পরিচ্ছেদঃ ২০
ইচ্ছাকৃত হত্যায় যা ওয়াজিব হয়
মুয়াত্তা ইমাম মালিক : ১৫৭২
মুয়াত্তা ইমাম মালিকহাদিস নম্বর ১৫৭২
و حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ عُمَرَ بْنِ حُسَيْنٍ مَوْلَى عَائِشَةَ بِنْتِ قُدَامَةَ أَنَّ عَبْدَ الْمَلِكِ بْنَ مَرْوَانَ أَقَادَ وَلِيَّ رَجُلٍ مِنْ رَجُلٍ قَتَلَهُ بِعَصًا فَقَتَلَهُ وَلِيُّهُ بِعَصًاقَالَ مَالِك وَالْأَمْرُ الْمُجْتَمَعُ عَلَيْهِ الَّذِي لَا اخْتِلَافَ فِيهِ عِنْدَنَا أَنَّ الرَّجُلَ إِذَا ضَرَبَ الرَّجُلَ بِعَصًا أَوْ رَمَاهُ بِحَجَرٍ أَوْ ضَرَبَهُ عَمْدًا فَمَاتَ مِنْ ذَلِكَ فَإِنَّ ذَلِكَ هُوَ الْعَمْدُ وَفِيهِ الْقِصَاصقَالَ مَالِك فَقَتْلُ الْعَمْدِ عِنْدَنَا أَنْ يَعْمِدَ الرَّجُلُ إِلَى الرَّجُلِ فَيَضْرِبَهُ حَتَّى تَفِيظَ نَفْسُهُ وَمِنْ الْعَمْدِ أَيْضًا أَنْ يَضْرِبَ الرَّجُلُ الرَّجُلَ فِي النَّائِرَةِ تَكُونُ بَيْنَهُمَا ثُمَّ يَنْصَرِفُ عَنْهُ وَهُوَ حَيٌّ فَيُنْزَى فِي ضَرْبِهِ فَيَمُوتُ فَتَكُونُ فِي ذَلِكَ الْقَسَامَةُ ُُُُقَالَ مَالِك الْأَمْرُ عِنْدَنَا أَنَّهُ يُقْتَلُ فِي الْعَمْدِ الرِّجَالُ الْأَحْرَارُ بِالرَّجُلِ الْحُرِّ الْوَاحِدِ وَالنِّسَاءُ بِالْمَرْأَةِ كَذَلِكَ وَالْعَبِيدُ بِالْعَبْدِ كَذَلِكَ ُُُُ
আয়িশা বিনতি মুদামার আযাদকৃত দাস উমার ইব্নু হুসাইন (র) হতে বর্ণিতঃ
এক ব্যক্তি অন্য এক ব্যক্তিকে একটি কাঠের আঘাতে হত্যা করল। আবদুল মালিক ইব্নু মারওয়ান (র) তাকে নিহত ব্যক্তির ওলীর (অভিভাবকের) কাছে সোপর্দ করলেন। সেও তাকে কাঠের আঘাতে হত্যা করল। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)মালিক (র) বলেন, আমাদের কাছে এটা একটি সর্বসম্মত বিধান যে, যদি কোন ব্যক্তি কাউকেও কাঠ অথবা পাথর দ্বারা ইচ্ছাকৃতভাবে আঘাত করে আর ঐ ব্যক্তি তাতে নিহত হয়, তবে কিসাস নেওয়া হবে।মালিক (র) বলেন, আমাদের কাছে ইচ্ছাকৃত হত্যা এই যে, কেউ কাউকে ইচ্ছা করে এত মারে যে, তাতে তার প্রাণ বের হয়ে যায়। আর ইচ্ছাকৃত হত্যার এক প্রকার ইহাও যে কারো সাথে শত্রুতাবশত তাকে একটা আঘাত লাগাল, ফলে ঐ ব্যক্তি তখনকার মতো জীবিত থাকলেও পরে দেখা গেল ঐ আঘাতেই তার প্রাণ বের হয়ে গিয়েছে। এতে কাসামা নেওয়া ওয়াজিব হবে।মালিক (র) বলেন, ইচ্ছাকৃত একজন স্বাধীন ব্যক্তি হত্যার দায়ে একাধিক স্বাধীন ব্যক্তিকে হত্যা করা যাবে, যদি তারা সকলেই এ আঘাতে শরীক থাকে। স্ত্রীদের ও দাসদেরও এই একই হুকুম।