশ-শিমালায়ন (রাঃ) [১] নামক জনৈক সাহাবী বললেন, হে আল্লাহর রসূল! নামায কি সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে, না আপনি ভুলে গিয়েছেন? রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফরমালেন নামাযও সংক্ষিপ্ত করা হয়নি, আমিও ভুলিনি। যুশ-শিমালায়ন (রাঃ) পুনরায় বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ! (অবশ্যই) কোন একটা হয়েছে। অতঃপর রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চেহারা মুবারক লোকের দিকে করলেন এবং বললেন, যুশ শিমালায়ন ঠিক বলেছেন কি? (উপস্থিত) লোকজন বললেন, হ্যাঁ। তারপর রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অবশিষ্ট নামায পূর্ণ করলেন। অতঃপর সালাম ফিরালেন। [২] (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)
[১] যুল-ইয়াদায়ন ও যুশ শিমালায়ন একই ব্যক্তির দুটি উপাধি।[২] নামাযে কথা বলা, নামায কত রাক’আত পড়া হয়েছে তা জিজ্ঞেস করা এবং উহার উত্তর দেয়া, নামাযরত ব্যক্তিকে সালাম দেয়া, সালামের জবাব দেয়া ইত্যাদি প্রথমে বৈধ ছিল, পরে তা বাতিল হয়। নাবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, নামাযে কথাবার্তার অবকাশ নেই।