পরিচ্ছেদঃ ৪

মদীনার মহামারী সম্বন্ধে বর্ণনা

মুয়াত্তা ইমাম মালিকহাদিস নম্বর ১৫৮৯

و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ أَنَّهَا قَالَتْلَمَّا قَدِمَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَدِينَةَ وُعِكَ أَبُو بَكْرٍ وَبِلَالٌ قَالَتْ فَدَخَلْتُ عَلَيْهِمَا فَقُلْتُ يَا أَبَتِ كَيْفَ تَجِدُكَ وَيَا بِلَالُ كَيْفَ تَجِدُكَ قَالَتْ فَكَانَ أَبُو بَكْرٍ إِذَا أَخَذَتْهُ الْحُمَّى يَقُولُ كُلُّ امْرِئٍ مُصَبَّحٌ فِي أَهْلِهِوَالْمَوْتُ أَدْنَى مِنْ شِرَاكِ نَعْلِهِوَكَانَ بِلَالٌ إِذَا أُقْلِعَ عَنْهُ يَرْفَعُ عَقِيرَتَهُ فَيَقُولُ أَلَا لَيْتَ شِعْرِي هَلْ أَبِيتَنَّ لَيْلَةًبِوَادٍ وَحَوْلِي إِذْخِرٌ وَجَلِيلُوَهَلْ أَرِدَنْ يَوْمًا مِيَاهَ مَجِنَّةٍوَهَلْ يَبْدُوَنْ لِي شَامَةٌ وَطَفِيلُقَالَتْ عَائِشَةُ فَجِئْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَخْبَرْتُهُ فَقَالَ اللهُمَّ حَبِّبْ إِلَيْنَا الْمَدِينَةَ كَحُبِّنَا مَكَّةَ أَوْ أَشَدَّ وَصَحِّحْهَا وَبَارِكْ لَنَا فِي صَاعِهَا وَمُدِّهَا وَانْقُلْ حُمَّاهَا فَاجْعَلْهَا بِالْجُحْفَةِ

উম্মুল মু’মিনীন আয়িশা (রা) হতে বর্ণিতঃ

যখন রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদীনায় এলেন, তখন আবূ বাকর ও বেলালের (রা) জ্বর আসতে শুরু করল। আয়িশা (রা) বলেন, আমি উভয়ের কাছে গেলাম। আমি বললাম, হে আব্বা আপনার অবস্থা কিরূপ ? হে বেলাল! আপনার অবস্থা কিরূপ ? আয়িশা (রা) বলেন, আবূ বাক্রের যখন জ্বর আসত, তিনি বলতেন,كُلُّ امْرِئٍ مُصَبَّحٌ فِي أَهْلِهِ وَالْمَوْتُ أَدْنَى مِنْ شِرَاكِ نَعْلِهِ“প্রত্যেকে নিজের পরিজনের মধ্যে প্রভাত করে আর মৃত্যু তার জুতার ফিতার চাইতেও তার অতি নিকটে থাকে” আর যখন বেলালের জ্বর হত, তখন তিনি উচ্চৈঃস্বরে এই কবিতা পড়তেন, أَلَا لَيْتَ شِعْرِي هَلْ أَبِيتَنَّ لَيْلَةً بِوَادٍ وَحَوْلِي إِذْخِرٌ وَجَلِيلُوَهَلْ أَرِدَنْ يَوْمًا مِيَاهَ مَجِنَّةٍ وَهَلْ يَبْدُوَنْ لِي شَامَةٌ وَطَفِيلُহায় যদি আমি জানতে পারতাম যে, কখনও আমি এক রাত্রির জন্যও মক্কার উপত্যকায় রাত্রি যাপন করতে পারব। আর আমার চতুষ্পার্শ্বে ইয্খির ও জলিল নামক ঘাস থাকবে। আর পুনরায় কখনও মাজিন্না কুয়ার নিকট যেতে পারব, আর পুনরায় কখনও শামা ও তফীল পাহাড় আমার দৃষ্টিগোচর হবে।আয়িশা (রা) বলেন, আমি ইহা শুনে রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে বর্ণনা করলাম। তিনি দু‘আ করলেন,اللهُمَّ حَبِّبْ إِلَيْنَا الْمَدِينَةَ كَحُبِّنَا مَكَّةَ أَوْ أَشَدَّ وَصَحِّحْهَا وَبَارِكْ لَنَا فِي صَاعِهَا وَمُدِّهَا وَانْقُلْ حُمَّاهَا فَاجْعَلْهَا بِالْجُحْفَةِহে আল্লাহ্! আমাদের মনে মদীনার মুহব্বত এইরূপ করে দিন, যেরূপ মক্কার মুহব্বত রয়েছে, বরং উহা হতেও প্রগাঢ় ভালবাসা। আর মদীনাকে স্বাস্থ্যকর করে দিন। উহার সা‘ ও মুদ্দে বরকত দিন, উহার জ্বর অন্যত্র নিয়ে যান এবং উহার জ্বরকে জুহফাতে সরিয়ে দিন। [১]

[১] ইয্খির ও জালীল-মক্কার ঘাসের নাম। মাজান্না মক্কার অদূরে এক স্থানের নাম। এখানে জাহিলিয়াতের যুগে মেলা বসত। শামা ও তফীল মক্কার তিন মাইল দূরে দুইটি পাহাড়। জুহফা মক্কা হতে ৮২ মাইল দূরে একটি লোকালয়ের নাম, তখন তথায় ইহুদীরা বাস করত।এই জ্বর মদীনা হতে কদাকার একটি স্ত্রীলোকের মতো হয়ে বের হয়ে গিয়েছিল। এক ব্যক্তি উহাকে রাস্তায় দেখেছে। রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আর কখনও মদীনায় জ্বর প্রত্যাবর্তন করিবে না।

সেটিংস

ফন্ট সেটিংস

আরবি ফন্ট ফেস

আরবি ফন্ট সাইজ

২৪

অনুবাদ ফন্ট সাইজ

১৮

আল হাদিস অ্যাপ ডাউনলোড করুন

App Banner

ইসলামের জ্ঞান প্রচারে সহায়ক হোন

আপনার নিয়মিত সহায়তা আমাদের দ্বীনি ভাই-বোনের কাছে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছাতে সাহয্য করবে। আমাদের মিশনে আপনিও অংশ নিন এবং বড় পরিবর্তনের অংশীদার হোন।

সাপোর্ট করুন