পরিচ্ছেদঃ ১০
যাহরী নামাযে ইমামের পেছনে কিরা‘আত পাঠ হতে বিরত থাকা
মুয়াত্তা ইমাম মালিক : ১৮৮
মুয়াত্তা ইমাম মালিকহাদিস নম্বর ১৮৮
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ كَانَ إِذَا سُئِلَ هَلْ يَقْرَأُ أَحَدٌ خَلْفَ الْإِمَامِ قَالَ إِذَا صَلَّى أَحَدُكُمْ خَلْفَ الْإِمَامِ فَحَسْبُهُ قِرَاءَةُ الْإِمَامِ وَإِذَا صَلَّى وَحْدَهُ فَلْيَقْرَأْ ২৮৪قَالَ وَكَانَ عَبْدُ اللهِ بْنُ عُمَرَ لَا يَقْرَأُ خَلْفَ الْإِمَامِ ২৮৫قَالَ يَحْيَى سَمِعْت قَوْله تَعَالَى يَقُولُ الْأَمْرُ عِنْدَنَا أَنْ يَقْرَأَ الرَّجُلُ وَرَاءَ الْإِمَامِ فِيمَا لَا يَجْهَرُ فِيهِ الْإِمَامُ بِالْقِرَاءَةِ وَيَتْرُكُ الْقِرَاءَةَ فِيمَا يَجْهَرُ فِيهِ الْإِمَامُ بِالْقِرَاءَةِ.
নাফি’ (র) হতে বর্ণিতঃ
আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ)-কে প্রশ্ন করা হত, ইমামের পেছনে কেউ কুরআন পাঠ করবে কি ? তিনি বলতেন, তোমাদের কেউ যখন ইমামের পেছনে নামায আদায় করে তখন ইমামের কিরা‘আতই তার জন্য যথেষ্ট। আর একা নামায আদায় করলে অবশ্য কুরআন পাঠ করবে। আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) নিজেও ইমামের পেছনে কুরআন পাঠ করতেন না। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)ইয়াহ্ইয়া (র) বলেন, আমি মালিক (র)-কে বলতে শুনেছি, আমার মতে যেসব নামাযে ইমাম সরবে কুরআন পাঠ করেন সেসব নামাযে মুকতাদিগণ কিরাআত হতে বিরত থাকবেন। আর যেসব নামাযে ইমাম নীরবে কুরআন পাঠ করেন সেসব নামাযে তাঁরা কুরআন পাঠ করবেন। [১]
[১] যেসব নামাযে সরবে কুরআন পাঠ করা হয়, যেমন ফজর, মাগরিব, ইশা, জুমু’আ ইত্যাদি, সেসব নামাযকে ‘যাহরী’ নামায বলা হয়। আর যে সকল নামাযে নীরবে কিরাআত পাঠ করা হয় সে সকল নামাযকে ‘সিররী’ নামায বলা হয়।